Sexual Harrasment: আরজি কর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি রাজ্যজুড়ে। এই আবহে আবারও রাজ্যের দুই প্রান্তে যৌন হেনস্থার মতো মারাত্মক অভিযোগ উঠল। একদিকে বীরভূমের ইলামবাজারে কর্তব্যরত নার্সের শীলতাহানির অভিযোগ রোগীর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে এক সাত বছরের নাবালিকার যৌন হেনস্থার অভিযোগ ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল এলাকা।
প্রথম ঘটনাটি বীরভূমের ইলামবাজারের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে ইলামবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন এক যুবক। তাঁকে তড়িঘড়ি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো এক নার্স ওই যুবককে স্যালাইন দিতে গিয়েছিলেন। স্ট্রেচারে শুয়ে থাকা অবস্থায় ওই যুবকের হাতে স্যালাইনের চ্যানেল করতে গিয়েছিলেন ওই নার্স।
অভিযোগ, সেই সময়ে ওই যুবক কর্তব্যরত নার্সের দেহ স্পর্শ করেন। প্রতিবাদ করলে ওই যুবক তাঁকে গালিগালাজ করে বলেও অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই প্রবল আতঙ্কে ভুগতে থাকেন ওই তরুণী নার্স। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে পরে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- New town Shootout: রাতের শহরে ফিল্মি কায়দায় রোমহর্ষক খুন! তুমুল চাঞ্চল্য
অপর ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের। অভিযোগ, রাজবাড়ী এলাকায় এক ৭ বছরের নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল রাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মধ্যমগ্রামের ওই এলাকা। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী বিষয়টি জানার পর মিটমাট করে নিতে বলেছিলেন। এরপরেই ক্ষেপে ওঠেন এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন- Price Hike: উৎসবের মরশুম শুরুর মুখেই বিরাট ধাক্কা! আবারও বাড়ল গ্যাসের দাম
পুলিশের সামনেই অভিযুক্তের বাড়ি ও তার আত্মীয়ের দোকানে বেপরোয়াভাবে ভাঙচুর চালায় ক্ষুব্ধ জনতা। এমনকী স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতেও চলে ভাঙচুর। ব্যাপক ইট বৃষ্টি চলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও RAF নামানো হয় এলাকায়। উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। জনতার রোষ থেকে কোনওমতে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে তাকে আটক করে পুলিশ।