Mamata Banerjee: রাজনৈতিক সত্ত্বার পাশাপাশি তাঁর শিল্পী সত্ত্বাকে কখনও অস্বীকার করা যায় না। ছবি আঁকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন গানে কথা ও সুর দেওয়ায় বরাবর অনন্য ছাপ রেখে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারের কালীপুজোয় মুখ্যমন্ত্রীর কথা ও সুরে নতুন শ্যামা সংগীত এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ ট্রেন্ডিং। কালীপুজোর দিনেই মুখ্যমন্ত্রীর লেখা এবং সুর দেওয়া গানের সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়ে গেল।
আলোর সাথে নিশীথ রাতে মা এসেছেন ঘরে/ বরণ করো, বরণ করো, বরণ করো তাঁরে..."। এবারের কালীপুজোয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা ও সুরে মন্ত্রী তথা গায়ক ইন্দ্রনীল সেন এই গানটি গেয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিনভর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মুখ্যমন্ত্রীর কথা ও সুরে তৈরি এই শ্যামা সংগীত বেজেছে মণ্ডপে-মণ্ডপে। তবে শুধু শ্যামা সংগীতই নয়, বিভিন্ন রকমের গানে কথা ও সুর দিয়েছেন মমতা। বেশ কিছু সরকারি প্রকল্প নিয়েও গান বেঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও তাঁর কবিতা, অন্যান্য গল্পের বই তো রয়েছেই।
সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন তাঁর। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। তারপর থেকে নানাবিধ কর্মকাণ্ড সামলে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একাধারে রাজনৈতিক দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি নিপুণ হাতে সামলাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী পদের মতো গুরুদায়িত্ব। তবে তারই ফাঁকে চলে তাঁর গান, কবিতা, অঙ্কন, গল্পের বই লেখার কাজ। ব্যস্ত রুটিন থেকে এব্যাপারে সময় বের করে নিতে বিন্দুমাত্র সমস্যায় পড়তে হয় না তাঁকে। বারবার নানা আলাপচারিতায় নিজের শিল্পী সত্ত্বা সম্পর্কে সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- Kali Puja 2024: জমজমাট মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কালীপুজো! নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গেই পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের উপস্থিতি নজর কেড়েছে
আরও পড়ুন- Bardhaman Incident: কালীপুজোর রাতে বীভৎস মৃত্যু ৫ জনের! প্রাণ বাঁচাতে লড়াই আরও দু'জনের, কারণ জানেন?
গতকাল ছিল কালীপুজো। প্রতিবারের মতো এবারও কালীঘাটের বাড়িতে ধুমধাম করে কালীপুজোর আয়েজন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কালীপুজোয় এবারও ছিল চেনা ভিড়। নেতা-মন্ত্রীরা তো ছিলেনই, এছাড়াও গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কালীপুজোয় রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষর্তাদের উপস্থিতি আলাদা করে নজর কেড়েছে।
আরও পড়ুন- Digha: কলকাতা থেকে দিঘা যাওয়ার 'নতুন রুট', দুরন্ত প্ল্যান! নিমেষে পৌঁছোতে পারেন সৈকতনগরীতে