রবিবার রাতে ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী থাকল দিল্লি। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের উপর নেমে এল অতর্কিত হামলা। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ করছিলেন ছাত্র-ছাত্রীরা। কিন্তু এদিন সন্ধ্যেবেলা আচমকাই রড, ব্যাট নিয়ে মুখ ঢাকা কিছু মানুষ ক্যাম্পাস চত্বরে ঢুকে হামলা চালায়। ঘটনার গুরুতর আহত হয়েছেন জেএনইউ-এর ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ঐশী ঘোষ।
পড়ুয়াদের দাবি এভিবিপি সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছে। JNUSU-এর অভিযোগ, “পুলিশের উপস্থিতিতেই লাঠি, রড, হাতুড়ি নিয়ে ঘুরছে ABVP, সবাই মুখোশ পরে। ওরা ইট ছুড়ছে, পাঁঁচিল টপকে ঢুকছে, এবং হোস্টেলে ঢুকে ছাত্রদের মারছে। প্রহৃত হয়েছেন বেশ কিছু অধ্যাপকও। নির্মমভাবে আক্রান্ত হয়েছেন JNUSU সভাপতি ঐশী ঘোষ, তাঁর মাথা থেকে অঝোরে রক্ত ঝরছে। ABVP’র গুন্ডাদের তাড়া খেয়ে নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে ছাত্রছাত্রীরা। পুলিশ এই অপরাধে জড়িত, তারা হুকুম নিচ্ছে সংঘ সমর্থক প্রফেসরদের কাছ থেকে, পড়ুয়াদের ভারত মাতা কি জয় স্লোগান দিতে বাধ্য করছে।”
আরও পড়ুন, ‘আমার নিজের টাকা রয়েছে এই ছবিতে’, ‘ছপক’-এর প্রচারে ক্রুদ্ধ দীপিকা
অপর্ণা সেন বলেছেন, ''এই মুখোশধারী গুণ্ডারা কারা? এটা কী গুণ্ডারাজ চলছে?'' পরিচালক প্রতিম ডি গুপ্তের টুইট, ''দয়া করে নিজেদের রাজনীতিতে ছাত্রদের ঘুঁটি হিসাবে দেখা বন্ধ করুন।'' অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়ের টুইট, ''এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে।" টুইট করে ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন অনেকে।
আরও পড়ুন, ধর্মের নামে বিভাজনের রাজনীতি বন্ধ করুন: অনুরাগ কাশ্যপ
আরও পড়ুন, রক্তাক্ত জেএনইউ, মুখোশধারীদের তিন ঘন্টার তাণ্ডবে আহত ২৬
এক বিবৃতিতে JNUSU দাবি করে, হামলার নেপথ্যে রয়েছে বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP), এবং পড়ুয়াদের পাশাপাশি হামলার নিশানা ছিলেন বেশ কিছু প্রফেসরও।