নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএএ) ২০১৯ তিনটি দেশের অমুসলিম অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রাপ্তির বিষয়টি সহজ করে দিয়েছে। এর আগে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সংবিধান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এবার আফগানিস্তানের বিষয়টি একবার দেখে নেওয়া যাক।
সংবিধানের ইতিহাস
এ দেশের ইতিহাসের দীর্ঘ সময় জুড়ে রয়েছে যুদ্ধ আর বারবার বহিঃশত্রুর আক্রমণ। কিন্তু কোনও দেশই আফগানিস্তানকে বেশিদিন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। এমনকি ১৮৩৯ সাল থেকে তিন তিনবার যুদ্ধ করেও আফগানিস্তানকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়েছে, ব্রিটিশরা- শেষবার, ১৯১৯ সালের যুদ্ধে তারা পরাজিত হয়েছে। আফগানিস্তান ব্রিটিশ ভারতের অংশও ছিল না, এবং ভারতের সঙ্গে তাদের দেশভাগও হয়নি- যেমনটি নতুন নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে। রাওয়ালপিণ্ডি চুক্তির জেরে ১৯১৯ সালে আফগানিস্তান স্বাধীন হয়। একইসঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গেও তারা মিত্রচুক্তি করে।
১৯২১ সালে রাজা আমানুল্লা প্রথমবার আফগানিস্তানের সংবিধান লাগু করেন। ফের তা লাগু হয় ১৯২৩ সালে। কিন্তু ১৯২৯ সালে তাজিকরা তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়। ১৯৩১ সালে নয়া সংবিধান লাগু হয়। ১৯৫২ সালে ক্ষমতায় আসে একটি অতি দক্ষিণপন্থী দল। ১৯৫৪ সালে জেনারেল দাউদ খান প্রধানমন্ত্রী হন।
আরও পড়ুন, নাগরিকত্ব বিক্ষোভে ফৈয়াজের কবিতা, ইকবাল বানোর গান
১৯৬৪ সালে আফগানিস্তানের গ্র্যান্ড অ্যাসেম্বলি (লোয়া জিরগা)-তে সংবিধান গৃহীত হয়। তাতে স্বাক্ষর করেন রাজা জাহির শাহ। এতে সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের কথা বলা হয় এবং আইনের দুটি বিভাগ থাকে। দেশের জন্য ন্যস্ত হয় সার্বভৌমত্ব। ২ নং অনুচ্ছেদে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের থেকে এক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে উল্লেখ করে দেওয়া হয় সমস্ত ধর্মীয় আচারবিধি মেনে চলা হবে সুন্নি হানাফি মতবাদ অনুসারে। ফলে, অন্য মুসলিম সম্প্রদায় এক অর্থে সংখ্যালঘু হয়ে পড়েন। কিন্তু ওই একই অনুচ্ছেদে বলা হয়, সমস্ত অমুসলিমরা নিজ নিজ আচারবিধি পালন করার ব্যাপারে স্বাধীন।
সংবিধানের তিন নং পরিচ্ছেদে অধিকার ও কর্তব্যের কথা লিখিত রয়েছে। (ভারতে মৌলিক কর্তব্যের বিষয়টি ১৯৭৬ সালে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে) প্রথম অনুচ্ছেদে ঘোষণা করা হয়েছে আফগানিস্তানের মানুষ কোনও বৈষম্য বা অতিরিক্ত সুবিধা ব্যতিরেকে আইনের চোখে সমান। ২৬ নং অনুচ্ছেদে স্বাধীনতার অধিকারের আওতায় বলা হয়েছে অন্যের স্বাধীনতা ও জনস্বার্থ বিঘ্নিত না করে সীমাহীন স্বাধীনতা উপভোগ করা যাবে। বলা হয়েছে প্রতিটি মানুষের স্বাধীনতা ও সম্মান রক্ষা রাষ্ট্রের কর্তব্য। সংবিধানে মুসলিম বা অন্য কোনও ধর্মাবলম্বীর স্বাধীনতার উল্লেখ করা হয়নি।
সোভিয়েত অনুপ্রবেশ
