/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/22/cats-2025-08-22-12-04-00.jpg)
শুটিং সেটে বিপত্তি
Dhurandhar Crew Members Food Poison: দিনটা ছিল ১৭ অগাস্ট। রবিবার রণবীর সিং অভিনীত ধুরন্ধর-এর সেটে ঘটে যায় মারাত্মক দুর্ঘটনা। ১০০-এর বেশি ক্রিউ সদস্য ভর্তি হয়েছিলেন লেহ-এর SNM হাসপাতালে। মিডিয়া রিপোর্ট মোতাবেক, খাবারে বিষক্রিয়ার দরুণ এই ভয়াবহু কাণ্ডটি ঘটেছে। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শুটিং সেটে। সূত্রের খবর, অসুস্থদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু-ও ছিল। তবে গুরুতর কোনও ঘটনা ঘটেনি। শুটিং সেটেই খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যা খেয়ে অনেকের বমি শুরু হয় কারও আবার ডায়েরিয়া হয়ে যায়। খাদ্য নিরাপত্তা দফতর খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে কী কারণে বিষক্রিয়া হল তা খতিয়ে দেখেছে। সিনেমার সঙ্গে যুক্ত এক ঘনিষ্ঠ সূত্র বলিউড বাবল-কে জানিয়েছে, লেহ এলাকায় মুরগির মধ্যে দূষণের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।
অন্যদিকে কানাঘুষো, খরচ কমানোর জন্যই নাকি খাবারের গুণগত মানের দিকে নজর দেওয়া হয়নি। এই গুঞ্জন অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে ছবির সঙ্গে যুক্ত সেই ঘনিষ্ঠ সূত্র। তাঁর দাবি, 'সাম্প্রতিককালে তৈরি বিগ বাজেটের ছবিগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। এখানে খরচ বাঁচানোর কোনও প্রশ্নই ওঠে না। লেহ-তে শুটিং করা মোটেই সহজ নয়। ভীষণ কঠিন শুটিং লোকেশন। এখানে ৩০০ জনেরও বেশি সদস্য নিয়ে কাজ চলছে। স্থানীয় দূষণের কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। এই ধরনের হাস্যকর গুজব ছড়ানো ভয়ঙ্কর ব্যাপার।'
আরও পড়ুন শুরুতেই বিরাট ধাক্কা! পাক পতাকা ঘিরে চরম বিতর্ক, নেটপাড়ার রোষানলে রণবীরের 'ধুরন্ধর'
আরও জানান, স্বাস্থ্য এবং ক্রু-সদস্যদের নিরাপত্তা সব সময়েই অগ্রাধিকার পেয়েছে। এখন অতিরিক্ত সতর্কতা এবং সরবরাহকারীদের উপর কঠোর নজরদারি চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ইউনিট আবার কাজ শুরু করেছে। শুটিং প্রায় শেষ পর্যায়ে। আরও কয়েক সপ্তাহের কাজ বাকি আছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যভাগে মুম্বাই ফিরবে টিম ধুরন্ধর। প্রসঙ্গত, SNM হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট সংবাদসংস্থা ANI-কে জানিয়েছিলেন, 'আমাদের চিকিৎসকদের জরুরি ভিত্তিতে ডাকা হয়েছিল। কারণ সেদিন একসঙ্গে অনেক রোগী এসে গিয়েছিল। দিনের শেষে আমাদের প্রায় ১২০টি বেড ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। পরিস্থিতি ভালভাবে সামলানো হয়েছে এবং প্রত্যেককে যত্নসহকারে পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে।'
আরও পড়ুন রণবীরের 'ধুরন্ধর'-র শুটিং-এ ঘটল মারাত্মক ঘটনা, হাসপাতালে শিশু সহ ১০০-র বেশি ক্রিউ মেম্বার
আরও জানান, , 'কিছু রোগী এসেছিলেন ডিহাইড্রেশনের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। কারও আবার পেটব্যথা, বমি, তীব্র গ্যাস্ট্রোএন্টারাইটিস এবং মাথাব্যথা ছিল। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা যথেষ্ট সহযোগিতা পেয়েছি। সঠিক চিকিৎসা প্রদানের স্বার্থে ও ভিড় নিয়ন্ত্রণের সুবিধার্থে আমরা কয়েকজন রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তর করতে সক্ষম হয়েছি।'