BrahMos missile Explained: আছড়ে পড়ল BrahMos, সুপারসনিক অস্ত্রের ক্ষমতা দেখে চোখ কপালে পাকিস্তানিদের

BrahMos missile: এই 'ফায়ার অ্যান্ড ফরগেট' সুপারসনিক অস্ত্রের ইতিহাস ও ক্ষমতা তাক লাগানোর মত। ব্রাহ্মসের ক্ষমতা দেখে ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের ফৌজও।

BrahMos missile: এই 'ফায়ার অ্যান্ড ফরগেট' সুপারসনিক অস্ত্রের ইতিহাস ও ক্ষমতা তাক লাগানোর মত। ব্রাহ্মসের ক্ষমতা দেখে ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের ফৌজও।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
BrahMos: ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র।

BrahMos: ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র।

India Pakistan BrahMos: সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষের সময় ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী BrahMos সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করেছে বলে জানা গেছে। এই প্রথমবারের মত কোনও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে BrahMos-এর ব্যবহার ঘটল, যা দেশীয় প্রতিরক্ষা সক্ষমতার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।

Advertisment

BrahMos কী?

BrahMos একটি দুই ধাপ বিশিষ্ট সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল, যার প্রথম ধাপে সলিড প্রপেলান্ট বুস্টার এবং দ্বিতীয় ধাপে লিকুইড র‌্যামজেট ইঞ্জিন থাকে। এটি ‘ফায়ার অ্যান্ড ফরগেট’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে, অর্থাৎ একবার লঞ্চ করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে।

আরও পড়ুন-  এক ভ্যাকসিনেই কেল্লাফতে! হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচাবে ৮ বছর, নতুন গবেষণা চমকে দিল চিকিৎসকদেরও

Advertisment

কীভাবে BrahMos-এর সূচনা হয়?

১৯৯৮ সালে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত এক আন্তঃসরকারি চুক্তির মাধ্যমে BrahMos Aerospace গঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠান BrahMos নামে মিসাইলটি ডিজাইন, তৈরি এবং উন্নয়নের দায়িত্ব নেয়। মিসাইলটির নাম এসেছে ব্রহ্মপুত্র এবং মস্কভা নদীর নাম থেকে। প্রথম সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয় ২০০১ সালের ১২ জুন।

আরও পড়ুন- তুরস্ক-পাকিস্তান আঁতাত, কী ভাবছে ভারত?

BrahMos-এর বৈশিষ্ট্য

  • গতি: Mach ২.৮ (শব্দের চেয়ে ৩ গুণ বেশি)

  • পরিসর: ২৯০ থেকে ৮০০ কিলোমিটার পর্যন্ত

  • লক্ষ্যভেদ ক্ষমতা: অত্যন্ত নির্ভুল, স্টিলথ ডিজাইন

  • লঞ্চিং মোড: স্থল, নৌ, আকাশ এবং সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য

আরও পড়ুন- ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চরম উত্তেজনা, জানেন কীভাবে কাজ করে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম?

BrahMos-এর বিভিন্ন সংস্করণ

  1. স্থল-ভিত্তিক BrahMos: মোবাইল লঞ্চার থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য, পাহাড়ি যুদ্ধক্ষেত্রের উপযোগী এর Block III সংস্করণ।

  2. নৌ-ভিত্তিক BrahMos: যুদ্ধজাহাজ থেকে সিঙ্গেল অথবা স্যালভো ফায়ার করা যায়।

  3. আকাশ-ভিত্তিক BrahMos: Sukhoi-30 MKI থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য, সমুদ্র ও স্থল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

  4. সাবমেরিন-ভিত্তিক BrahMos: ৫০ মিটার গভীরতা থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য।

  5. BrahMos-NG (Next Gen): কম ওজন, বেশি স্টিলথ এবং টর্পেডো টিউব থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ভবিষ্যৎ সংস্করণ।

আরও পড়ুন- শিশুদের নতুন জেনেটিক ডায়াবেটিস, শঙ্কিত চিকিৎসক মহল

কেন গুরুত্বপূর্ণ?

BrahMos শুধুমাত্র ভারতের প্রতিরক্ষা শক্তি বৃদ্ধি করে না, এটি প্রতিবেশী দেশের জন্য এক কঠোর বার্তাও। এর উচ্চ গতি, নির্ভুলতা ও বহুমাত্রিক উৎক্ষেপণ ক্ষমতা ভারতের প্রতিরক্ষাকে অনন্য স্তরে নিয়ে গেছে। আজ BrahMos শুধু একটি মিসাইল নয়, বরং ভারতের আত্মরক্ষার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

India pakistan Brahmos