Bangladesh crisis highlights: বাংলাদেশে গত আগস্টের গণ অভ্যুত্থানের পর থেকে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। এর পাশাপাশি বেড়েছে ভারতবিরোধী কার্যকলাপ। মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে দুই দেশের সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অবনতি হয়েছে। বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বয়কটেরও ডাক দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু বিধিনিষেধ রোজই আরোপ করা হচ্ছে। এসবের মাঝেই বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার নিষিদ্ধ করার দাবি জোরদার হয়েছে।
বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেল সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী এখলাস উদ্দিন ভূঁইয়া। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বাংলাদেশে আগস্টের অভ্যুত্থানের পর থেকে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা তীব্র হয়েছে এবং ভারতবিরোধী কার্যকলাপও বেড়েছে। এই সময়ে দুই দেশের সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অবনতি ঘটেছে। ভারত সংক্রান্ত অনেক কিছু নিষিদ্ধ করার দাবি বাংলাদেশে বাড়ছে। এখন বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে।বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেল সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রিট আবেদনকারী অ্যাডভোকেট এখলাস উদ্দিন ভূঁইয়া মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চে আগামী বুধবার এই আবেদনের শুনানি হবে বলেও জানিয়েছেন ভূঁইয়া। আদালতে দায়ের করা আবেদনে, ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক অপারেশন অ্যাক্ট ২০০৬- এর ধারা ১৯-এর অধীনে সমস্ত ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার নিষিদ্ধ করার নির্দেশের দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন বিধি জারি করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আবেদনে তথ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)সহ সকলকে এই মামলায় যুক্ত করা হয়েছে।
আদালতে দায়ের করা আবেদনে স্টার জলসা, স্টার প্লাস, জি বাংলা, রিপাবলিক বাংলা সহ ভারতীয় সব টিভি চ্যানেল নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে। পিটিশনে আরো অভিযোগ করা হয়েছে যে ভারতীয় চ্যানেলেগুলিতে উসকানি মূলক সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিরোধী বিষয়বস্তুর অনিয়ন্ত্রিত সম্প্রচার তরুণমনে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। ভারতীয় এই চ্যানেলগুলো কোনো নিয়মনীতি মানছে না বলেও দাবি করা হয়েছে।
এর একদিন আগে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ইসকনের সদস্যদের ভারতে আসতে বাধা দেয়। একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই তারা ভারতে আসছিলেন বলে জানা গিয়েছে। হয়েছিল, কিন্তু সীমান্তে তাদের আটকানো হয়। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন অব্যাহত। এই ধারাবাহিকতায় গ্রেফতার করা হয় ইসকন সদস্য তথা হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগ আনা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ইসকনের ১৭ সন্ন্যাসীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে ।