Advertisment

অলোক ভার্মা মামলার সৌজন্যে খবরে ফিরলেন চৌধরি

সিবিআই এবং আয়কর দফতর যে কাগজপত্র উদ্ধার করেছিল তার ভিত্তিতে অপরাধমূলক তদন্ত করার জন্য আবেদন করেছিল কমন কজ। ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট সে আবেদন খারিজ করে দেয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

তাঁর মাথায় সর্বদাই লাল তিলক

সিবিআই ডিরেক্টর পদ থেকে তাঁকে অপসারণের সিদ্ধান্তে হাত থাকতে পারে সিভিসি কমিশনার কে ভি চৌধরি-র, এমনটাই সন্দেহ খোদ অলোক ভার্মার। ভার্মার সন্দেহপ্রকাশের পর ফের একবার শিরোনামে উঠে এল এই প্রাক্তন ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিস অফিসারের নাম।

Advertisment

উচ্চ পর্যায়ের কমিটি অলোক ভার্মার অপসারণের সিদ্ধান্তের সপক্ষে সিভিসি-র রিপোর্ট দেখিয়েছে। প্রাক্তন সিবিআই ডিরেক্টর অভিযোগ করেছেন, কে ভি চৌধরি রাকেশ আস্থানার হয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে মধ্যস্থতার চেষ্টা করেন। রাকেশ আস্থানা সিবিআইয়ের দু নম্বর হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং ভার্মার বিরুদ্ধে তিনিই অভিযোগ এনেছিলেন। এই সাক্ষাতের কথা সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা সিভিসি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়নি বলে অভিযোগ। সিভিসি রিপোর্ট যিনি খতিয়ে দেখেছেন, সেই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ কে পট্টনায়কও ভার্মার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নেই বলে জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন, সিবিআই: নাগেশ্বর রাওয়ের নিয়োগ নিয়ে আবেদন শুনবে সুপ্রিম কোর্ট

১৯৭৮ ব্যাচের প্রাক্তন আইআরএস আধিকারিক চৌধরি এই প্রথম বিতর্কে জড়ালেন না। ২০১৪ সালে সিবিডিটি-র চেয়ারম্যান থাকাকালীন আয়কর দফতর বিড়লা ও সাহারা কোম্পানি থেকে বেশ কয়েকটি ডায়েরি আটক করে, যাতে বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদদের টাকা দেওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এঁদের মধ্যে ছিল তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামও।

কমন কজ নামের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এ ব্যাপারে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিল। বিরোধীরাও এ ব্যাপারে সরব হয়েছিলেন। সাহারাকে কিভাবে বাঁচানো হয়েছে, তা নিয়ে রিপোর্টও প্রকাশ করেছিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। সিবিআই এবং আয়কর দফতর যে কাগজপত্র উদ্ধার করেছিল তার ভিত্তিতে অপরাধমূলক তদন্ত করার জন্য আবেদন করেছিল কমন কজ। ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট সে আবেদন খারিজ করে দেয়। সুপ্রিম কোর্টের যুক্তি ছিল, কিছু অগোছালো এবং অগ্রহণযোগ্য নথির ভিত্তিতে সাংবিধানিক ভাবে কর্মরতদের বিরুদ্ধে তদন্ত হলে গণতন্ত্র বিপন্ন হয়ে পড়বে।

চৌধরির নিয়োগের সময়ে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ তাঁর ব্যাপারে আপত্তি তুলেছিলেন। প্রশান্ত ভূষণ যে যে কারণগুলি দেখিয়েছিলেন সেগুলি হল, পঞ্জি স্কিম এবং মইন কুরেশি মামলায় তাঁর ভূমিকা নিয়ে যখন সিবিআই তদন্ত হচ্ছিল, সে সময়ে তৎকালীন সিবিআই ডিরেক্টর রঞ্জিত সিনহার সঙ্গে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছিলেন তিনি, যার উল্লেখ রয়েছে সিনহার ভিজিটর্স লগ বুকে। দ্বিতীয়ত, নীরা রাডিয়া টেপের মামলায় প্রমাণাদি থাকা সত্ত্বেও চৌধরি কোনও ব্যবস্থা নেননি। এ ছাড়া প্রয়াত লিকার ব্যারন পন্টি চাড্ডাকে ২০০ কোটি টাকার কর ছাড়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন, ফের বিতর্ক! কলেজিয়াম সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষুব্ধ ৪ প্রাক্তন বিচারপতি, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি

সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য় চৌধরির নিয়োগের সিদ্ধান্তকে বজায় রেখেছিল। তাঁকে ক্লিন চিট দিয়েছিল সিবিআই-ও।

ঘটনাক্রমে প্রাক্তন সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনারকে কিন্তু একই পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করতে হয়। সেটা ছিল ২০১১ সাল, ইউপিএ আমল। ২০ বছরের পুরনো এক মামলায় তাঁর নাম উঠেছিল। তাঁকেও সিবিআই এবং আইবি ক্লিন চিট দিয়েছিল।

মৃদুভাষী, সজ্জন ব্যক্তিত্বের অধিকারী চৌধরির কপালে সর্বদাই রক্ততিলক দেখা যায়। সতর্কতা ভবনে, তাঁর দফতরের টেবিল সর্বদাই থাকে ঠাকুর-দেবতােদর ফোটোগ্রাফ, যে কোনও সময়েই শুনতে পাওয়া যায় মৃদুস্বরে মন্ত্রোচ্চারণ। এ বছরের অক্টোবরে চৌধরির বয়স হবে ৬৫, ততদিন অবধি মেয়াদ রয়েছে তাঁর।

উল্লেখ্য, ফোন ধরেননি চৌধরি, উত্তর দেননি এসএমএস-এরও।

Read the Full Story in English

cbi
Advertisment