Vivek Agnihotri-Taimur-Maharashtrian Food: বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত আপকামিং মুভি 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস।' আগামী ৫ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে ছবিটি। তার আগে কলকাতায় ট্রেলার লঞ্চের অনুষ্ঠানে ঘটে গিয়েছে অপ্রীতিকর ঘটনা। মমতা সরকারের পুলিশ ট্রেলারের প্রদর্শন করতে বাধা দেয়। অভিযোগ, বিবেকের এই ছবি সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক, ইতিহাসকে বিকৃতি করা হয়েছে। পরিচালকের পালটা দাবি, রাজনৈতিকচাপের কারণে সত্যিকে সামনে আনতে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল সরকার। ' দ্য বেঙ্গল ফাইলস' বিতর্কে দ্বিধাবিভক্ত সমাজ। অনেকেই এই ছবিকে সমর্থন করছে আবার কেউ কেউ বিবেকের বিরোধীতা করছেন। পশ্চিমবঙ্গে দ্য বেঙ্গল ফাইলস মুক্তি এখন প্রশ্নচিহ্নের মুখে। এর মাঝে আবার খাদ্য-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন বিবেক। এখানেই শেষ নয়, 'তৈমুর' নাম নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। যদিও পরিচালকের দাবি সইকরিনার ছেলের উদ্দেশে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।
দ্য বেঙ্গল ফাইলস বিতর্ক উসকে মহারাষ্ট্রের খাবার নিয়ে তাঁর বক্তব্যের জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। স্ত্রী পল্লবী যোশীর সঙ্গে ইউটিউব চ্যানেল Curly Tales-এ উপস্থিত হয়েছিলেন পরিচালক। সেখানেই মারাঠি খাবারের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন। যা অনেকের কাছে অবমাননাকর বলে মনে হয়েছে। পল্লবী জানান, বিয়ের পর তিনি মারাঠি খাবার রান্না করতেন। কিন্তু, বিবেক ওই খাবার খুব একটা পছন্দ করতেন না। তিনি প্রায়ই বলতেন, 'গরিবের মতো খাওয়া-দাওয়া কর তোমরা।' পরে অবশ্য তিনি এর স্বাস্থ্যগত গুণাগুণ উপলব্ধি করতে শুরু করেন।
বিবেকর ব্যাখ্যা
বিবেক ব্যখা দিয়ে বলেন, ওই খাবারগুলো প্রথমে তাঁর কাছে অচেনা ছিল। পরিচালকের কথায়, 'ওই খাবারে লবণ থাকে না, আলাদা করে দিতে হয়। লেবুর রসও খাওয়ার সময় দিয়ে নিতে হয়। এরপর পল্লবী আমাকে কাড়ি খেতে দিল। আমি ভেবেছিলাম এতে প্রচুর লাল লঙ্কা থাকবে, কিন্তু মারাঠি কাড়ি আসলে স্বাস্থ্যকর একটি পদ।' দিল্লিতে মশলাদার খাবার খেয়ে বড় হওয়ার কারণে এই ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার তাঁর মুখে রুচি আনত না। বিবেক আরও বলেন, 'আমি যখন বলেছিলাম তোমার কৃষকদের মতো গরিব খাবার খাও তখন ধীরে ধীরে ও উত্তর ভারতের খাবারে অভ্যস্ত হল। এখন অবশ্য আমিও ওঁর বানানো খাবারই খাই।' মারাঠি থালিকে তিনি আখ্যা দেন সবচেয়ে সাশ্রয়ী ও স্বাস্থ্যকর থালি।
সমালোচনার জবাব
শো-এর কিছু অংশ ভাইরাল হওয়ার পর ফের রোষানলে বিবেক। কৃষকদের অপমানের অভিযোগ তোলা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। নিজের পক্ষে সাফাই দিয়ে পরিচালক বলেন, আমি হাসি-ঠাট্টার ছলে কথাগুলো বলেছিলাম। আমার বক্তব্যের প্রথম অংশটাই তুলে ধরা হয়েছে। আজকের দিনে তো সবকিছু এডিট করা হয়। শুধু মারাঠি খাওয়ার নিয়ে মন্তব্যই নয়, তৈমুর নামকরণ নিয়ে মতপ্রকাশের জেরেও রোষানলে বিবেক। প্রসঙ্গত, দ্য বেঙ্গল ফাইলস-এ এক শিশুর নাম তৈমুর রাখা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এরপর পরিচালকের মন্তব্য ঘিরে একেবারে শোরগোল।
আরও পড়ুন 'আমি ইতিহাসবিদ নই যে...', 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস' বিতর্কে মুখ খুললেন বাঙালি অভিনেতা শাশ্বত
তৈমুর নাম বিতর্ক
