/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/04/aaa-2025-09-04-11-37-05.jpg)
গ্রেফতার জনপ্রিয় টেলি অভিনেতা
TV actor Ashish Kapoor: কেচ্ছা কেলেঙ্কারিতে রূপোলি দুনিয়ার সেলেবদের নাম জড়ানোর ঘটনা চেনা চিত্র। এবার সেই তালিকার নয়া সংযোজন টেলিভিশন অভিনেতা আশীষ কাপুর। ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযোগকারিণীর দাবি আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে দিল্লির একটি বাড়িতে পার্টির চলাকালীন বাথরুমের ভিতরে আশীষ তাঁকে যৌন নির্যাতন করেন। উত্তর জেলার ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (ডিসিপি) রাজা বন্তিয়া নিশ্চিত করেছেন অভিনেতা আশীষ কপূরকে বুধবার পুনেতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মামলা দায়েরের পর অভিযুক্তের গতিবিধি ট্র্যাক করা হয়। প্রথমে গোয়া, তারপর পুনে এই দুটি জায়গায় টিম পাঠানো হয় এবং অবশেষে আশীষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক স্তরে অভিযোগকারিণী দাবি করেছিলেন, আশীষ কাপুরের বন্ধু বাড়িতে পার্টি আয়োজন করেছিলেন। সেখানেই দুই অজ্ঞাতপরিচয় পুরুষ তাকে যৌন নির্যাতন করেন। আরও অভিযোগ করেছিলেন একজন মহিলা তাকে শারীরিকভাবে আঘাত করেছিলেন। তবে পরে তিনি জানান, কেবলমাত্র আশীষই তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী প্রথমে দায়ের হওয়া গণধর্ষণ মামলা পরবর্তী সময়ে শুধুমাত্র ধর্ষণের মামলায় রূপান্তরিত করা হয়েছে।
অভিযোগকারিণীর দাবি, সেই মুহূর্তের ভিডিও-ও করা হয়েছিল। তবে তদন্তে এখনও পর্যন্ত কোনও ভিডিও পাওয়া যায়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইনস্টাগ্রামে কপূরের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই মহিলার। পরে তিনি ওই মহিলাকে এক বন্ধুর বাড়িতে পার্টিতে ডাকেন, সেখানেই অভিযোগিত ঘটনা ঘটে। ১১ আগস্ট কপূর, তার বন্ধু, বন্ধুর স্ত্রী এবং দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়।
১৮ আগস্ট অভিযোগকারিণী এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আরও একবার বয়ান দেন। তিনি দাবি করেন, কাপুর এবং তাঁর বন্ধু ধর্ষণ করেছিলেন। আর বন্ধুর স্ত্রী তাঁকে আঘাত করেছিলেন। ২১ আগস্ট আশীষ কাপুরের বন্ধু ও তাঁর স্ত্রী আগাম জামিনের আবেদন করলে তা মঞ্জুর হয়। শুনানির সময় অভিযোগকারিণী উপস্থিত ছিলেন। তবে তাঁর বক্তব্যে কোথাও আশীষের কপূরের বন্ধুর নাম আর উল্লেখ ছিল না।
তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানের ভিত্তিতে দেখা গিয়েছে পার্টির সময় ওই মহিলা ও আশীষ কাপুর একসঙ্গে বাথরুমে ঢোকেন। অনেকক্ষণ বাইরে না আসায় অভিনেতার বন্ধু ও অতিথিরা দরজায় ধাক্কা দিতে শুরু করেন। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। যা ধীরে ধীরে হাউজিং সোসাইটির গেট পর্যন্ত গড়ায়। অভিযোগকারিণীর দাবি, তখনই আশীষের বন্ধুর স্ত্রী তাঁর উপর চড়াও হন এবং মারধর করেন।