Assam Gangrape: পুলিশি হেফাজত থেকে পালানোর সময় মৃত্যু হল অসমে নগাঁও জেলায় নাবালিকা গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তাফুজল ইসলামের। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেয় টিউশন থেকে ফেরার সময় বছর ১৪-র নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে ৩ ব্যক্তি। নাবালিকাকে বিবস্ত্র অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় মানুষ পুলিশে খবর দেন। এরপর পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে । মেডিকেল পরীক্ষায় পর ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। এরপরই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হন সাধারণ মানুষ।
আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল দেশ। নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে পথে নেমে সোচ্চার সাধারণ মানুষ। তার মাঝে অসমে ঘটে গিয়েছে এক মর্মান্তিক গণধর্ষণের ঘটনা। একের পর এক মহিলাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত অত্যাচারে বারে বারে প্রশ্নের মুখে পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা। অসমের নগাঁও জেলায় নাবালিকা গণধর্ষণের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় বিজেপি সরকারকে। ঘটনার পরই আটক করা হয় মূল অভিযুক্ত তফাজুল ইসলামকে। জানা গিয়েছে পুলিশি হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করে পুকুরে ঝাঁপ দেন তিনি। প্রায় ২ ঘন্টার চেষ্টায় অভিযুক্তের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ভোর ৪টে নাগাদ তাকে ঘটনা পুর্ননির্মাণের জন্য ঘটনাস্থলের দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় পুকুরে ঝাঁপ দিলে তার মৃত্যু হয়।প্রায় দুই ঘণ্টা তল্লাশির পর অভিযুক্তের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়, টিউশন থেকে ফেরার সময়, দশম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে তিনজন মিলে গণধর্ষণ করে এবং তাকে ওই অবস্থাতেই রাস্তার ধারে ফেলে রেখে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। নির্যাতিতাকে নগ্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় মানুষ পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে নাবালিকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই নাবালিকাকে নগাঁও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নাবালিকাকে গণধর্ষণের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বনধের ডাক দেয় বিভিন্ন সংগঠন ও এলাকাবাসী।
ঘটনার নিন্দা করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি টুইট করে লিখেছেন, নাবালিকার সঙ্গে যে নৃশংস অপরাধের ঘটনায় ঘটেছে তা ভয়ঙ্কর। মানবতার পক্ষে লজ্জার। ঘটনায় জড়িত কাউকে রেয়াত করা হবে না। আমি আসাম পুলিশের ডিজিপিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছি।
< RG Kar Case: ফের CBI দফতরে সন্দীপ ঘোষ, আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে বিরাট ব্রেকে মরিয়া কেন্দ্রীয় সংস্থা! >