দ্য রৌনক শো-তে অগ্নিহোত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয় তিনি সত্যিই সইফ আলি খানকে উদ্দেশ্য করে কোনও মন্তব্য করেছেন? বিবেক স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, এমন কোনও অভিপ্রায় তাঁর নেই। তবে তিনি বলেন, নিজের সন্তানের নাম তৈমুর রাখা কখনই উচিত নয়। দ্য কাশ্মীর ফাইলস-এর পরিচালকের মতে, 'অনেকেরই নাম তৈমুর। সইফ প্রথম ব্যক্তি নন যিনি তাঁর সন্তানের নাম তৈমুর রেখেছেন। যখন আমি 'The Tashkent Files'শুট করতে সমরকন্দে গিয়েছিলাম তখন তৈমুরের সমাধিতে যাই। সমাধির বাইরে লেখা আছে 'সে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী সাম্রাজ্য জয় করেছিলেন।' সম্রাট উপাধিও দেওয়া হচ্ছিল কিন্তু, দিল্লি জয় না করে সেই উপাধি গ্রহণে রাজি হননি।
বিবেক আরও বলেন, 'তৈমুর এক রাতে একলক্ষ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলেন। দিল্লি থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত হত্যালীলা চালান। ধর্ষণ, লুঠপাট কিছুই বাকি রাখেননি। নিজের দেশে অবশ্যই তিনি দেশনায়ক, কিন্তু আমাদের কাছে নন। তাই ছেলের নাম তৈমুর রাখা কখনই উচিত নয়।'
আরও পড়ুন 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস' বিতর্কে সরকারকে তোপ মিঠুনের, নাম না করে বিবেককে 'অশিক্ষিত' বললেন বিরশার
Vivek Agnihotri: 'মারাঠি খাবার তো...', গরীব কৃষকদের অপমানের অভিযোগ! বিবেকের নিশানায় সইফ-করিনার ছোট্ট তৈমুর?
Vivek Agnihotri Controversy: 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস' বিতর্কের মাঝে আবার খাদ্য-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন বিবেক। এখানেই শেষ নয়, 'তৈমুর' নাম নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। জেনে নিন বিস্তারিত।
Vivek Agnihotri Controversy: 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস' বিতর্কের মাঝে আবার খাদ্য-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন বিবেক। এখানেই শেষ নয়, 'তৈমুর' নাম নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। জেনে নিন বিস্তারিত।
ফের বিতর্ক!
Vivek Agnihotri-Taimur-Maharashtrian Food: বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত আপকামিং মুভি 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস।' আগামী ৫ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে ছবিটি। তার আগে কলকাতায় ট্রেলার লঞ্চের অনুষ্ঠানে ঘটে গিয়েছে অপ্রীতিকর ঘটনা। মমতা সরকারের পুলিশ ট্রেলারের প্রদর্শন করতে বাধা দেয়। অভিযোগ, বিবেকের এই ছবি সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক, ইতিহাসকে বিকৃতি করা হয়েছে। পরিচালকের পালটা দাবি, রাজনৈতিকচাপের কারণে সত্যিকে সামনে আনতে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল সরকার। ' দ্য বেঙ্গল ফাইলস' বিতর্কে দ্বিধাবিভক্ত সমাজ। অনেকেই এই ছবিকে সমর্থন করছে আবার কেউ কেউ বিবেকের বিরোধীতা করছেন। পশ্চিমবঙ্গে দ্য বেঙ্গল ফাইলস মুক্তি এখন প্রশ্নচিহ্নের মুখে। এর মাঝে আবার খাদ্য-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন বিবেক। এখানেই শেষ নয়, 'তৈমুর' নাম নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। যদিও পরিচালকের দাবি সইকরিনার ছেলের উদ্দেশে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।
