শুধু শারীরিকভাবে নয়, এই অতিমারী (Pandemic) প্রভাব ফেলেছে মানসিকভাবেও। স্বাভাবিকভাবেই মানুষ এখন গৃহবন্দী। উদ্বেগ, মানসিক চাপের পাশাপাশি হতাশা, অবসাদ ঘিরে ধরেছে মানুষকে। দূরত্বের জন্য নষ্ট হচ্ছে সম্পর্ক। আবার কেউ বা প্রিয়জন হারানোর শোকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। কখন, কোন বিপদ আবার দুয়ারে কড়া নাড়ে, সেই আশঙ্কাতেও বিপর্যস্ত মানুষ। মাথা ঠান্ডা রেখে এই কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করলেও একটা সময়ের পর মানুষ ভীষণ একাকীত্বে ভুগছেন। শারীরিক তো বটেই অতিমারীর এই চরম পরিস্থিতিতে কিন্তু রোজ লক্ষ লক্ষ মানুষকে যুঝতে হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্যের (Mental Health) সঙ্গেও। মন খারাপের দিনে এবার সেই মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে নিদান দিলেন সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)।
Advertisment
সমস্ত দুঃখ, অভিমান, ক্লেশ ভুলে গিয়ে এই সময়ে একে-অপরের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন মিমি। কারও অবসাদ বা হতাশা নিয়ে সমালোচনা কিংবা কু-মন্তব্য করার আগে পরিস্থিতির বিচার করে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। অনেকেই আছেন যাঁরা অপরের সমস্যা নিয়ে বিচারক কিংবা নীতিপুলিশের মতো ডেস্ক বসিয়ে সমালোচনায় মেতে ওঠেন কিংবা জ্ঞানের ঝড় তোলেন। কিন্তু আদৌ অপর দিকের মানুষটির কি সেই সমস্ত নেওয়ার মতো ক্ষমতা রয়েছে? তা বিচার করে দেখার প্রয়োজন বোধ করেন না বেশিরভাগ মানুষই। আন্তর্জাতিক মানসিক স্বাস্থ্য মাসে (Mental Health Month) সাংসদ-অভিনেত্রী সেই বিষয়েই একটি ভিডিও পোস্ট করে পরামর্শ দিলেন।
মিমির মন্তব্য, "আমরা সবাই হয়তো একে অপরকে তাঁদের কুশল-মঙ্গল জিজ্ঞেস করি। কেউ 'ভাল আছি' বলে চুপ করে যান। আবার কেউ বা হয়তো সবার অন্তরালেই নিজের সমস্যা নিয়ে অবসাদে ভুগতে থাকেন। কিন্তু মানসিকভাবে বিধ্বস্ত মানুষটি যদি সত্যিই তাঁর ব্যক্তিগত সমস্যা ভাগ করে নেন, তাহলে কি আপনি আদতেও সেই মানুষটির সমস্যা বুঝবেন? আদতেও তাঁর প্রতি যত্নশীল হবেন? নাকি তাঁর সমস্যা নিয়ে তাঁরই পিছনে সমালোচনা করতে বসে যাবেন?" অভিনেত্রীর ছোঁড়া এই প্রশ্নগুলো কিন্তু আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক। ভেবে দেখার। বুদ্ধি-বিবেক দিয়ে বিচার করে দেখার মতো। মিমির বার্তা, সেই সমস্ত মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ান, যাঁরা সত্যিই মানসিকভাবে বিধ্বস্ত কিংবা হতাশা, অবসাদে ভুগছেন।