তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল আবু গণি খান চৌধুরীর ছত্রছায়ায়। একা হাতে এবার কংগ্রেসের নৌকো সামলেছেন তিনি। তারই পুরস্কার পেলেন বহরমপুরের অধীর চৌধুরী। অধীরকে সংসদে দলের নেতা নির্বাচিত করেছে কংগ্রেস।
পাঁচবারের সাংসদ এবার টেক্কা দিয়েছেন কংগ্রেসের প্রবীণতম সাংসদ কোডিক্কুন্নিল শাহ এবং শশী তারুরকে। ষোড়শ লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা ছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে, তিনি এবার ভোটে হেরেছেন।
আরও পড়ুন, লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা বাংলার অধীর চৌধুরী
৬৩ বছর বয়সী অধীরের জনপ্রিয়তা আন্দাজ করা যায় একটা হিসেব থেকে। গোটা রাজ্য়ে কংগ্রেস যখন অপ্রাসঙ্গিক, সে সময়েই বহরমপুর থেকে তিনি জিতেছেন ৮০ হাজার ভোটে।
১৯৫৬ সালের ২ এপ্রিল বহরমপুরে জন্মগ্রহণ করেন অধীর চৌধুরী। বামফ্রন্ট শরিক আরএসপির গড় বহরমপুর থেকে ১৯৯৯ সালে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। মনে রাখতে হবে ১৯৫১ সালের পর থেকে এ আসনে কখনও জেতেনি কংগ্রেস। ১৯৫২ সাল থেকে এ আসনে জিতত আরএসপি-ই।
তারপর থেকে আর কখনও পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হয়নি অধীরকে। বিগত সহস্রাব্দের শেষ বছর থেকে সেই যে সংখ্য়ালঘু অধ্য়ুষিত, পিছিয়ে পড়া জেলার কেন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হল অধীরের, দু দশক পরেও তা অটুট।
তারপর থেকে তাঁর জয়ের মার্জিন বাড়তে থেকেছে, মুর্শিদাবাদ জেলার সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্য়ক্তি হয়ে উঠেছেন তিনি। এমনকী ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে বহরমপুর লোকসভার সাতটি বিধানসভা আসনেই জিতেছিলেন কংগ্রেস প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন, বিজেপিকে ময়লাকুড়ুনি বললেন মমতা
দশকের পর দশক ধরে বন্য়া হোক কিংবা বিবাহ, অথবা চাকরি-বাকরি, সব সময়েই মানুষ কাছে পেয়েছেন অধীর চৌধুরীকে। গরিবের বন্ধু বলে পরিচিত অধীরকে মানুষ কখনও আখ্য়া দিয়েছে মুর্শিদাবাদের নবাব কিংবা বহরমপুরের রবিনহুড বলে।
২০১৬ সালে যখন তাঁদের ডিভোর্সের মামলা শুরু হয়, সে সময়ে অধীর চৌধুরীর প্রথম স্ত্রী অর্পিতা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। অর্পিতার ভাই অরিৎ মজুমদার এখন বহরমপুর মহকুমা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান।