Bangladesh violence: নতুন করে হিংসা ছড়াল বাংলাদেশে! ঢাকায় জাতীয় পার্টির কার্যালয় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ। দলীয় কার্যালয়ের সামনে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। যদিও এই ঘটনায় জাতীয় পার্টির তরফে এখনো কোন আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয় নি।
গত অগাস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরেও বাংলাদেশে হিংসা অব্যাহত। ঢাকায় বিক্ষোভ চলাকাকালীন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জোট সঙ্গী জাতীয় পার্টির অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। দলের তরফে শনিবার ঢাকায় একটি সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়। এরপরই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ।
বাংলাদেশে গঠিন অন্তর্বর্তী সরকার হিংসা দমনে পুরোপুরি ব্যর্থ। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও শরিক দলের নেতাদের টার্গেট করা হচ্ছে। ভাংচুর চালানো হচ্ছে ঘর বাড়িতে। এবার ঢাকায় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে টার্গেট করেছে আন্দোলনকারীরা। তারা প্রথমে অফিস ভাংচুর ও পরে আগুন ধরিয়ে দেয়। গত অগাস্টে ছাত্র আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। হাসিনা ভারতে এসে আশ্রয় নেন। এরপরেও বাংলাদেশে হিংসা অব্যাহত রয়েছে। টার্গেট করা হচ্ছে সেদেশের সংখ্যালঘুদের।
কালীপুজোর দিনেই নয়া নজির মমতার! শ্যামা সংগীত নিয়ে পেরোলেন দেড়শো গানের মাইলস্টোন
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জোট জাতীয় পার্টির ঢাকা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সংঘর্ষের পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার জেরে অফিসের আংশিক ক্ষতি হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মহম্মদ এরশাদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অংশ ছিল।
ঘটনা প্রসঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের নেতা শাকিলুজ্জামান বলেন, আমরা জাতীয় পার্টি অফিসের কাছে মশাল মিছিল করছিলাম, তখন জাতীয় পার্টির সদস্যরা ছাদ থেকে আমাদের দিকে পাথর নিক্ষেপ করে। তিনি অভিযোগ করেন, জাতীয় পার্টি কর্মীরা নিজেরাই তাদের অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ছাত্র, শ্রমিক ও নাগরিকরা ঘোষণা করেছি যে, আমরা জাতীয় পার্টিকে কোনো সমাবেশ করতে দেব না। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভকারীরা জাতীয় পার্টির কার্যালয় ভাঙচুর করে, সাইনবোর্ড উপড়ে ফেলে দেয় এবং দলের প্রতিষ্ঠাতা এরশাদের ছবিতে কালির প্রলেপ দেওয়া হয়। জাতীয় পার্টি কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
কালীপুজোর রাতে বীভৎস মৃত্যু ৫ জনের! প্রাণ বাঁচাতে লড়াই আরও দু'জনের, কারণ জানেন?
এ ঘটনায় জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি আসেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দু মাস আগে ক্ষমতা থেকে অপসারিত হন। ছাত্র আন্দোলনের ফলে হাজার হাজার রাস্তায় নেমে আসে এবং হিংসার ৬০০ জনেরও বেশি নিহত হয়। হাসিনা ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে আশ্রয় নেন এবং পরবর্তীতে নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এদিকে এই ই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন মোড় নিয়ে এসেছে, যেখানে আন্দোলনকারী ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে।