Advertisment

ইসলাম রীতিতেই সমুদ্রের নিচে সমাধিস্থ বাগদাদি: রিপোর্ট

কোথায় আইসিস প্রধানকে সমাধিস্থ করা হয়েছে সে সমন্ধে কিছু অবশ্য জানানো হয়নি মার্কিন প্রশাসনের তরফে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সিরিয়ায় মার্কিন সেনা অভিযানে নিহত আবু বকর আল বাগদাদি।

ইসলাম প্রথা মেনেই সমুদ্রের নিচে কবর দেওয়া হয়েছে সিরিয়ায় মার্কিন সেনা অভিযানে নিহত আবু বকর আল বাগদাদিকে। জানাল মার্কিন প্রশাসন। তবে, কোথায় তাকে সমাধিস্থ করা হয়েছে সে সমন্ধে কিছু জানানো হয়নি। এক্ষেত্রে ২০১১ সালে ওসামা বিন লাদেনের সময়কার প্রোটোকল অনুসরণ করা হয়েছে। ইসলাম আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে আল কায়েদা শীর্ষ নেতার দেহ সমুদ্রের তলদেশে কবর দেওয়া হয়। বাগদাদির শেষকৃত্যও উপযুক্ত মর্যাদায় করা হয়েছে বলে দাবি মার্কিন প্রশাসনের।

Advertisment

বাগদাদির মৃত্যুর খবরে ফলাও করে ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বলেন, “বাগদাদি ছিল আইসিসের প্রতিষ্ঠাতা এবং নেতা। পৃথিবীর যে কোনও জায়গায় সবচেয়ে নিষ্ঠুর ও হিংস্র সংগঠন। আমেরিকা বাগদাদিকে বহু বছর ধরে খুঁজছিল। আমার প্রশাসনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ের মধ্যে সর্বাগ্রে ছিল বাগদাদিকে পাকড়াও করা অথবা হত্যা করা। বাগদাদির মৃত্যু হয়েছে কুকুরের মত, ভীরুর মত।”

আরও পড়ুন: আইসিস প্রধান বাগদাদির মৃ্ত্যু হয়েছে, ঘোষণা ট্রাম্পের

আইসিস প্রধান বাগদাদিকে মারতে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই চেষ্ঠা চালাচ্ছিল আমেরিকা। গোয়েন্দা নেটওয়ার্কিং এবং আল বাগদাদির উত্তর পশ্চিম সিরিয়ার এক চত্বরে লুকিয়ে থাকার খবর সুনিশ্চিত হবার পর ওয়াশিংটনের ৪৮ ঘণ্টার দ্রুত পরিকল্পনা, এ দুইয়ের যোগসাজশে কার্যকর হয় এই দুঃসাহসী হানা। সে রাতের নিখুঁত সুশৃ্ঙ্খল অপারেশন ছিল অপ্রত্যাশিত ফলাফলদায়ী। ঠিক কী ঘটেছিল সে রাতে, তা এক দিকে যেমন জানিয়েছেন ট্রাম্প ও প্রশাসনিক ও অন্যান্য আধিকারিকরা, তেমনই জানিয়েছেন হতবাক গ্রামবাসীরা, যাঁদের কোনও ধারণাই ছিল না যে বাগদাদি তাঁদের মধ্যেই লুকিয়ে ছিল।

আরও পড়ুন: কীভাবে মারা হল আই এস নেতা আল বাগদাদিকে?

গত বৃহস্পতিবার রাতে হোয়াইট হাউস জানতে পারে, ইডলিব প্রদেশের এক জায়গায় আল বাগদাদির লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা প্রবল। এর পরেই ঘটনাপ্রবাহ দ্রুত মোড় নিতে থাকে। শুক্রবারের মধ্যে ট্রাম্পের কাছে সামরিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আসে। শনিবার সকালের মধ্যে প্রশাসনের কাছে আরও নির্দিষ্ট খবর আসে যার ভিত্তিতে অ্যাকশন শুরু করা যায়। এসবের কোনও ইঙ্গিতই বাইরে ছিল না।

একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, গোটা অপারেশন তাঁরা দেখেছিলেন রিয়েল টাইম ছবির মাধ্যমে, কিন্তু ট্রাম্প নিজে আল বাগদাদির শেষ মুহূর্তের যে বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন তার ভিত্তি হল মিলিটারি কম্যান্ডারদের সঙ্গে তাঁর কথোপকথন। অপারেশনের নামকরণ হয় মার্কিন মানবতাবাদী সংস্থার কর্মী মার্কিন নাগরিক কায়লা মুলারের নামে, যিনি আল বাগদাদির হাতে লাঞ্ছিত ও নিহত হন।

Read the full story in English

Donald Trump
Advertisment