Bangladesh News: হিংসা-কবলিত বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে কমপক্ষে ৪৯ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনটাই দাবি করা হয়েছে সংখ্যালঘু সংগঠনের তরফে। তাদের তরফে দাবি করা হয়েছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্তত ৪৯ জন শিক্ষককে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছে। ডেইলি স্টার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে হাসিনা সরকারের পতনের পর কমপক্ষে ৪৯ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে।
হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ জুড়ে সংখ্যালঘুদের উপর একের পর এক হামলা
মোদীর স্বপ্নের বন্দে ভারতে বিছানায় শুয়ে সফর, দুরন্ত উদ্যোগ কেন্দ্রের
সংগঠনের আহ্বায়ক সজিব সরকার বলেন, হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সংখ্যালঘু শিক্ষকরা কর্মক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন এবং তাদের মধ্যে অন্তত ৪৯ জনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। তাদের মধ্যে 19 জনকে পরে পুনর্বহাল করা হয়। তিনি যোগ করেছেন, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুরাও এই সময়ে হামলা, লুটপাট, মহিলাদের উপর হামলা, মন্দির ভাংচুর, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগের মত ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে।
'মানুষ আপনাকে কখনই ক্ষমা করবে না', মোদীকে হুঙ্কার উদ্ধবের
গত মাসে হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে হিংসার বেশ কয়েকটি ঘটনার সাক্ষী থেকেছে বাংলাদেশ। হাসিনার পদত্যাগের পর নোবেল জয়ী মুহাম্মদ ইউনূস, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব নেন। তিনি গত সপ্তাহে আয়োজিত একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে তিনি বলেন, তিনি এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চান যেখানে প্রত্যেকে নির্ভয়ে তাদের ধর্ম পালন করতে পারবেন এবং যেখানে কোনও মন্দির পাহারা দিতে হবে না।
বিরোধী দল নেতা হিসাবে প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে রাহুল গান্ধী
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সংগঠনগুলির তথ্য অনুযায়ী, হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর থেকে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা ৫২টি জেলায় অন্তত ২০৫টি হামলার মুখোমুখি হয়েছে। হাসিনা সরকারের পতনের পর সারাদেশে হিংসার ঘটনায় বাংলাদেশে ২৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, জুলাইয়ের মাঝামাঝি প্রথম কোটা বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬০০-এরও বেশি।