কিছুদিন ধরেই হেডলাইনে টালিগঞ্জ। ইস্যু বকেয়া পেমেন্ট কিংবা ফেডারেশন দখল। এরই মধ্যে টলিপাড়ায় খাতা খুলেছে বিজেপির দুই সংগঠন। ঠিক মতো পসারও জমেনি, কিন্তু জট পাকতে শুরু করেছে দুই সংগঠনের মধ্যে।'ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচারস এবং কালচারাল কনফেডারেশন' এবং 'বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদ-এর দড়ি টানাটানিতে স্পষ্ট বিজেপি বিভাজন। প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুন ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচারস এবং কালচারাল কনফেডারেশন প্রথম বৈঠক করে। এই সংগঠনের মাথায় আছেন অগ্নিমিত্রা পল, সংঘমিত্রা চৌধুরীরা।অন্যদিকে শঙ্কুদেব পাণ্ডার নেতৃত্বে 'বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদ'। সোমবার দ্বিতীয়বার সাংবাদিক সম্মেলন করলেন তারা।
কিন্তু সমস্যাটা হল এদিন বৈদ্য দে হাজির ছিলেন এবং যিনি দাবি করেন কনফেডারেশনের সভাপতি নাকি তিনিই। আর শঙ্কুদেব পাণ্ডা জানিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গেই নাকি রয়েছেন স্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচারস এবং কালচারাল কনফেডারেশের। কিন্তু কিছুদিন আগেই দিলীপ ঘোষ কনফেডারেশনের উদ্বোধনী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বের কথাই স্পষ্ট হয়েছিল। আবার মুকুল রায়ের সম্মতি রয়েছে বঙ্গীয় চলচ্চিত্র সংগঠনে।
আরও পড়ুন, টলিউডে নতুন সংস্থা বিজেপির নয়! কী বললেন অগ্নিমিত্রা পাল?
এদিন অগ্নিমিত্রা পালকে বৈদ্য দে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ''কী যে হচ্ছে বুঝতে পারছি না? ২৯ তারিখে প্রসে কনফারেনশ করে সংস্থার কর্মসূচী জানাল হল। রেজিস্ট্রেশনের জন্য পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। কয়েকদিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র হাতে চলে আসবে। কে শঙ্কুদেব পাণ্ডা? আগে নিজেদের সংগঠনের রেজিস্ট্রেশন করাক।''(নিজের কথার অনুয়ায়ী এদিন কিছু তথ্যপত্রও পাঠিয়েছেন তিনি)।
মনে করা হচ্ছিল, রাজ্যে শক্তি বাড়তেই এবার বাংলা বিনোদন জগতেও প্রভাব বিস্তার করতে উদ্যোগী হবে পদ্ম ব্রিগেড। সেই জল্পনাই সত্যি হতে চলেছিল। কিন্তু তার আগেই নিজেদের দলের অন্দরেই সংঘাত শুরু। তাহলে কি পরোক্ষভাবে দিলীপ ঘোষ বনাম মুকুল রায়? এই প্রশ্নও উঠছে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন, ফেডারেশনের ‘জরুরি বৈঠক’-এর নেপথ্যে কি ‘একাধিপত্যের’ ক্ষমতা প্রদর্শন?
তবে যে যাই হোক, আপাতত দ্বন্দ্বে টলিপাড়ার সদস্যরা। তৃণমূল বিরোধী টলি সদস্যরা বুঝতে পারছেন না কোন দিকে ঝোঁকা প্রয়োজন। টলিউডে পদ্ম শিবিরের জটিল সমীকরণ সমগ্র টলিপাড়াকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা তো দূর, আত্মপ্রকাশের ক্ষণেই আস্থা হারাতে চলেছে।