কাজের ব্যস্ততার মাঝে ছোটবেলাটা যেন হারিয়ে যায়। তবুও ১৪ নভেম্বর শিশুদিবসে স্মৃতির সাগরে ডুব দিলেন টলিপাড়ার সেলেবরা। কারও কাছে এই দিনটা ছিল খুবই আনন্দের তো কেউ আবার সেলিব্রেশনের সুযোগটাই পাননি। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক টলি সেলেবদের শিশুদিবসটা কেমন ছিল।
সৌমিতৃষা কুণ্ডু :
'শিশুদিবস মানে টিউশনে কোন স্যার রোল খাওয়াবেন, কোন স্যার চাউমিন বা বিরিয়ানি খাওয়াবেন তার অপেক্ষা। স্কুলে আমাদের দু-একটা ক্লাস হত। কখনও আবার ম্যামরা খেলতে দিতেন, মানে যে যার মতো খেলো। স্কুলে আমাদের একটা হল ছিল। সেখানে শিশুদিবস উপলক্ষে অনেকদিন ধরেই রবীন্দ্রনাথের কোনও নাটকের রিহার্সল চলত। তারপর ১৪ নভেম্বর সেটা আমরা সেই নাটকে পারফর্ম করতাম। সেটা শুধুমাত্র বাচ্চাদের নিয়ে'।
সুদীপ্তা বক্সী :
'ছোটবেলায় একটাই দিনের কথা জানতাম। সেটা হল জন্মদিন। যত বড় হয়েছি তত জেনেছি এই ধরনের বিশেষ দিন আছে। আমার কাছে যেমন রোজই মাদার্স ডে। আলাদা করে এই দিনটা সেলিব্রেট করার কোনো যুক্তি আমার কাছে নেই। বাবার সঙ্গে তো পুরো জীবনটাই স্মৃতি। কোনটা ছেড়ে কোনটা বলব। ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করিয়ে দেওয়া থেকে সাইকেলে করে স্কুলে নিয়ে যাওয়া সবটাই তো বাবাকে ঘিরে। শিশুদিবস উপলক্ষে স্কুলে চকোলেট পাওয়া, গিফট পাওয়া এগুলো তো স্পেশ্যাল। অনেক সুন্দর ইভেন্ট হত। হাওড়া শিবপুর হিন্দু গার্লসে আমি পড়তাম। টিচার্স ডে-তে যেমন আমরা টিচারদের গিফট দিতাম তেমন আবার এই দিনটাতেও কিছু না কিছু সবাই নিয়ে যেতাম। আবার বড়রা আমাদের গিফট দিত। ছোট থেকে বড় হয়েছি, বাবাই আমার কাছে ঈশ্বর। বাবার কাছে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত খুবই স্পেশ্যাল। শিশুদিবস উপলক্ষে মা হয়তো বাড়িতে ভালো-মন্দ কিছু রান্না করত। আলাদা করে সেলিব্রেশনের কোনও ব্যাপার ছিল না'।
মোহনা মাইতি :
'এখনও তো আমি স্কুলেই পড়ি। ক্লাস টুয়েলভথ। যখন আরও ছোট ছিলাম, ফাইভ-সিক্সে পড়তাম তখন এই দিনটা স্কুলে সেলিব্রেট হত। ম্যামরা আমাদের গিফট দিতেন, টফি দিতেন। স্টুডেন্টদের ব্যাপারে ভাল ভাল কথা বলতেন। ওগুলো শুনতে খুব ভাল লাগত। বিশেষ করে এই দিটায় আমরা ম্যামদের কাছে খুব প্যাম্পার্ড ছিলাম। কোনো বকাবকি করতেন না। স্পেশ্যাল ট্রিটমেন্ট দেওয়া হত। ছোটবেলায় কোনওরকম চিন্তাভাবনা মাথায় ছিল না। এখন তো বোর্ডসের চাপ, কাজের চাপ। তাই মাঝেমাঝে মনে হয় ছোটবেলাটা বেশ ভাল ছিল। ছোটবেলায় শুধু আড্ডা, খেলাধূলা, বন্ধুদের টিফিন চুরি করে খাওয়া এগুলো সত্যিই দারুণ ছিল'।
শ্বেতা ভট্টাচার্য:
'আমি কখনও ১৪ নভেম্বর শিশুদিবস আলাদা করে উদযাপন করিনি। সেইরকম কোনও সুযোগও কখনও আসেনি। স্কুল বা প্রাইভেট টিউশনেও এদিনটা আলাদাভাবে সেলিব্রেট হয়নি।। আউটডোর শ্যুটিং করছিলাম। দেখছিলাম বাচ্চারা পিৎজার প্যাকেট নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সময় আমি অন্তত এই অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারিনি'।
আরও পড়ুন: থ্রিলারে টোটা-একেন-রাইমা, বড়দিনে বড় উপহার চালচিত্র দ্য ফ্রেম ফ্যাটালে, মুক্তি কবে?