Bigg B Movie: বলিউড মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চনের অ্যাংরি ইয়ং ম্যান ইমেজটাই বারবার দর্শকের মন জয় করেছে। শোলে থেকে জঞ্জির, ত্রিশূলের মতো সিনেমায় বিগ বি-র অনবদ্য অভিনয় দর্শকের মনে দাগ কেটেছে। আশির্ধো অমিতাভ কিন্তু, এখনও লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের দুনিয়ায় জেন জি-র সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে চলতে সক্ষম। বড় পর্দায় অভিনয়ের পাশাপাশি কৌন বনেগা ক্রোড়পতির সঞ্চালক হিসেবেও দর্শকের মনকে প্রভাবিত করেছেন। ইয়ং অমিতাভ থেকে বর্ষীয়ান অভিনেতা, অভিনয়ে কোনও প্রভাব পড়েনি। রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার ও প্রযোজক আনন্দ পণ্ডিত অমিতাভের অন্ধ ভক্ত। ছোট থেকে তাঁর ছবি দেখেই বড় হওয়া। ১৯৭৮ সালে ত্রিশূল মুক্তির পর আহমেদাবাদ ছেড়ে মুম্বই চলে আসেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সী আনন্দ ত্রিশূলে অমিতাভ অর্থাৎ বিজয় যেমন কন্সট্র্যাকশনের ব্যবসা করতেন বাস্তবে শান্তি কন্সট্র্যাকশনের ব্যবসা করতে চেয়েছিলেন আনন্দ।
রিলের অমিতাভের চরিত্রকে নিজের জীবনে প্রয়োগ করতে চেয়েছিলেন। SCREEN-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'আমি অমিতাভ বচ্চনের সিনেমা দেখে বড় হয়েছি। ত্রিশূল আমাকে এতটাই অনুপ্রাণিত করেছিল যে আহমেদাবাদ ছেড়ে মুম্বই চলে আসি। এখানে আমি শান্তি কন্সট্র্যাকশনের ব্যবসা শুরু করার স্বপ্ন দেখেছিলাম। সৌভাগ্যবসত আজ আমি লোটাস ডেভেলপার্স তৈরি করতে পেরেছি। বিজয় চরিত্রটাই আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিল। সেই জন্যই আজ নিজেকে এই জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। আমার সাফল্যের নেপথ্যে বচ্চন সাব।'
আরও পড়ুন তীরে এসে তরী ডুবল! বাবু ভাইয়া পরেশ রাওয়ালের কোন সিদ্ধান্তে হেরা ফেরি ৩-র ভবিষ্যৎ প্রশ্ন চিহ্নের মুখে?
সময় যত এগিয়েছে ধীরে ধীরে অমিতাভের প্রতিবেশী হয়ে উঠেছেন আনন্দ। জলসার পিছনে ঠিক ডানদিকে নিজের বাংলো রয়েছে আনন্দের। ২০১৩ সালে ৫০ কোটিতে বিগ বি-কে বিক্রি করে দেন। আনন্দ জানান, 'অমিতাভকে এতটা কাছ থেকে চেনার সুযোগ পেয়ে আমি ধন্য। আমার সঙ্গে পরিবারের সদস্যর মতোই ব্যবহার করেন। আমার প্রয়োজনে সর্বদা পাশে থেকেছেন। উনি নিজের বাংলোর পরিধি বিস্তার করতে চেয়েছিলেন। সেই জন্য আমাকে আমার বাংলো ওঁর কাছে বিক্রির আর্জি জানিয়েছিলেন। আমিও রাজি হয়ে যাই। বাংলোটি যখন নিজের জন্য কিনেছিলাম তখন প্রতিবেশী হিসেবে আপ্যায়ন করতেন। কিন্তু, বিক্রির পর সম্পর্ক আরও গভীর হয়।'
আরও পড়ুন 'মানুষকে হাসানোর মাঝেই যেন আমার মৃত্যু হয়', প্রেমানন্দ মহারাজের কাছে মন কি বাত অমিতাভের! দেকুন ভিডিও