১৯৭৮ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে কম্যুনিস্ট পার্টি ক্ষমতা দখল করে এবং বৈপ্লবিক সংস্কার সাধন করে। রাষ্ট্রসংঘ এই অনুপ্রবেশের নিন্দা করে। রাশিয়ার সঙ্গে এক দশকের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে আফগান বিদ্রোহীদের মদত দেয় আমেরিকা। ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত সেনা প্রত্যাহৃত হয় এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের সমর্থনে চলা সরকারের পতন ঘটে ১৯৯২ সালে। ১৯৯২ সাল পর্যন্ত কম্যুনিস্ট শাসনে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নিপীড়নের কোনও অভিযোগ ওঠেনি।
১৯৯৫ সালে, ইসলামি সামরিক শক্তি সম্পন্ন তালিবানরা ক্ষমতায় আসে। তারা মহিলাদের শিক্ষার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং ইসলামি আইন ও শাস্তিপ্রথা চালু করে। ২০০১ সালে বামিয়ানে তারা বৌদ্ধমূর্তি ধ্বংস করে। ৬ বছরের তালিবান শাসনে নিগৃহীত হন মুসলিমরাও। ২০০১ সালের ২২ ডিসেম্বর হামিদ কারজাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। বর্তমান সংবিধান গৃহীত ও অনুমোদিত হয় ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে।
ধর্মীয় ও সংখ্যালঘুর অধিকার
আফগানিস্তানের সংবিধান শুরু হয় আল্লার বন্দনা করে এবং শেষ প্রফেট ও তাঁর শিষ্যদের আশীর্বাণীর মাধ্যমে। প্রস্তাবনায় সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে আফগানিস্তান সে দেশের সমস্ত মানুষ ও জনজাতিদের জন্য। আফগানিস্তানের সংবিধানে রাষ্ট্রসংঘের সনদ ও সার্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণাপত্রের প্রতি দায়বদ্ধতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যার ফলে অমুসলিমদের অধিকার এবং বৈষম্যহীনতার প্রেক্ষিতটি বিস্তৃত হয়েছে। উল্লেখ্য ভারতীয় সংবিধানে রাষ্ট্রসংঘের সনদ বা সার্বজনীন মানাধিকারের ঘোষণাপত্রের প্রতি দায়বদ্ধতার কথা বলা নেই।
আরও পড়ুন, এনপিআর ও এনআরসি আলাদা বটে, তবে…
ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করা হলেও সংবিধানের ২ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে অন্য ধর্মের অনুসারীরাও আইনি সীমার মধ্যে থেকে তাঁদের নিজস্ব ধর্মীয় আচরণ পালন করতে পারবেন। ৩ নং অনুচ্ছেদটি সমস্যায়িত। এখানে বলা রয়েছে ইসলামের বিধি ও মতের মধ্যে কোনওরকম আইন আসতে পারবে না। ৩৫ নং অনু্চ্ছেদে বলা হয়েছে, ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা, জনজাতিবাদ, সংকীর্ণতা ও ভাষার ভিত্তিতে কোনও দল গঠন করা যাবে না। ৮০ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে কোনও ধর্মীয় কার্যকলাপে যোগ দেবার জন্য মন্ত্রীরা নিজের পদ ব্যবহার করতে পারবেন না। ১৪৯ নং অনুচ্ছেদে ইসলামের নীতি ও ইসলামি প্রজাতন্ত্রবাদের কোনও রকম সংস্কার নিষিদ্ধ। এখানে বলা হয়েছে মৌলিক অধিকারের উন্নয়ন ও নিশ্চয়তা বৃদ্ধির জন্য সংশোধন করা যেতে পারে, সেগুলি নিশ্চিহ্ন করা বা খর্ব করার জন্য কোনও সংশোধন করা যাবে না।
