/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/21/Ycy0k96BcdcosnYNrJzA.jpg)
উত্তমকুমারের থেকে শর্মিলা ঠাকুরের অটোগ্রাফ চাওয়ার পর কী ঘটেছিল?
Uttam Kumar-Sharmila Tagore In Nayak: সালটা ছিল ১৯৬৬। সেই বছর মুক্তি পেয়েছিল সত্যজিৎ রায় নির্দেশিক 'কাল্ট' মুভি নায়ক। উত্তমকুমার-শর্মিলা ঠাকুর অভিনীত এই সিনেমা যুগে যুগে সমাদৃত। স্বর্ণযুগের বাংলা ছবি হিসেবে উত্তম-শর্মিলার 'নায়ক'-এ মহানায়ক উত্তমকুমার একটি ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। যা দেখে রীতিমতো তাজ্জব বনে গিয়েছিলেন খোদ কিংবদন্তী পরিচালক সত্যজিৎ রায়। একটি সাক্ষাৎকারে সেই গল্প নিজেই করেছিলেন নায়কের স্রষ্ঠা। নায়কের একটি দৃশ্য ছিল, যেখানে উত্তমকুমার ও শর্মিলা ঠাকুর একে অপরের সঙ্গে কথা বলছেন। তখন শর্মিলা তাঁর তুতো বোনের জন্য উত্তমকুমারের অটোগ্রাফ চাইছেন। একটি পেপারে মহানায়ক সই করে দেবেন। পরিচালকের ভাবনায় চিত্রায়িত হয়েছিল এমনই এক দৃশ্য। কিন্তু, উত্তমকুমার নিজের মতো করে সেই দৃশ্য পরিবেশন করেন যা দেখে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়।
আরও পড়ুন: 'আরে মশাই আপনি ক্যামেরার পেছনে ছিলেন তাই তো...', পরিচালকের সঙ্গে দেখা হতেই কী বলেছিলেন উত্তম?
তিনি বলেছিলেন, উত্তমকুমার শট দিতে গিয়ে বুঝেছিলেন পেনের কালি শেষ। পরিচালকের নির্দেশ অনুসারে শটটা হবে না সেই মুহূর্তেই বুঝে গিয়েছিলেন মহানায়ক। সংলাপ না থামিয়ে পেনের নিবকে জলে ডুবিয়ে শর্মিলাকে অটোগ্রাফ দিয়েছিলেন উত্তমকুমার। অভিনেতার উপস্থিত বুদ্ধি দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন প্রবাদপ্রতীম পরিচালক সত্যজিৎ রায়। উত্তমের 'অতিউত্তম' প্রতিভাকে কুর্নিশ জানিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়। সেই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, উত্তমকুমারের মতো একজন প্রতিভাবান অভিনেতার পক্ষেই এটা সম্ভব। একজন স্টার সবসময়ই চেষ্টা করেন নিজের সেরাটুকু দিতে। ছয়ের দশকের কালজয়ী ছবি 'নায়ক' প্রসঙ্গে আরও অনেক অজানা কথা শেয়ার করেছিলেন সত্যজিৎ রায়।
এই ছবিতে উত্তমকুমারের চরিত্রের জন্য খুব বেশি আলোচনাও করেননি তাঁরা। নায়কের পর ১৯৬৭-তে চিড়িয়াখানা-তে আরও একবার পরিচালক-অভিনেতা জুটি সুপারহিট। এই ছবিতে ব্যোমকেশ বক্সীর মতো আইকনিক চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন উত্তমকুমার। মহানায়কের ঝুলিতে হিটের সংখ্যা কতগুলো হাতে গুনে শেষ করা যাবে না। কারণ সিংহভাগ সিনেমাই তো 'কালজয়ী'। অন্যদিকে সত্যজিৎ রায়ও পথের পাঁচালি থেকে অপরাজিত,দেবী-র মতো একগুচ্ছ সর্বকালের সেরা ছবি দর্শককে উপহার দিয়েছেন।