Constable recruitment exam: ঝাড়খণ্ডে আবগারি কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা দিতে গিয়ে আকস্মিকভাবে ১২পরীক্ষার্থীর মৃত্যু সারাদেশে আলোড়ন ফেলেছে। এই ঘটনার পর ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন পরীক্ষা তিন দিনের জন্য স্থগিত করেছেন। এছাড়াও, ঝাড়খণ্ড সরকার শারীরিক পরীক্ষার পদ্ধতি পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী ৬০ মিনিটে ১০ কিলোমিটার দৌড়াতে হয় পরীক্ষার্থীরদের। এমন পরিস্থিতিতে এখন পাঁচ থেকে ছয় মিনিটে ১.৬ কিলোমিটার বা ২৫ মিনিটে পাঁচ কিলোমিটার দৌড়ানোর বিষয়ে ভাবনা চিন্তা চালানো হচ্ছে। তথ্য অনুযায়ী, পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তনগুলি আসন্ন পরীক্ষার জন্য প্রযোজ্য হবে।
যেহেতু বর্তমান এক্সাইজ কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষা ৮০% ইতিমধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছে, বাকি ২০% পরীক্ষা বর্তমান নিয়মানুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে, পুরুষদের ৫.৪৫ মিনিটে ১.৬ কিলোমিটার দৌড়াতে হয়। যেখানে মহিলাদের ৭.৩০ মিনিটে একই দূরত্ব পূরণ করতে হবে। কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীতে পুরুষদের ২৪ মিনিটে পাঁচ কিলোমিটার দৌড় শেষ করতে হয়। যেখানে মহিলা প্রার্থীদের ১.৬ কিলোমিটার দৌড় ৮.৩০ মিনিটে শেষ করতে হয়।
Aadhaar Card: আধারে বাধ্যতামূলক NRC নম্বর! বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
ঝাড়খণ্ডে আবগারি কনস্টেবল নিয়োগের জন্য পরিচালিত শারীরিক পরীক্ষার সময় ১২ প্রার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চর্চাও। মৃতদের বয়স ১৯ থেকে ৩১ বছরের মধ্যে বলেই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য ২রা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ১.৮৭ লাখ প্রার্থী শারীরিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন, যার মধ্যে ১.১৭ লাখ পরবর্তী রাউন্ডের জন্য যোগ্য নির্বাচিত হয়েছেন।
কী বলছেন মৃত পরীক্ষার্থীদের পরিবার?
রাজ্যের হেমন্ত সোরেন সরকার এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এই মুহূর্তে পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে আবার শুরু হবে নিয়োগের পরীক্ষা। ঝাড়খণ্ডের অতিরিক্ত ডিজি (সদর দফতর) আর কে মল্লিক বলেছেন, প্রার্থীদের এখন শারীরিক মূল্যায়নের পরীক্ষার আগে মেডিকেল চেকআপ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মূল্যায়নের নিয়ম পরিবর্তনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, আবগারি বিভাগের সচিব মনোজ কুমার বলেন, ২০১৬ সালের নিয়ম অনুসারে আবগারি কনস্টেবলদের জন্য ১০ কিলোমিটার দৌড় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষার আগে শারীরিক মূল্যায়ন পরীক্ষা কেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন “সব পরীক্ষার্থীর লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার কোনো মানে হয় না কারণ বুদ্ধিমত্তার চেয়ে আমাদের শারীরিক সুস্থতার প্রাধান্যটাই বেশি”।
ভুট্টা খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে 'নাতনি'কে ধর্ষণ, 'দাদু'র কুকীর্তিতে ফুঁসছে কাটোয়া
ভাইকে হারিয়ে গড্ডা থেকে এক মহিলা প্রার্থী বলেছেন যে তিনি পরীক্ষার সময় অনেক লোককে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যেতে দেখেছেন। তিনি বলেন, “আমার ভাই প্রদীপ কুমার মারা গেছেন। সে কখনও ১০ কিমি দৌড়ের জন্য কোন অনুশীলন করেননি। চরণ যাদব, যার ১৯ বছর বয়সী ভাই সুমিত যাদব মৃতদের তালিকায় ছিলেন। তিনি বলেন, ভাই পরীক্ষার অনুশীলনের জন্য আট মাস ধরে প্রতিদিন সকালে ১০ কিমি দৌড়াতেন। “মূল্যায়নের দিন, তিনি সকাল ১০ টার দিকে তার ১০ কিমি দৌড় শেষ করেন এবং তার পরে তাকে স্থিতিশীল বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু পরে যখন তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলেন, স্থানীয় হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়,”। আপাতত পুলিশ একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে। কিন্তু এত মৃত্যু ক্ষমতাসীন জেএমএম সরকার এবং বিরোধীদের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।
সুনামি গতিতে বিক্রি OnePlus-Samsung 5G স্মার্টফোন, রেকর্ড ছাড়ে চমকে যাবেন
গত ২ সেপ্টেম্বর X-এ তার পোস্টে, সোরেন নিয়োগের নিয়ম পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এরপরই ঝাড়খণ্ডের বিজেপি প্রধান বাবুলাল মারান্ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে বলেন, "নিয়মগুলিতে আগে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে যে শারীরিক মূল্যায়নের আগে, একটি লিখিত পরীক্ষা এবং একটি মেডিকেল চেকআপ করা দরকার।"
বিজেপির ঝাড়খণ্ড নির্বাচনের ইনচার্জ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন যে সরকার "প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা" নিশ্চিত না করেই পরীক্ষা আয়োজন করেছে। “আবহাওয়া ভালো থাকলে সরকার অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত শারীরিক পরীক্ষা শেষ করতে পারত। পরিবর্তে, প্রচন্ড গরমের মধ্যে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে"।
সুবিশাল ডিসপ্লে, লেটেস্ট ফিচার্স, ১৫ দিনের ব্যাটারি ব্যাকআপ, Honor নিয়ে এল Watch 5