দশ দিন পর ওয়েবসাইটে ফের দেখা যাচ্ছে আসাম এনআরসি-র সব তথ্য। শুক্রবার রাত ১২টার পর পরই ওয়েবসাইটে ফিরে আসে এনআরসি সংক্রান্ত সহ তথ্য। যা নিশ্চিৎ করেছেন আসাম এনআরসি-র কো-অর্ডিনেটর হিতেশ দেবশর্মা।
প্রযুক্তিগত কারণে আসাম এনআরসি-র তথ্য দেখা যাচ্ছে না বলে জানা যায়। আসাম এনআরসিতে আবেদনকারী ৩.৩ কোটি মানুষের সব তথ্য ওই ওয়েবসাইটে রয়েছে। যা প্রকাশ পেয়েছিল ২০১৯ সালের ৩১ অগাস্ট। ২০১৪ সাল থেকে আসাম এনআরসি-র ওয়েবসাইট-এর দায়িত্বে রয়েছে তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা উইপ্রো। সরকার ও উইপ্রো-র মধ্যে চুক্তি নবীকরণ না হওয়ার কারণেই বিপত্তি বলে জানিয়েছিলেন আসাম এনআরসি-র কো-অর্ডিনেটর।
আরও পড়ুন: উধাও আসাম এনআরসির তথ্য! তবে ‘সুরক্ষিতই রয়েছে’
উধাও হওয়া আসাম এনআরসি সংক্রান্ত তথ্য সুরক্ষিতই রয়েছে। এমন দাবিই করেছিলেন আসাম এনআরসির কো-অর্ডিনেটর হিতেশ দেবশর্মা। উল্লেখ্য, গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে ওয়েবসাইটে এনআরসি তথ্য দেখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন হিতেশ। প্রযুক্তিগত সমস্যার জেরেই এই সমস্যা বলে দাবি করেছেন আসাম এনআরসির কো-অর্ডিনেটর। আসাম এনআরসির তথ্য উধাও ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সে রাজ্যে। এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডট কমকে হিতেশ জানিয়েছিলেন, ‘‘উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। তথ্য সুরক্ষিতই রয়েছে’’।
আরও পড়ুন: আসাম এনআরসি: ১৯ লক্ষ নাম বাদ পড়ায় কেন খুশি নয় বিজেপি-আসু
গত বছরের ৩১ অগাস্ট আসাম এনআরসির তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিল। প্রধানত, আসাম এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়া ও অন্তর্ভুক্তির তথ্য ছিল বলে জানা যায়। এনআরসি সংক্রান্ত তথ্য সুরক্ষিত রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও। অমিত শাহের মন্ত্রকের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে, এ সমস্যার সমাধান শীঘ্রই করা হবে।
তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি নবীকরণ না হওয়ার দায় চাপানো হয়েছে আসাম এনআরসি-র প্রাক্তন কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলার উপরই। অক্টোবরে চুক্তি নবীকরণের কথা থাকলেও তা করা হয়নি। হাজেলাকে অবশ্য আসাম এনআরসি-র কো-অর্ডিনেটর পদ থেকে সরিয়ে মধ্যপ্রদেশে পাঠান হয়। এদিকে, ভুল তথ্য, এনআরসি চূড়ান্ত তালিকা কারচুপির অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে প্রতীক হাজেলার বিরুদ্ধে। এই নিয়ে মোট তিনটি মামলা দায়ের হল তাঁর বিরুদ্ধে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন