Air Defence Explained: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চরম উত্তেজনা, জানেন কীভাবে কাজ করে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম?
Air Defence: ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কীভাবে রুখল করল পাকিস্তানের বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র আর ড্রোন হামলা? জানুন রাডার, SAM, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার-সহ প্রযুক্তিগত পুরো বিশ্লেষণ।
Air Defence: ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কীভাবে রুখল করল পাকিস্তানের বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র আর ড্রোন হামলা? জানুন রাডার, SAM, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার-সহ প্রযুক্তিগত পুরো বিশ্লেষণ।
Air Defence System: এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। Photograph: (ছবি- এএনআই)
Air Defence Systems: আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে আকাশ দখলে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনায় ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। পাকিস্তানের একাধিক বিমান হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করে ভারত কৌশলগত পালটা হামলা চালিয়েছে এবং লাহোর-সহ একাধিক জায়গায় শত্রুপক্ষের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে।
Advertisment
এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কী?
এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম হল এমন একটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা শত্রু দেশের যুদ্ধবিমান, ড্রোন অথবা মিসাইল আক্রমণকে প্রতিহত করে। এই ব্যবস্থায় থাকে রাডার, কন্ট্রোল সেন্টার, ইন্টারসেপ্টর ফাইটার, মাটিতে বসানো SAM (Surface to Air Missiles), AAA (Anti-Aircraft Artillery), ও ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার প্রযুক্তি।
কীভাবে কাজ করে এই সিস্টেম?
Advertisment
১. শনাক্তকরণ (Detection): প্রথম ধাপে রাডার সিগন্যাল পাঠিয়ে শত্রু বিমানের উপস্থিতি ও গতি শনাক্ত করা হয়। রাডার প্রতিফলিত তরঙ্গ বিশ্লেষণ করে বোঝা যায় কত দূরে, কত উচ্চতায় এবং কী ধরনের হুমকি আসছে।
২. অনুসরণ (Tracking): শুধু শনাক্ত করলেই হয় না, সেই হুমকিকে ধারাবাহিক ট্র্যাক করা অত্যন্ত জরুরি। রাডার ছাড়াও ইনফ্রারেড ক্যামেরা ও লেজার রেঞ্জফাইন্ডার ব্যবহার করে টার্গেটকে ফোকাসে রাখা হয়।
৩. প্রতিহত করা (Interception): হুমকি সুনির্দিষ্টভাবে বোঝার পর, তার ধরন অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানায় এই ব্যবস্থা। হালকা ড্রোন থেকে শুরু করে হাইপারসনিক মিসাইল পর্যন্ত আলাদা প্রযুক্তির প্রয়োজন হয় প্রতিহত করতে।
ফাইটার ইন্টারসেপ্টর: MiG-21 Bison, Rafale, SU-30MKI-সহ বিভিন্ন যুদ্ধবিমান দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে তৈরি থাকে।
SAM (Surface to Air Missiles): ভারতের কাছে রয়েছে Akash, Barak-8 এবং S-400 এর মতো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, যা বিভিন্ন উচ্চতা ও দূরত্বে শত্রু শিবিরকে ধ্বংস করতে সক্ষম।
যুদ্ধক্ষেত্রে 'Air Superiority' অর্জনের জন্য প্রথম পদক্ষেপ হল শত্রুর এয়ার ডিফেন্স নিষ্ক্রিয় করা। একবার শত্রুর আকাশ প্রতিরক্ষা ভেঙে পড়লে, আকাশপথ ব্যবহার করে গভীরে প্রবেশ করে বোমাবর্ষণ, রসদ ফেলা বা প্যারাট্রুপার পাঠানো অনেক সহজ হয়ে যায়।
ভারত যেমন লাহোরের এয়ার ডিফেন্স নিষ্ক্রিয় করে কৌশলগত সুবিধা পেয়েছে, ঠিক তেমনই আধুনিক যুদ্ধে যে দেশ শত্রুর আকাশ প্রতিরক্ষা ভাঙতে পারবে, সেই দেশই মূলত যুদ্ধক্ষেত্রে আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে।