/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/21/cats-2025-09-21-12-45-15.jpg)
কী অবস্থা হত জুবিনের...
জুবিনের মৃত্যু হাজারো প্রশ্ন তুলে দিয়েছে গোটা ভারতের মনের মধ্যে। সকলের একটাই বক্তব্য, এই মৃত্যু কি স্বাভাবিক নাকি ষড়যন্ত্র? অসমের বুকে আসন্ন দুর্গোৎসবের কোনও আনন্দ নেই। কারণ, যেখানে প্রতিটা প্যান্ডেলে মা দুর্গার গান বাজে, সেখানে জুবিনের ফটো এবং সাদা ফুলে সজ্জিত চারপাশ। গতকাল অসম দেখিয়েছে একজন মানুষকে কীভাবে ভালবেসে তাঁর শেষযাত্রায় শরিক হয়েছেন।
কিন্তু, বিতর্ক পিছু ছাড়েনি তাঁর। জুবিন বেঁচে থাকাকালীন তিনি অসমের জন্য রাষ্ট্রের বিরোধিতা পর্যন্ত করেছেন। এমনকি, কিছুদিন আগেও তাঁর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায় মদ্যপ অবস্থায় তিনি স্টেজে উঠে গান গাইতে গিয়ে ট্রোল হন। তাঁর গলার আওয়াজ সেদিন ভেঙ্গে আসছিল এবং সেই জুবিনকে যেন কেউ চিনতে পারছিলেন না। অনেকেই বলেছিলেন, জুবিনের আর পারফর্ম করার শক্তি নেই।
Geeta Bali: অন্ধ বাবার সঙ্গে অভাবের সংসার, সাফল্যের মধ্যগগনে বিয়ে, মাত্র ৩৪-এ গুটি বসন্তে মৃত্যু কিংবদন্তি অভিনেত্রীর
তবে, তাঁর মৃত্যুর পর থেকে আলোচনা তুঙ্গে। এবং, খেয়াল করলে দেখা যাবে তাঁর ভক্তদের সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই এই আঘাত মানতে পারছেন না। তবে জুবিন নাকি খুব অস্বস্তিতে থাকতেন আগে থেকেই। তাঁর নাকি শারীরিক অবস্থা ঠিক ছিল না অনেকদিন ধরেই। প্রকাশ্যেই সেসব কথা জানালেন সুরকার অনু মালিক। অসমের প্রিয় গায়ক ও সাংস্কৃতিক প্রতীক জুবিন গর্গের আকস্মিক মৃত্যুর খবর শুনে সঙ্গীত পরিচালক অনু মালিক গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। দু’জন একসাথে কাজ করেছেন মিশন ইস্তাম্বুল (২০০৮) এবং ম্যায় প্রেম কি দিওয়ানি হুন (২০০৩) সহ একাধিক ছবিতে।
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জুবিনকে স্মরণ করে অনু মালিক বলেন, "তিনি অত্যন্ত কোমল ও ভালোবাসায় ভরা একজন মানুষ ছিলেন। এর থেকে বড় প্রশংসা আর কী হতে পারে? আমার প্রথম পরিচয় হয়েছিল আসামের এক পরিচিতের মাধ্যমে। আমি তাকে ফিজা ছবির গান গাইতে বলি এবং সেই থেকে আমরা যেন একই আগুনে জ্বলা দুটি স্ফুলিঙ্গের মতো একজোটে অনেক কাজ করেছি।"
Zubeen Garg Demise: জুবিনের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে, এই কারণেই মৃত্যু অসমের গায়কের..?
তিনি তাঁর বোনকে দুর্ঘটনায় হারিয়েছিলেন এবং সে বিষয়ে তিনি খুব মর্মাহত হয়ে পড়েন। আমাকে তিনি জানিয়েছিলেন যে তিনি অসমীয়া, বাংলা, মণিপুরি, বোরো, এমনকি মারাঠি ও মালয়ালম ভাষায়ও গান গেয়েছেন। তাঁর লাইভ কনসার্ট দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখত। তবে আমায় ও বলেছিল, মাঝেমধ্যে শরীর ঠিক থাকত না। মাঝেমধ্যেই, ব্ল্যাকআউট হয়ে যেত ও। আমি বললাম, একবার চেকাপ করিয়ে নাও। তারপর আর ফোন করল না। চলে গেল। জুবিনের মৃত্যু সংবাদ সত্যিই হৃদয়বিদারক।"
অসমের প্রতি তাঁর ভালবাসা ছিল সাংঘাতিক। পাহাড়ের ডাকে চলে যেতেন তিনি। অনু মালিকের কথায়, আসামের গন্ধ ওর শরীরে মিশে থাকত। খালি বলত, পাহাড় ডাকছে আমায়। বেরিয়ে পড়ত। আমি ভাবতে পারছি না। খুব কাছের মানুষ ছিল আমার। কিন্তু মুম্বইয়ে থাকতে চাইত না। বলত, আপনি ডাকলে আমি চলে আসব গানের জন্য, কিন্তু..." আজও অনুর স্মৃতিতে ভেসে আছেন জুবিন।