নিউ ইয়র্ক টাইমসে সংক্রামক রোগের চিকিৎসক ডক্টর ফ্রাঙ্ক এসপারকে উদ্ধৃত করা হয়েছে। তিনি বলেছেন অতিরিক্ত পরিমাণ ভিটামিন সি পাকস্থলী ও কিডনির ক্ষতি করতে পারে।
ভিটামিন সি কোনও সংক্রমণই রোধ করতে পারে বলে কোনও প্রমাণ নেই। তবে এও ঘটনা যে ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কিন্তু ফের বলার, কোনও রোগীকে সুস্থ করে তুলেছে ভিটামিন সি, এমন কোনও প্রমাণ নেই।
শরীর যখন কোনও সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করে, তখন শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হয়, যার জেরে কোষের টিস্যুগুলি ফুলে উঠতে পারে। ভিটামিন সি শুধু এ ব্যাপারেই নয়, শরীরের প্রতিরোধী ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ কোষ উৎপাদনেও সহায়তা করে থাকে। নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ক্লেয়ার কলিনস বলছেন, "ভিটামিন সি-এর ভূমিকা অনেকটা ফুটবল ম্যাচের পর মাঠ পরিষ্কার করবার মত।"
সাধারণ ঠান্ডা লাগা ভিটামিন সি থেকে সারে না। করোনাভাইরাস থেকেও সাধারণ ঠান্ডা লাগাই ঘটে থাকে। বিশেষজ্ঞরা তাই মনে করছেন, ভিটামিন সি করোনাভাইরাস সংক্রমণ সারিয়ে তুলবে, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই।
আবার, যেহেতু ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার পক্ষে ভাল, সে কারণে এর অতিপ্রয়োগ ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। নিউ ইয়র্ক টাইমসে সংক্রামক রোগের শিশু চিকিৎসক ডক্টর ফ্রাঙ্ক এসপারকে উদ্ধৃত করা হয়েছে। তিনি বলেছেন অতিরিক্ত পরিমাণ ভিটামিন সি পাকস্থলী ও কিডনির ক্ষতি করতে পারে। সংক্রামক রোগের আরেক বিশেষজ্ঞ ডক্টর মার্ক জে মুলিগান বলেছেন জিঙ্ক, গ্রিন টি, এসব করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সাহায্যকারী বলে কোনও প্রমাণ নেই।
সোশাল মিডিয়ায় আরেকটা প্রতিকারের কথাও উঠে আসছে। ফ্লু শট। এটাও ঠিক তথ্য নয়। ফ্লুয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে স্বাস্থ্য ভাল করতে এর কিছু উপকার রয়েছে বটে, কিন্তু করোনাভাইরাসের উপর এর কোনও প্রভাবের কথা জানা যায় না।