ভারতে প্রভাববিস্তারকারী করোনার আতঙ্ক পড়ল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। সম্প্রতি করোনা আতঙ্কে বাংলাদেশে ভারতীয় নাগরিককে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞার একটি রিপোর্ট সামনে আসতেই বুধবার তা খারিজ করে কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, ভারতীয় নয়, বরং বাংলাদেশী নাগরিককে ত্রিপুরার আখাউরা আন্তর্জাতিক চেক পোস্ট থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। করোনা রুখতে সীমান্তে রাখা হয়েছে কড়া নজরদারি। সেই সময়ে মেডিক্যাল স্ক্রিনিংয়ের সময় দেখা যায় ওই ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি। তৎক্ষণাৎ তাঁকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশে।
এ প্রসঙ্গে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে ত্রিপুরার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের পরিচালক ডা: রাধা দেববর্মা জানান যে মঙ্গলবার করোনা ভাইরাস চেক আপের জন্য যখন বাংলাদেশি নাগরিকদের স্ক্রিনিং টেস্ট করা হচ্ছিল তখনই এক ব্যক্তির দেহে উচ্চ তাপমাত্রা ধরা পড়ে। সেই মোতাবেক ব্যক্তির ভারতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। যদিও গুজব ছড়িয়েছিল যে ভারতীয় নাগরিকের দেহে উচ্চ তাপমাত্রা থাকার কারণে তাঁর বাংলাদেশ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে। রাধা দেববর্মা এও বলেন যে, “ত্রিপুরায় করোনাভাইরাস সংক্রামিত কেউ নেই, এমন সন্দেহজনক ঘটনাও ঘটেনি। আমরা ২৮ জন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছি যারা সম্প্রতি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত দেশগুলিতে ভ্রমণ করেছেন। ১৯ জনের দেহে কোনও ভাইরাসের প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়নি। বাকিদের শরীরে তেমন কোনও লক্ষণ দেখা না গেলেও তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।"
যদিও ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হবে। এর আগে রোগ প্রতিরোধের জন্য মণিপুর মায়ানমার সীমান্ত বন্ধ রাখা হয়েছিল। এমনকী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের তরফে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত একটি পরামর্শবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে। বিএসএফ কর্তৃপক্ষকে সমস্ত কর্মী, সদস্যদের, বিশেষত বাংলাদেশি অভিবাসীদের করোনা সংক্রমণের প্রতিরোধে শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার জন্য নির্দেশনাও জারি করেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে, “সন্দেহজনক কেস ইতিহাস এবং যে কোনও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ থাকলে অভিবাসীদের আমাদের রাজ্যে প্রবেশের আগে সঠিকভাবে তা পরীক্ষা করতে হবে। বাংলদেশ কর্তৃপক্ষের পরামর্শে আপাতত সমস্ত সীমান্তবর্তী হাটও বন্ধ রাখা হচ্ছে।"