ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন দিতে পারল না বিএসএনএল

এই প্রথম এত গভীর সঙ্কটের মুখে ভারতের রাষ্ট্রীয় টেলিকম সংস্থা। পরবর্তীকালে যে আরও কঠিন অবস্থা আসতে চলেছে, তা একরকম নিশ্চিত।

এই প্রথম এত গভীর সঙ্কটের মুখে ভারতের রাষ্ট্রীয় টেলিকম সংস্থা। পরবর্তীকালে যে আরও কঠিন অবস্থা আসতে চলেছে, তা একরকম নিশ্চিত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বিগত পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে মন্দার বাজার। এবার ১.৭৬ লক্ষ কর্মচারীকে ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন দিতে ব্যর্থ হলো রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিকম সংস্থা ভারতীয় সঞ্চার নিগম লিমিটেড (বিএসএনএল)।

Advertisment

এই প্রথম এত গভীর সঙ্কটে রাষ্ট্রীয় টেলিকম সংস্থা। পরবর্তীকালে যে আরও কঠিন অবস্থা আসতে চলেছে তা নিশ্চিত। বিএসএনএল কর্মচারীদের ইউনিয়ন টেলিকম মন্ত্রী মনোজ সিনহাকে লিখিত ভাবে জানিয়েছে, সরকারি অনুদান চাই। একইসঙ্গে এই রুগ্ন সংস্থাটিকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলার অনুরোধ করেছেন ইউনিয়নের সদস্যরা।

ইতিমধ্যে বিক্ষোভ শুরু করেছেন বিএসএনএল কর্মীরা। বিএসএনএল-এর রাজস্বের প্রায় ৫৫ শতাংশ খরচ হয় কর্মচারীদের বেতন দিতে। মুশকিল হলো, বছরে ৮ শতাংশ করে বেড়ে চলেছে কর্মীদের বেতন। কিন্তু থমকে রয়েছে বিএসএনএল-এর রাজস্ব বৃদ্ধির হার।

আরও পড়ুন: সংশোধিত হল কম দামের প্রিপেইড রিচার্জ

Advertisment

আর্থিক সঙ্কটের জন্য রিলায়েন্স জিওকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিএসএনএলের ইউনিয়ন। মনোজ সিনহাকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে, "অন্যান্য অপারেটররাও আর্থিক সঙ্কটের মোকাবিলা করছে, কিন্তু তারা বিশাল পরিমাণে বিনিয়োগ করে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে।"

বিএসএনএল-এর তরফে জানানো হয়, কোম্পানি এখন কেরালা, জম্মু-কাশ্মীর, ওড়িশা এবং কর্পোরেট অফিসে কর্মীদের ফেব্রুয়ারির বেতন দিতে শুরু করেছে। "যখন বিএসএনএলের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে, তখন কর্মীদের বকেয়া বেতন দেওয়া হবে। সরকার কোন আর্থিক সহায়তা করে নি, তাই বেতন দিতে দেরি হচ্ছে।"

আরও পড়ুন: ভোট দিতে গিয়ে বেঠিক কিছু দেখলে ভিডিও বা ছবি তুলে জানিয়ে দিন নির্বাচন কমিশনকে

সূত্রের খবর, মার্চেও কয়েক দিনের জন্য পিছিয়ে যেতে পারে বেতনের তারিখ। আরও এক সূত্র মারফত জানা যায়, কয়েকটি ব্যাঙ্ক ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বিএসএনএল-কে। কিন্তু টেলি যোগাযোগ বিভাগ সে বিষয়ে এখনও আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যায় নি। বিএসএনএলের ক্ষতি প্রতি বছর বাড়ছে। ২০১৭ সালে ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৪,৭৮৬ কোটি টাকা। এ বছরের শুরুতে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে ৮,০০০ কোটি টাকা।

Read the full story in English

bsnl