কোভিডের হাওয়ায় বদলের খেলা। সোমবার পরীক্ষার নয়া ঘোষণা করেছে সিবিএসই মানে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন। তা নিয়েই চলছে নতুন আলোচনা, কাটাছেঁড়া। সিবিএসই-র সেই সিদ্ধান্তটা কী রকম: দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা এই শিক্ষাবর্ষের শেষে দু'ভাগে নেবে বোর্ড। দুটি পরীক্ষা হবে দু'রকম ভাবে। এখনও পর্যন্ত যা পরিকল্পনা রয়েছে, তাতে করে এ বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে প্রথম দফার পরীক্ষা এবং পরের বছর মার্চ-এপ্রিলে দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা হবে। তবে দু'দফার পরীক্ষার ফরম্যাট আলাদা।
প্রথম দফার পরীক্ষার ক্ষেত্রে দিনক্ষণ নমনীয় থাকবে। যাকে বলা হচ্ছে, ফ্লেক্সিবল শিডিউল। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এমনকী বিদেশেও যে সব স্কুল রয়েছে, তাদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তাই এই ব্যবস্থা। এ ক্ষেত্রে উইন্ডো পিরিয়ড থাকছে চার থেকে আট সপ্তাহ। প্রশ্নপত্র মাল্টিপল চয়েস মূলত। পরীক্ষার সময় ৯০ মিনিট। সিলেবাসের ৫০ শতাংশের উপর ভিত্তি করে হবে এই প্রথম দফা। দ্বিতীয় দফায় কোথায় পরীক্ষা হবে, মানে কোথায় কে পরীক্ষা দিতে যাবে, তা স্থির করে দেবে বোর্ড। প্রশ্নপত্র দু'ঘণ্টার। এবং বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন থাকবে। যেমন সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন, রচনাধর্মী প্রশ্ন ইত্যাদি। সার্কুলারে সিবিএসই সোমবার এমনই জানিয়েছে।
আরও পড়ুন WBJEE 2021: ছয় দিন পিছিয়ে ১৭ জুলাই রাজ্য জয়েন্ট পরীক্ষা, বাড়ির সামনেই সেন্টার
কী করে ইন্টার্নাল অ্যাসেসমেন্ট হবে?
স্বাভাবিক ভাবেই বোর্ডের স্থির করা দু'দফার পরীক্ষার বাইরে এই ইন্টার্নাল অ্যাসেসমেন্ট। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন রকম ইন্টার্নাল অ্যাসেসমেন্টের মধ্য দিয়ে যায়। ক্লাস নাইন ও টেনের ক্ষেত্রে তিন দফায় পরীক্ষা হয় স্কুলে, আর তাছাড়া প্র্যাকটিক্যাল, প্রজেক্ট ইত্যাদি ইন্টার্নাল অ্যাসেসমেন্টের কাজে আসবে। ক্লাস ইলেভেন টুয়েলভে হয় ইউনিট টেস্ট, প্রাক্টিক্যাল, প্রজেক্ট ইত্যাদি। তার মাধ্যমে হবে ওই অ্যাসেসমেন্ট।
আরও পড়ুন দশম-একাদশ শ্রেণির রেজাল্টের ভিত্তিতে Class 12-এর ফল প্রকাশ!
কী হবে যদি কোভিড আবার মাথাচাড়া দেয়?
কোভিডের কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা পুরোদস্তুর নিয়েছে বোর্ড।
১. যদি দু'দফার পরীক্ষায় বসতে পারে ছাত্রছাত্রীরা তাহলে তো ল্যাটা চুকেই গেল। সে ক্ষেত্রে নম্বর দুই দফার মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।
২. আর যদি প্রথম দফার পরীক্ষা সেন্টার থেকে না দিতে পারে ছাত্র-ছাত্রীরা, তাহলে বাড়ি থেকে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হবে। সংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন বা এমসিকিউ-এর মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হবে এবং নম্বর কম থাকবে। সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় দফা বা টার্ম টু পরীক্ষার নম্বর বাড়বে।
৩. যদি দেখা যায়, প্রথম দফা বা টার্ম ওয়ানের পরীক্ষা দিতে পারল ছাত্র-ছাত্রীরা, কিন্তু দ্বিতীয় পরীক্ষায় মূর্তিমান বাধা হয়ে দাড়াল কোভিড, সে ক্ষেত্রে প্রথম দফার পরীক্ষার নম্বর এবং বিভিন্ন ইন্টার্নাল অ্যাসেসমেন্টের নম্বর যোগ করে ফল প্রকাশ করা হবে।
৪. যদি দুটো পরীক্ষার মধ্যে কোনওটিই কেন্দ্রে গিয়ে দেওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে ইন্টার্নাল অ্যাসেসমেন্ট, প্র্যাকটিক্যাল প্রজেক্টওয়ার্ক ইত্যাদি এবং বাড়ি থেকে দেওয়া দু'দফার পরীক্ষার ফলাফল বিচার করে চূড়ান্ত নম্বর দেওয়া হবে।
ছাত্রছাত্রীরা ও বোর্ডকে এই ভাবে কোভিড যে আর কত ঘোল খাওয়াবে, জানা নেই।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন