আমহার্সট স্ট্রিট সিটি কলেজের প্রফেসর হয়েও তার এ ধরনের কান্ড কীর্তি? সমাজ মাধ্যমে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছিলেন বাম নেত্রীদের। তাদের ছবি নিয়ে বিতর্কিত সব মন্তব্য করছিলেন। অশালীন সব মন্তব্য করে বারবার এও জানান দিচ্ছিলেন যে তাদেরকে নাকি ধর্ষণ করবেন তিনি। কুরুচিকর সব মন্তব্য শুনলে গা রিরি করার মতো। শনিবার বিকেলে তাকে, কয়েকজন এসএফআই এবং ডি ওয়াই এফ আই কর্মী মিলে কলেজের সামনে থেকে পাকড়াও করে থানার দিকে হাঁটতে শুরু করেন।
কলেজের একজন অধ্যাপককে গেটের সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে থানায় দিয়ে আসেন বাম যুব নেতারা। শুধু তাই নয়, রাস্তায় যাওয়ার পথে বেশ কয়েকজন মেয়েও তাকে নাকি মেরেছেন বলেই জানা গিয়েছে। সেই সব ভিডিও সমাজের মাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল। সিটি কলেজের গণিত বিভাগের অধ্যাপক রাজীব মাইতির বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ। বিশেষ করে মহিলাদেরকে কুরুচিকর মন্তব্যের আক্রমণ এবং তাঁদেরকে অপমান করার অভিযোগ উঠেছে। বাম নেত্রীদের মধ্যে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, দীপ্সিতা ধর ছাড়াও আরো অনেককেই তিনি যা নয় তাই বলেছেন।
Legendary Actress Hospitalised: শারীরিক অবস্থার অবনতি, ICU- তে কিংব…
গতকাল, যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, এ প্রফেসরকে রীতিমতো চ্যাংদোলা করে নিয়ে যাচ্ছেন বাম-যুবনেতারা এবং তারা বারবার একই কথা বলছেন, "আমরা কিছু করবো না শুধু পুলিশের কাছে নিয়ে যাচ্ছে।" এ প্রসঙ্গে আজকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা তরফে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল মানসী সিনহা কে। অভিনেত্রী নিজেও বাম ঘনিষ্ঠ। তাঁকে বহুবার দেখা গিয়েছে নানা সভায়। অভিনেত্রী সোজাসুজি বললেন, ওরা যা করেছে বেশ করেছে। পুলিশের কাছে দেওয়ার পক্ষপাতি না আমি। কিন্তু, বাম তো নির্দিষ্ট নিয়মের বাইরে কিছু করে না। ওকে যদি পুলিশ ছেড়ে দেয়, ওকে আবার খোঁজা হবে। ওকে আবার ধরা হবে। কিন্তু, এরপর আর ওকে পুলিশে দেওয়া হবে না।"
Actress Tragic Life: কলকাতায় জন্ম হয়েছিল এই সুপারস্টারের, রাজ করেন সাউথের সিনেমায়, ২২ বছর বয়সেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন..
এখানেই শেষ না। সেই শিক্ষক শাসকদলের ঘনিষ্ঠ বলেই তাঁর সমাজ মাধ্যম দেখলে বোঝা সম্ভব। এবং দীর্ঘদিন ধরেই যে তিনি নারীদের অসম্মান করে যাচ্ছেন, তাঁর ভিত্তিতে রাস্তার মাঝে মেয়েরা ধরে তাঁকে মার দেন। অভিনেত্রী সোজাভাষায় জানালেন, "আমার তো মনে হচ্ছিল, আমি কেন সেখানে ছিলাম না। আমিও দিতাম ঘা কতক। কিছুদিন আগেই শুনলাম রাজন্যার ছবি নিয়েও নাকি বিতর্কিত কিছু করা হয়েছে। ওকেও বলছি, সাহস রাখো। তাঁর ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।" তবে, ছাত্রসমাজের যে এখনও জেদ বাকি আছে, এমনটাই জানাচ্ছেন মানসী। তিনি সাফ বললেন..
আসলে জেদটা ছাইচাপা আগুনের মত। চাপা দেওয়া বারুদ দেখতে না পারলে কী হবে, সেটা কিন্তু সাংঘাতিক। আর ক্রাইম করার পর এরকম শাস্তিই হওয়াই উচিত।