Uttam Kumar Death Anniversary: আগামীকাল এক এমন দিন, যা বাঙালির কাছে এক অভিশাপের মতো। কারণ আগামীকাল তাঁদের প্রিয় মহানায়কের মৃত্যুদিন। নেই নেই করে অনেকগুলো বছর কেটে গিয়েছে। মহানায়ক এত অল্প বয়সে চলে গেলেন, যেন সময়ই দিলেন না। এমনকি, তিনি যখন চলে গেলেন তখন তাঁর মা পর্যন্ত বেঁচে। তাঁর মৃত্যুর খবর আচমকা বিশ্বাস করতে পারেননি কেউই।
সিনেমার শুটিং করতে করতে চলে গেলেন তিনি। শুধু তাই না, তাঁর চলে যাওয়ার পর যেন অনেকেই বিশ্বাস করেননি যে মহানায়ক আর নেই। বরং, যখন জানতে পেরেছিলেন তাঁদের শরীর অসাড় হয়ে গিয়েছিল। সেরকমই অবস্থা হয়েছিল শর্মিলা ঠাকুরের। এক সাংবাদিকের থেকেই তিনি জানতে পেরেছিলেন তাঁর মৃত্যুর প্রসঙ্গে। এমনকি, তিনি কী বলবেন যেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। তারপর মহানায়ক প্রসঙ্গে কী জানিয়েছিলেন শর্মিলা? তৎকালীন এক রিপোর্টে ম্যাগাজিনে অভিনেত্রী তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ থেকে নানা কথা প্রকাশ্যেই জানিয়েছিলেন।
Guess Who: জন্মের পর থেকেই বাবাকে পাননি, পরিস্থিতির চাপে সেঁকেছেন নি…
উত্তমের মতো অভিনেতা তিনি আর দুটো দেখেননি। তার ব্যক্তিত্ব ছিল এমন এক অলৌকিক রং যা প্রথম যৌবন থেকে মানুষকে আকর্ষণ করতো। সাধারণত সব নায়ক যেমন হন সেরকম নায়ক তিনি ছিলেন না। তিনি ছিলেন, হীরকখচিত নায়ক। তাঁর অভিনয় নিয়ে কোন কথা বলার অপেক্ষাই রাখত না কেউ। শর্মিলা বলেছিলেন... সাড়ে চুয়াত্তর ছবিতে তাকে প্রথম দেখি। দেখামাত্রই মনে হয়েছিল এই মানুষটা আমার মন জয় করে ফেলেছে। তারপরে অনেক বছরের বিরতি। আবার তিনি কাজ করেছিলেন হরিদাস ভট্টাচার্যের ছবি শেষ অঙ্কতে। কিন্তু সব থেকে বেশি তার মনে ছিল একটাই ছবির কথা। তার নাম সত্যজিৎ রায়ের নায়ক।
Rudranil Ghosh on Bengali Controversy: 'উনি বাঙালিকে না, ওদের রক্ত ভালবাসে', বাংলা ভাষা প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রীকে জোরাল আক্রমণ রুদ্রনীলের..
মহানায়ক যে কেন মহানায়ক এই ছবিতেই তিনি বারবার করে বুঝিয়েছিলেন। শর্মিলা বলেছিলেন, কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী ছবিটা আমি উত্তম কুমারের পরিচালনায় কাজ করি। আমার মনে হয় তিনি যখন ছবি ডিরেকশন দিতেন, যে ডিরেকশনের সবথেকে বেশি ভালো কাজ করতেন। স্বাধীন স্বভাবের মানুষ ছিলেন তো, কারোর হস্তক্ষেপ তাঁকে একটু অস্বস্তি দিত। শর্মিলার সঙ্গে নানান বিষয়ে কথা বলতেন তিনি। কখনো ডায়লগ ডেলিভারি কিংবা সিনেমার লাইন নিয়ে আড্ডা জমাতেন। যদিও বা যেহেতু মহানায়ক, অনেকেই তার থেকে দূরত্ব রেখে চলতেন। প্রথম আলাপে অবশ্য নিজেও খুব একটা কাউকে সময় দিতেন না। শর্মিলার কথায়, "একটা সময় পর তার সাথে আমার কোনও বাক বিতন্ডা ছিলই না। আমরা বন্ধু হয়ে গিয়েছিলাম।"
উত্তম কুমার ছিলেন স্ক্রিনের, এবং তাঁর ভক্তদের। শুটিং ফ্লোরে কত মানুষ এসে তার অভিনয় দেখতেন। মহানায়ক কাদের সঙ্গে হেসে কথা বলতেন।