NRI Returning to India: প্রবাসে দীর্ঘদিন থাকার পর স্থায়ীভাবে ভারতে ফেরা একটি বড় সিদ্ধান্ত। তবে শুধু আবেগ নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক বিষয়। ভুল পরিকল্পনা করলে করের বোঝা ও আইনি জটিলতার মুখে পড়তে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ফেরার আগে বা ফেরার সঙ্গে সঙ্গে অন্তত চারটি বড় বিষয় সামলানো জরুরি। সেগুলো হল— ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, বিদেশি বিনিয়োগ, রেসিডেন্সি স্ট্যাটাস এবং কর ব্যবস্থা।
১. ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আপডেট করুন
এনআরআই হিসেবে আপনার NRE, NRO এবং FCNR(B) অ্যাকাউন্ট থাকতে পারে। RBI নিয়ম অনুযায়ী দেশে ফেরার পর এই অ্যাকাউন্টগুলোকে Resident Savings Account-এ রূপান্তর করতে হবে। এর সঙ্গে, অপ্রয়োজনীয় NRE/NRO অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে ফেলুন। বিদেশি আয়ের জন্য একটি Resident Foreign Currency (RFC) অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন, যাতে আপনার ডলার/বিদেশি মুদ্রা সহজে রাখা যায়। সব ব্যাংকে KYC আপডেট করে নতুন রেসিডেন্সিয়াল স্ট্যাটাস জানাতে ভুলবেন না।
আরও পড়ুন- স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে শিশুদের কী শেখাবেন, কী বলবেন তাঁদের? জানুন এখানে
২. রেসিডেন্সি স্ট্যাটাস বোঝা এবং পরিকল্পনা করা
ভারতে ফেরার পর আপনি প্রথমে RNOR (Resident but Not Ordinarily Resident) স্ট্যাটাস পাবেন, যা সাধারণত ২-৩ বছর পর্যন্ত থাকবে। RNOR স্ট্যাটাসে বিদেশি আয়ে কর দিতে হয় না। এই সময়টা বিদেশি বিনিয়োগ বা পেনশন আয়ের ট্যাক্স-ফ্রি পুনর্বিন্যাসের জন্য কাজে লাগাতে পারেন। RNOR-রা ITR-এর Schedule FA-তে বিদেশি সম্পত্তির তথ্য দিতে বাধ্য নন।
আরও পড়ুন- গোছা গোছা চুল উঠছে? সকালে খালি পেটে খান এক সুপার ফুড, এক মাসেই ম্যাজিক দেখুন
৩. করের নিয়ম মেনে চলা
ফেরার পর আপনার ভারতে আয় (বেতন, ভাড়া, সুদ, ডিভিডেন্ড ইত্যাদি) যদি বেসিক ট্যাক্স ফ্রি লিমিট ছাড়িয়ে যায়, তবে কর দিতে হবে। কর ফাইল করার আগে ডিডাকশন ও এক্সেম্পশন যাচাই করুন। বিদেশি আয় RNOR স্ট্যাটাস শেষ হওয়ার পর থেকে করযোগ্য হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন- জিভে জল না মটনের সেরা প্রিপারেশন! অতিথিদের মন জয় বাঁ হাতের খেল
৪. FEMA অনুযায়ী বিনিয়োগ ও অ্যাকাউন্ট সামলানো
FEMA (Foreign Exchange Management Act) ও আয়কর আইন রেসিডেন্সি আলাদাভাবে সংজ্ঞায়িত করে। ট্যাক্স আইনে রেসিডেন্ট হলেও FEMA অনুযায়ী আপনি এখনও এনআরআই হতে পারেন। এই বিভ্রান্তি ঠিক না করলে বিনিয়োগ এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিয়মভঙ্গ ঘটতে পারে। বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং সম্পত্তি ধরে রাখতে চাইলে সেই দেশের নিয়মও মেনে চলতে হবে।
আরও পড়ুন- বয়স ৩০-এর ওপরে? ফিট থাকতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো
৫. পরিকল্পনার জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন
নগদ, শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, রিয়েল এস্টেট বা বিদেশি সম্পত্তি— প্রতিটি ক্ষেত্রেই কর এবং FEMA-র নিয়ম আলাদা। একজন অভিজ্ঞ ট্যাক্স কনসালট্যান্ট বা ফিনান্সিয়াল প্ল্যানারের সাহায্য নিলে ভুল কম হবে। ভারতে ফেরার প্রস্তুতি শুধু পাসপোর্ট এবং টিকিটের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, কর পরিকল্পনা, বিদেশি বিনিয়োগ এবং রেসিডেন্সি স্ট্যাটাস— সবকিছু সঠিকভাবে সামলালে প্রবাস থেকে ফেরা হবে আইনসম্মত।