ছটপুজোয় অশান্তি করে উত্তেজনা ছড়াতে পারে মুসলিমরা। এক নির্দেশিকায় এই মর্মেই সতর্কতা জারি করা হয় বিহারের মাধেপুরা জেলা প্রশাসনের তরফে। কেন আগে থেকেই নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের মানুষের বিরুদ্ধে এই ধরণের অভিযোগ করা হচ্ছে? মাধেপুরার জেলাশাসকের জবাব, গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতেই জেলার মানুষকে সতর্ক করেছেন তিনি। নির্দেশিকা ঘিরে বিতর্ক দেখা দিতেই বিহারের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব জাননিয়েছেন, 'ওই শব্দগুলি অজান্তেই ব্যবহার করা হয়েছে।'
গত ৩১শে অক্টোবর মাধেপুরার জেলাশাসক নবদীপ শুক্লার তরফে সতর্কবার্তায় বলা হয়, 'পূণ্যার্থীরা যেসব জলাশয়ে পুজো করবেন, যদি তা মুসলমান জনবসতি অধ্যুষিত এলাকায় হয়ে থাকে তবে বিশেষভাবে সতর্ক হতে হবে। অনেক সময় পূণ্যার্থীদের লক্ষ্য করে অশ্লীল আচরণ ও কথা বলা হবে। জলাশয়ে মরা পশুর দেহাংশও ফেলা দেওয়া হতে পারে। যেগুলি বেশিরভাগই করতে পারেন মুসলিম সম্প্রদায়ভূক্ত মানুষরা। যার থেকে ভয়ঙ্কর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে। ব্যাহত হতে পারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। ফলে সতর্ক থাকতে হবে।' এই নির্দেশিকায় উদাহরণ হিসাবে উল্লেখ করা হয় ২০১৬ সালে বিহারীগঞ্জে দশেরা ও মহরমে উত্তেজনাকে।
আরও পড়ুন: সাওয়াসদি মোদী: ‘দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার হিসেবে গড়ে তোলা হবে উত্তর-পূর্ব ভারতকে’
সানডে এক্সপ্রেসের তরফে জেলাশাসক নবদীপ শুক্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতেই এই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যাতে লঙ্ঘিত না হয় তাই এই সতর্কবার্তা।' আগে থেকেই কেন নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের মানুষের বিরুদ্ধে এই ধরণের অভিযোগ করা হচ্ছে? জেলাশাসক বলেন, 'গোয়ান্দা রিপোর্ট যেমন ছিল তাই সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন তার সুর বদলাতে পারে না। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী মানুষদের সমস্যা যাতে না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য এই সতর্কতা জারি করা হয়। আমাদের লক্ষ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা।'
আরও পড়ুন: ভারতের নয়া মানচিত্র প্রকাশিত, দেখে নিন কেমন?
২৩ তারিখে বিহারের অতিরিক্ত ডিজির অফিস থেকে উৎসবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। মাধেপুরার জেলাশাসকের দাবি সেই বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতেই ওই সতর্কবার্তা তৈরি করা হয়েছে। তবে, দেখা যাচ্ছে অতিরিক্ত ডিজির অফিসের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের উল্লেখ নেই।
রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব আমির সুভানি জানিয়েছেন, 'এবিষয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁর দাবি ওই সতর্কবার্তা অজান্তেই বানানো হয়েছিল। এবিষয়ে তাঁকে কিছু নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।'
Read the full story in English