২২ নং অনুচ্ছেদের আওতায় প্রথম মৌলিক অধিকারে রাষ্ট্র ও নাগরিকের মধ্য যে কোনওরকম বৈষম্য নিষিদ্ধ। এখানে বলা হয়েছে সমস্ত নাগরিকদের সমানাধিকার ও সমান কর্তব্য রয়েছে। ভারতে সমতার অধিকার দেওয়া হয়েছে অনাগরিককেও। আফগানিস্তান সংবিধানের ৫৭ নং ধারায় বলা হয়েছে আইনের সঙ্গে সাম্য বজায় রেখে বিদেশিদেরও অধিকার ও স্বাধীনতা রয়েছে।
ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সংবিধানে যা নেই, আফগানিস্তান সংবিধানের ২৯ নং অনুচ্ছেদে সুনির্দিষ্টভাবে নিপীড়ন শব্দটির উল্লেখ রয়েছে। এখানে মানুষের নিপীড়ন নিষিদ্ধ। ফলে আফগানিস্তানে ধর্মীয় নিপীড়নের অভিযোগ সে দেশের সংবিধানের মর্মবস্তু অনুসারে অসম্ভব। কেবলমাত্র তালিবানি শাসনের ক্ষুদ্র সময়কালে তেমনটা ঘটেছে। আফগানিস্তানের সংবিধানের ৫৮ নং অনুচ্ছেদে স্বাধীন মানবাধিকার কমিশনকে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, ভারতে যা নেই। ভারতে কেবলমাত্র তফশিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি কমিশনকে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়া রয়েছে।
নাগরিকত্ব
১৯২২ সালে আফগানিস্তানের নাগরিকত্ব আইন ছিল হস্তলিখিত। ১৯২৩ সালের সংবিধানের ৮ নং অনুচ্ছেদে দেশের সব বাসিন্দাকে ধর্ম নির্বিশেষে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। এর উদ্দেশ্য নাগরিকত্ব দেওয়া ছিল না, উদ্দেশ্য ছিল তাজিরকা বা জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান। এ দেশেও ভারতীয় নাগরিকদের জাতীয় পঞ্জী (এনআরআইসি)-র ধারণা এসেছিল জাতীয় পরিচয়পত্র আইন ২০০৩ আইনানুসারে। আফগানিস্তান সংবিধানের ৮ নং অনুচ্ছেদে নাগরিকত্ব প্রদান করা হয় কেবলমাত্র পুরুষদের। নাগরিকত্ব প্রদানের ভিত্তি ধরা হয় রক্তের সম্পর্ককে। ১৯৩৬ সালের ৭ নভেম্বর এ দেশে নতুন নাগরিকত্ব আইন তৈরি হয় এবং তা তৈরি হয় ১৯৩০ সালের হেগ কনভেনশন অনুসারে, যেখানে জন্মের মাধ্যমে নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়। ২ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে আফগান বাবা-মায়ের সন্তান, তা সে দেশেই জন্মগ্রহণ করুক বা বিদেশে- আফগান নাগরিক হিসেবে গণ্য।
ভারতের সংবিধান ও প্রথম নাগরিকত্ব আইনও জন্মের ভিত্তিতেই ছিল। কিন্তু ১৯৮৬ ও ২০০৩ সালের সংশোধনীর পর এখন রক্তের সম্পর্কই গৃহীত নীতি। বর্তমান আইনানুসারে ৩১ ডিসেম্বর ২০০৩-এর পর জন্মগ্রহণ করা শিশুর ক্ষেত্রে বাবা-মা দুজনকেই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। আফগানিস্তানে পাঁচ বছর বসবাসকারী যে কোনও বিদেশি আফগান নাগরিকত্ব পেতে পারেন। নির্ভরতা নীতির ভিত্তিতে, কোনও মহিলা যদি বিদেশি বিয়ে করতেন, তাহলে তিনি নাগরিকত্ব হারাতেনন, তবে তাঁর যদি বিবাহবিচ্ছেদ হত, সে ক্ষেত্রে তিনি নাগরিকত্ব ফিরে পেতেন। অ-আফগান মহিলা যদি আফগান পুরুষকে বিয়ে করতেন, তাহলে তাঁকেও নাগরিকত্ব দেওয়া হত।
কম্যুনিস্ট শাসন কিছু বদল এনেছিল। ১৯৮৬ সালের ৫ মে আফগানিস্তান গণ প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে আইনি ও রাজনৈতিক সম্পর্কের নির্ধারক হয় নাগরিকত্ব। ভারতের ক্ষেত্রে এরকম কোনও সংজ্ঞা নেই। প্রথমবার আফগানিস্তানে দ্বৈত নাগরিকত্ব অবলুপ্ত হয়। বিবাহিতা মহিলাদের ক্ষেত্রে গৃহীত হয় আত্মনির্ভরতা নীতি।
