Cyber attack: ২০২৩ সালের আগস্টে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ সাইবার হামলার জেরে এবার কগনিজেন্টের বিরুদ্ধে আদালতে গেল ক্লোরক্স। অভিযোগ, হ্যাকার পরিচয় গোপন করে ফোন করে পাসওয়ার্ড রিসেট করার অনুরোধে করেছিল। তার থেকে উপযুক্ত প্রমাণ না চেয়েই রিসেট করে দিয়েছিল কগনিজেন্টের হেল্প ডেস্ক। ফলাফল? কোম্পানির নেটওয়ার্কে ব্যাপক অনুপ্রবেশ, উৎপাদন ব্যাহত হয় এবং কোটি কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে।
কী ঘটেছিল সেই সাইবার হামলায়?
২০২৩ সালের ১১ আগস্ট, এক সাইবার অপরাধী নিজেকে ক্লোরক্সের কর্মী পরিচয়ে কগনিজেন্টের হেল্প ডেস্কে একাধিকবার ফোন করেছিল। অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই হ্যাকারের কথায় কগনিজেন্টের হেল্প ডেস্ক কোনও পরিচয় যাচাই না করেই ক্লোরক্সের পাসওয়ার্ড ও মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (MFA) রিসেট করে দিয়েছিল।
আরও পড়ুন- GMP ১০০ টাকার ওপরে, সাবস্ক্রিপশন ৪৫গুণ! আবেদন করবেন কি?
এই সুযোগে হ্যাকার Clorox-এর অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে এবং আরও একটি কর্মীর অ্যাকাউন্টেও একইভাবে প্রবেশ করে। সব মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্পোরেট নেটওয়ার্ক কার্যত পঙ্গু হয়ে যায়।
আরও পড়ুন- তাৎক্ষণিক উজ্জ্বলতা, মুখের লোম দূর করতে ব্যবহার করুন কফি ফেসপ্যাক
কে এই হ্যাকার?
ঘটনার পেছনে রয়েছে berüchtigt হ্যাকার গ্রুপ Scattered Spider। এরা ইতিমধ্যে মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সার এবং Co-op-এর মত প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে।
আরও পড়ুন- সতর্ক হোন গর্ভবতীরা, এই ৩ বিষয় প্রসূতিদের জন্য বিপজ্জনক!
কী অভিযোগ ক্লোরক্সের?
Clorox তাদের দায়ের করা মামলায় বলছে:
-
কগনিজেন্ট পরিচয় যাচাই না করে ওই হ্যাকারের কথায় পাসওয়ার্ড রিসেট করেছে
-
MFA রিসেট করায় নেটওয়ার্কে হ্যাকারদের প্রবেশ সহজ হয়েছে
-
এরপর আরেক কর্মীর অ্যাকাউন্টও একইভাবে হ্যাক করেছিল অভিযুক্তরা
-
ইভেন্ট রেসপন্সেও Cognizant চরম ব্যর্থতা দেখিয়েছে বলে অভিযোগ
-
সময়মতো সিস্টেম বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়নি বলে অভিযোগ
-
অনভিজ্ঞ কর্মীকে পরিস্থিতি মোকাবিলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ
-
যাতে ক্লোরক্সের ব্যবসায়িক কাজকর্ম সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হয়েছিল বলে অভিযোগ
ক্ষতিপূরণ দাবি:
ক্লোরক্স বলছে, এই ঘটনায় তাদের সরাসরি ব্যবসায়িক ক্ষতি ও দীর্ঘমেয়াদি সুনামহানি হয়েছে। তাই তারা কগনিজেন্টের কাছে ৪৯ মিলিয়ন ডলার সরাসরি ক্ষতিপূরণ, মোট ৩৮০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে।
আরও পড়ুন- ভারতীয় দম্পতিদের ৪ জনের ১ জন স্থূলকায়, আইসিএমআর-এর গবেষণায় চাঞ্চল্য
কগনিজেন্ট কী বলেছে?
এই মামলার ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত Cognizant কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। সংবাদমাধ্যম তাদের কমেন্টের বা মন্তব্যের জন্য ইমেইল পাঠালেও, কোনও বিবৃতি সংস্থাটি দেয়নি।
এই ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করল, শুধু প্রযুক্তি নয়— ভুল, অবহেলা ও প্রশিক্ষণের ঘাটতিও সাইবার হামলার বড় কারণ। আর, বড় প্রতিষ্ঠানের আইটি সেবা প্রদানকারীদের বড় ভুল বড় ধরনের ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।