Advertisment

আসাম এনআরসি: দাবি ও আপত্তি নথিভুক্তির সময়সীমা বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট

প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আসাম এন আর সি কোঅর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলার ফোটোশপ এবং জালিয়াতির আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

৪০ লক্ষের বেশি মানুষের নাম বাদ পড়েছে চূড়ান্ত খশড়া এনআরসি তালিকা থেকে

এন আর সি-র চূড়ান্ত খসড়া যাঁদের নাম ওঠেনি, তাঁদের দাবি ও আপত্তি লিপিবদ্ধ করার সময়সীমা ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে আগের দশটি নথি ছাড়াও আরও পাঁচটি নথিকে দাবির সপক্ষে প্রামাণ্য দলিল হিসেবে পেশ করার অনুমতি দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই পাঁচটি নথি নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন আসাম এনআরসি কোঅর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলা। তবে আদালত এই পাঁচটি নথিকে অত্যন্ত কঠোরভাবে খতিয়ে দেখার কথা বলেছে।

Advertisment

প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আসাম এন আর সি কোঅর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলার ফোটোশপ এবং জালিয়াতির আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়েছে। আসাম সরকার সহ অনেকেই তাঁদের অ্যাফিডেভিটে ১৫ টি নথিই যুক্ত করার দাবি করেছিলেন।

আরও পড়ুন, এনআরসি নিয়ে ফের বিজেপিকে চোখ রাঙালেন মমতা

প্রতীক হাজেলা আদালতে যে পাঁচটি নথি বাদ দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন সেগুলি হল, ১৯৫১ এনআরসি, ২৪ মার্চ ১৯৭১ পর্যন্ত ভোটার তালিকা, নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট, রিফিউজি রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট এবং ২৪ মার্চ, ১৯৭১ সালের আগে পর্যন্ত ইস্যু করা রেশন কার্ড।

সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, শীর্ষ আদালত দাবিদারদের নোটিস ইস্যু করার তারিখ ১৫ জানুয়ারি ধার্য করে দিয়েছে। নথি যাচাইয়ের তারিখ ধার্য করে দেওয়া হয়েছে ১ ফেব্রুয়ারি।

গত ৩০ জুলাই এনআরসি-র যে চূড়ান্ত খশড়া প্রকাশিত হয়েছিলে, তা থেকে বাদ গিয়েছে ৪০ লাখ আবেদনকারীর নাম।

এর আগে বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং আরএফ নরিম্যান দাবি ও আপত্তি নথিভুক্তির জন্য ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৬০ দিনের সময়সীমা ধার্য করে দিয়েছিলেন।

৩০ জুলাইয়ে প্রকাশিত এন আর সি-র চূড়ান্ত খসড়ায় ৩.২৯ তোটি আবেদনকারীর মধ্যে ২,.৮৯ কোটি আবেদনকারীর নাম প্রকাশিত হয়েছিল। আসামের এই ঐতিহাসিক নথিতে জায়গা পাননি ৪০.০৭ মানুষ।

আরও পড়ুন, এনআরসি তালিকাহীনদের ফেরানো হবে না, হাসিনাকে আশ্বাস মোদির

এর আগে যে ১০টি নথিকে প্রামাণ্য হিসেবে ছাড় দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল, রাজ্যের বাইরে থেকে ইস্যু করা স্থায়ী বাসস্থানের শংসাপত্র, এলআইসি পলিসি, সরকারি কর্তৃপক্ষের দেওয়া কোনও সার্টিফিকেট বা লাইসেন্স, সরকার বা পাবলিক সেক্টর আনডারটেকিংসের দেওয়া চাকরির নথি, যথাযথ কর্তৃপক্ষের দেওয়া বার্থ সার্টিফিকেট, ব্যাঙক বা ডাকঘর অ্যাকাউন্ট, বোর্ড বা বিশববিদ্যালয়ের দেওয়া শিক্ষাগত যোগ্যতার সর্টিফিকেট এবং আদালতের যথাযথ নথি।

এনআরসি আবেদনের পদ্ধতি ২০১৫ সালের মে মাস থেকে আসামে শুরু হয়েছে। মোট ৬৮.২৭ লক্ষ পরিবারের থেকে ৬.৫ কোটি নথি জমা পড়েছে।

supreme court Assam nrc
Advertisment