Advertisment

Explained: ভারত থেকে কিছু বাঘ কম্বোডিয়ায় পাঠানো হতে পারে, কেন এমন সিদ্ধান্ত?

প্রথমবার বিদেশ যাবে ভারতের বাঘ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
tigers

সম্প্রতি বেশ কিছু আফ্রিকান চিতা ভারতে আনা হয়েছে। এবার কম্বোডিয়ায় বাঘ পাঠানোর কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর কারণ, কম্বোডিয়ায় বড় বিড়াল বা বাঘ-সিংহ এসব জাতীয় প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুসারে, ভারত নভেম্বর মাসে কম্বোডিয়ার সঙ্গে একটি সমঝোতা করেছে। সেই সমঝোতা অনুযায়ী, কম্বোডিয়ায় পুনরায় বাঘের উপস্থিতি ঘটানো ও সংখ্যাবৃদ্ধির জন্য ভারত প্রযুক্তিগত বিবরণ ও জ্ঞানের মাধ্যমে সহায়তা করবে। দুই দেশের এই চুক্তি দেখে অনেকেরই মনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, কী কারণে কম্বোডিয়া থেকে বাঘ বিলুপ্ত হয়ে গেল? আর, কেনই বা দেশটি ভারত থেকে সেদেশে বাঘ নিয়ে যেতে চাইছে?

Advertisment

কম্বোডিয়ায় বাঘ কীভাবে বিলুপ্ত হল?
আবাসস্থল ধ্বংস এবং শিকারের কারণে। বাঘের বিচরণ করার জন্য বড় আবাসস্থল এবং শিকারের জন্য একটি ঠিকঠাক ঘাঁটি প্রয়োজন। উন্নয়নের জেরে বনাঞ্চল কেটে ফেলায় এবং জনবসতি বনাঞ্চলে প্রসারিত হওয়ায় বাঘের আবাসস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে শিকারের জন্য বন্যপ্রাণীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা আরও বেড়েছে। মানুষ এবং প্রাণীর মধ্যেও সংঘর্ষ ঘটেছে আগের চেয়ে আরও বেশি করে।

বাঘের চাহিদা
এছাড়াও, চোরাশিকার তো আছেই। বাঘের নখ, ছাল থেকে শরীরের বিভিন্ন অংশের চোরাবাজারে প্রচুর দাম। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড (ডব্লিউডব্লিউএফ)-এর মতে, 'বাঘের শরীরের প্রতিটি অংশ অবৈধ বন্যপ্রাণী বাজারে পাওয়া গেছে। তাদের হাড় এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ আধুনিক স্বাস্থ্য টনিক এবং নানা প্রতিকারের পন্থা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বাঘের চামড়া আবার এশীয় সংস্কৃতির একাংশের কাছে রীতিমতো স্ট্যাটাস সিম্বল।' এর ফলে চোরাবাজারে বাঘের চাহিদা অত্যন্ত বেশি।

আরও পড়ুন- রাহুলের মতই লাক্ষাদ্বীপের কংগ্রেস জনপ্রতিনিধিকেও ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করে বিপাকে লোকসভার সচিবালয়ই, কেন?

কম্বোডিয়ায় বাঘ
কম্বোডিয়ায় বাঘ শেষবার ক্যামেরায় ২০০৭ সালে ধরা পড়েছিল। ২০১৬ সালের এপ্রিলে কম্বোডিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছিল যে বাঘ সেদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। বিশ্বের ১৩টি দেশে বাঘ ছিল। দেশগুলো হল- বাংলাদেশ, ভুটান, চীন, কম্বোডিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, নেপাল, রাশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম। ২০১০ সালে এই দেশগুলো ২০২২ সালের মধ্যে তাদের সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নিয়েছিল। ভারতে বাঘের সংখ্যা বর্তমান ৩,০০০-এর কাছাকাছি। বিশ্বব্যাপী বন্য বাঘের মোট সংখ্যার ৭০%-এরও বেশি রয়েছে ভারতে। কম্বোডিয়ার পাশাপাশি লাওস এবং ভিয়েতনামেও বাঘ ইতিমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

প্রথমবার বিদেশ যাবে ভারতের বাঘ
ভারতে দেশের মধ্যে বাঘ এক থেকে অন্য রাজ্যে গেলেও, এখনও পর্যন্ত নয়াদিল্লি বিদেশে কোনও বাঘ পাঠায়নি। বনদফতর সেকথা মাথায় রেখেই জানিয়েছে, প্রাণীগুলোকে কম্বোডিয়ায় পাঠানোর আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি (এনটিসিএ)-এর সদস্য সচিব এসপি যাদব এই প্রসঙ্গে বলেন, 'সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমাদের অনেক বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে। শুরুতে, আমাদের যাচাই করতে হবে যে কম্বোডিয়ায় বাঘ নিখোঁজ হওয়ার কারণগুলো দূর করা হয়েছে কি না, তাদের কাছে বাঘ পালনের মত প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা এবং কাঠামো আছে কি না।'

India comedian Tiger
Advertisment