দ্য বেঙ্গল ফাইলস বিতর্ক উসকে মহারাষ্ট্রের খাবার নিয়ে তাঁর বক্তব্যের জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। স্ত্রী পল্লবী যোশীর সঙ্গে ইউটিউব চ্যানেল Curly Tales-এ উপস্থিত হয়েছিলেন পরিচালক। সেখানেই মারাঠি খাবারের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন। যা অনেকের কাছে অবমাননাকর বলে মনে হয়েছে। পল্লবী জানান, বিয়ের পর তিনি মারাঠি খাবার রান্না করতেন। কিন্তু, বিবেক ওই খাবার খুব একটা পছন্দ করতেন না। তিনি প্রায়ই বলতেন, 'গরিবের মতো খাওয়া-দাওয়া কর তোমরা।' পরে অবশ্য তিনি এর স্বাস্থ্যগত গুণাগুণ উপলব্ধি করতে শুরু করেন।
বিবেকর ব্যাখ্যা
বিবেক ব্যখা দিয়ে বলেন, ওই খাবারগুলো প্রথমে তাঁর কাছে অচেনা ছিল। পরিচালকের কথায়, 'ওই খাবারে লবণ থাকে না, আলাদা করে দিতে হয়। লেবুর রসও খাওয়ার সময় দিয়ে নিতে হয়। এরপর পল্লবী আমাকে কাড়ি খেতে দিল। আমি ভেবেছিলাম এতে প্রচুর লাল লঙ্কা থাকবে, কিন্তু মারাঠি কাড়ি আসলে স্বাস্থ্যকর একটি পদ।' দিল্লিতে মশলাদার খাবার খেয়ে বড় হওয়ার কারণে এই ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার তাঁর মুখে রুচি আনত না। বিবেক আরও বলেন, 'আমি যখন বলেছিলাম তোমার কৃষকদের মতো গরিব খাবার খাও তখন ধীরে ধীরে ও উত্তর ভারতের খাবারে অভ্যস্ত হল। এখন অবশ্য আমিও ওঁর বানানো খাবারই খাই।' মারাঠি থালিকে তিনি আখ্যা দেন সবচেয়ে সাশ্রয়ী ও স্বাস্থ্যকর থালি।
সমালোচনার জবাব
শো-এর কিছু অংশ ভাইরাল হওয়ার পর ফের রোষানলে বিবেক। কৃষকদের অপমানের অভিযোগ তোলা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। নিজের পক্ষে সাফাই দিয়ে পরিচালক বলেন, আমি হাসি-ঠাট্টার ছলে কথাগুলো বলেছিলাম। আমার বক্তব্যের প্রথম অংশটাই তুলে ধরা হয়েছে। আজকের দিনে তো সবকিছু এডিট করা হয়। শুধু মারাঠি খাওয়ার নিয়ে মন্তব্যই নয়, তৈমুর নামকরণ নিয়ে মতপ্রকাশের জেরেও রোষানলে বিবেক। প্রসঙ্গত, দ্য বেঙ্গল ফাইলস-এ এক শিশুর নাম তৈমুর রাখা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এরপর পরিচালকের মন্তব্য ঘিরে একেবারে শোরগোল।
আরও পড়ুন 'আমি ইতিহাসবিদ নই যে...', 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস' বিতর্কে মুখ খুললেন বাঙালি অভিনেতা শাশ্বত
তৈমুর নাম বিতর্ক
দ্য রৌনক শো-তে অগ্নিহোত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয় তিনি সত্যিই সইফ আলি খানকে উদ্দেশ্য করে কোনও মন্তব্য করেছেন? বিবেক স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, এমন কোনও অভিপ্রায় তাঁর নেই। তবে তিনি বলেন, নিজের সন্তানের নাম তৈমুর রাখা কখনই উচিত নয়। দ্য কাশ্মীর ফাইলস-এর পরিচালকের মতে, 'অনেকেরই নাম তৈমুর। সইফ প্রথম ব্যক্তি নন যিনি তাঁর সন্তানের নাম তৈমুর রেখেছেন। যখন আমি 'The Tashkent Files'শুট করতে সমরকন্দে গিয়েছিলাম তখন তৈমুরের সমাধিতে যাই। সমাধির বাইরে লেখা আছে 'সে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী সাম্রাজ্য জয় করেছিলেন।' সম্রাট উপাধিও দেওয়া হচ্ছিল কিন্তু, দিল্লি জয় না করে সেই উপাধি গ্রহণে রাজি হননি।
বিবেক আরও বলেন, 'তৈমুর এক রাতে একলক্ষ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলেন। দিল্লি থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত হত্যালীলা চালান। ধর্ষণ, লুঠপাট কিছুই বাকি রাখেননি। নিজের দেশে অবশ্যই তিনি দেশনায়ক, কিন্তু আমাদের কাছে নন। তাই ছেলের নাম তৈমুর রাখা কখনই উচিত নয়।'
আরও পড়ুন 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস' বিতর্কে সরকারকে তোপ মিঠুনের, নাম না করে বিবেককে 'অশিক্ষিত' বললেন বিরশার