১৯৭৯ সালে বিদেশি শক্তিকে সাহায্য করার জন্য রাজার নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়। ১৯৯২ সালে নয়া সরকার তা ফিরিয়ে দেয়। আফগানিস্তান প্রজাতন্ত্রের নতুন আইন লাগু হয় ১৯৯২ সালের ১৫ মার্চ। কিন্তু তাতে কোনও বড়সড় বদল ঘটানো হয়নি। কেবলমাত্র নাগরিকত্ব ত্যাগের ক্ষেত্রে সংসদীয় অনুমোদন ও প্রেসিডেন্টের সম্মতি প্রয়োজন। এই আইন ২০০০ সালের ১১ জুন আফগানিস্তানের ইসলামি এমিরেট দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। ২৮ নং অনুচ্ছেদের আওতায় একজন আফগান মহিলা বিদেশি বিয়ে করেও এখন নাগরিক থাকতে পারেন। ৯(২) অনু্চ্ছেদের আওতায় আফগান বাবা-মায়ের সন্তান আফগানিস্তানে বা বিদেশে জন্মগ্রহণ করলেও আফগান নাগরিক। এমনকি কোনও বিদেশির সন্তান যদি আফগানিস্তানে জন্মগ্রহণ করে, তাহলে ১৮ বছর বয়স হবার পর আফগানিস্তানে থাকতে চাইলে সে শিশুও নাগরিকত্ব পাবার অধিকারী এবং আরও ৬ মাসের মধ্যে যদি সে বাবা-মায়ের দেশের নাগরিকত্ব পাবার জন্য আবেদন না করে। ২০০১ সালে ফের দ্বৈত নাগরিকত্ব চালু হয়।
১২ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, যদি কোনও শিশু আফগানিস্তানে জন্মায় এবং তার বাবা মা যদি নথি দিয়ে দেখাতে পারেন যে তাঁরা নাগরিকত্ব পাচ্ছেন না, তাহলে ওই শিশু আফগান নাগরিক বলে গণ্য হবে। ভারত যদি এ নীতি গ্রহণ করত, তাহলে আসাম এনআরসি-তে অন্তর্ভুক্ত হতে পারত ২ লক্ষ শিশু। ১৯৫৪ সালের রাষ্ট্রহীন নাগরিকদের অধিকার সম্পর্কে রাষ্ট্রসংঘের সনদ মোতাবেক সমস্ত রাষ্ট্রহীন মানুষ আফগান নাগরিক বলে গণ্য। স্বাভাবিক ভাবে নাগরিকত্বের জন্য সে দেশে পাঁচ বছর বসবাস করতে হয়।
সোভিয়েত অনুপ্রবেশ এবং তৎপরবর্তী সংঘাতের পরে, আফগানিস্তানের লাখো লাখো মানুষ দেশ ছাড়েন। ২০১৭ সালে, ১৭৭৩ জন নাগরিকত্ব ছাড়ার আবেদন জানান। এঁদের মধ্যে হিন্দু ও শিখরাও ছিলেন। সমস্ত অভিবাসন ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ঘটেনি।
বর্তমান সংবিধানের ৪ নং অনুচ্ছেদে ঘোষিত হয়েছে যাণরা আফগানিস্তানের নাগরিক এবং যাঁদের সঙ্গে আফগান শব্দ জুড়ে রয়েছে, তাঁদেরকে নিয়েঅ আফগানিস্তান দেশ। স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট বিবৃতির মাধ্যমে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তিকেই নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করা হবে না। ২৮ নং অনুচ্ছেদে একে মৌলিক অধিকার বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে কোনও আফগান নাগরিককে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করা হবে না এবং দেশে শাস্তি দেওয়া হবে না বা বিদেশে খেদিয়ে দেওয়া হবে না। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মতই আফগানিস্তানে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব সুনিশ্চিত করা বা তাকে অস্বীকার করার উল্লেখ নেই।
(ফৈজান মুস্তাফা সাংবিধানিক আইন বিশেষজ্ঞ ও হায়দরাবাদের নালসার আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য)