কখনও একটা গল্প নিয়ে টানাটানি, আবার কখনও গল্পটাই বেমালুম হাতিয়ে নিচ্ছেন অন্য কেউ। এহেন অভিযোগ বারবার উঠে আসে টলিউডে। এবারেও নতুন কিছু নয়। হইচইয়ের নতুন ওয়েব সিরিজ ‘দ্য স্টোনম্যান মার্ডারস’-এর নির্মাতাদের বিরুদ্ধে উঠল গল্প চুরির অভিযোগ।
সিরিজের ট্রেলার দেখেই শিহরিত হয়েছিলেন দর্শক। আর সেখানেই দেখা গিয়েছিল, সিরিজের গল্প অমিতাভ ভট্টাচার্যের লেখা। কিন্তু অমিতাভর বিরুদ্ধের গল্প চুরির অভিযোগ তুলছেন চন্দন কুমার সাউ। ফেসবুকে একটি পোস্টে তিনি সরাসরি তোপ দেগেছেন অমিতাভর বিরুদ্ধে। লিখেছেন, "স্টোন ম্যানের ডাইরি মূল গল্প আমার লেখা। ওনাকে সেটা ২৬শে ফেব্রুয়ারী মেইল করি। প্রথম চারটে খুন নিয়ে অমিতাভ ভট্টাচার্য দশ পর্বের ওয়েব সিরিজ করতে বলেন। দশ পর্বের ওয়েব সিরিজ ওনাকে করে দিয়েছি গল্প হইচইতে এপ্রোভ হয়ে যায়। সেটা নিজের লেখা বলে আমিতাভ ভট্টাচার্য চালাচ্ছেন। সমস্ত জিনিস মেলে পাঠিয়েছি। সমস্ত প্রমান আছে। যে কেউ চাইলেই তাকে আমি মূল গল্পের কপি, ওয়ান লাইনার পাঠাতে পারি।''
আরও পড়ুন, মিমি-শুভশ্রীর বার্তালাপ, সম্পর্কের বরফ গলছে!
সাল ১৯৮৯-তে এক অজানা ভয় গ্রাস করেছিল শহর কলকাতাকে। জুন মাস থেকে শুরু করে পরবর্তী ছ'মাসে পরপর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল ১৩ জন ফুটপাথবাসীর। প্রত্যেকেরই মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল ভারী পাথর দিয়ে, তবে খুনের কারণ সম্পর্কে কিছুই জানা যায় নি। পাওয়া যায় নি কোনও সাক্ষী অথবা প্রমাণ। ফলে আজ পর্যন্ত অনাবিষ্কৃতই থেকে গেছে সেই রহস্য। শহরের তৎকালীন সংবাদমাধ্যম এই রহস্যাবৃত সিরিয়াল কিলারের নাম দিয়েছিল 'স্টোনম্যান', যে আজও অধরা, যদিও সেসময় স্টোনম্যান সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় বহু ব্যক্তিকে। স্টোনম্যানের আর্বিভাবে শিহরিত হয়েছিল তিলোত্তমা। তিরিশ বছর পর সেই কাহিনিই চিত্রনাট্যের রূপ নিয়েছে।
এর আগে ২০১১ সালে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের 'বাইশে শ্রাবণ' ছবিতেও দেখা গিয়েছে স্টোনম্যান রহস্যের অবয়ব। ছবিতে একের পর এক খুন হন ফুটপাথবাসী, যদিও সেখানে খুনি শেষমেশ অধরা থাকে না। বর্তমানে আলোচ্য ওয়েব সিরিজের পরিচালনা করেছেন এজাজ সৈয়দ। ’দ্য স্টোনম্যান মার্ডারস’-এ অভিনয় করেছেন রজতাভ দত্ত, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, রূপঙ্কর বাগচীর মতো অভিনেতারা।
আরও পড়ুন, বড়পর্দায় অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, সৌজন্যে ‘ভাল মেয়ে খারাপ মেয়ে’
যদিও এ প্রসঙ্গে অমিতাভ ভট্টাচার্যের দাবি, ''চন্দন কুমার সাউ মানসিকভাবে সুস্থ নন। এই কাজটায় উনি আমার অবজারভার ছিলেন। ওনাকে গল্পটা আমি বলেছি এবং উনি টাইপ করেছেন। ওনার সামনেই প্রযোজনা সংস্থা আমার নামে চিত্রনাট্যটি রেজিস্ট্রার করেন। তখন উনি কেন কিছু বললেন না। হঠাৎ করেই যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এখন এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।''