নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে রক্ত ঝরল গুয়াহাটিতে। জানা যাচ্ছে, দু’জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে ওই দুই বিক্ষোভকারী গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি ছিলেন। পরে সেখানেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এদিকে, গুয়াহাটির পাশাপাশি শিলংয়েও কার্ফু জারি করা হয়েছে।
Advertisment
এদিকে, চাবুয়ায় বিজেপি বিধায়ক বিনোদ হাজারিকার বাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠল বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে এমনটাই খবর। একটি সার্কেল অফিসেও আগুন লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অসম গণ পরিষদের সদর দফতরে হামলা চালানো হয়েছে বলে সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর।
Assam CM Sarbananada Sonowal: I sincerely appeal to all sections of people of Assam to maintain peace & tranquility. It's our cultural, social&spiritual tradition. I've firm belief that people of Assam, as usual, will maintain peace for all time to come. #CitizenshipAmendmentBillhttps://t.co/W8X7TFxnXNpic.twitter.com/5Ly8HXeiI9
এদিকে, গুয়াহাটির লালুংগাঁও এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়েন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি সামলাতে গুলি চালায় পুলিশ। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৪ জন জখম হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বুধবার থেকে গুয়াহাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্ফু জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে সে রাজ্যে সেনা নামানো হয়েছে। পাশাপাশি আসামের ১০ জেলায় আরও ৪৮ ঘণ্টায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য রাজ্যবাসীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল।
ক্যাব প্রতিবাদ ঘিরে যখন অশান্ত দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি, এই প্রেক্ষিতে তিনদিনের ভারত সফর বাতিল করলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। যদিও ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রাভিশ কুমার জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফর বাতিলের বিক্ষোভের জন্য নয়। আজই এ দেশে আসার কথা ছিল বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর।
এদিকে, আসামের পাশাপাশি ক্যাব বিরোধিতায় উত্তাল ত্রিপুরাও। পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে এদিন ২৪ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে যুব কংগ্রেস। বুধবার ক্যাব বিক্ষোভে শামিল হয় যুব কংগ্রেস। সেদিন ১৩১ জন বিক্ষোভকারীকে পুলিশ আটক করেছে বলে খবর। এদিনের বনধে মিশ্র প্রভাব পড়েছে সে রাজ্যে। সকাল থেকেই দোকানপাট বন্ধ ছিল। বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। তবে মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দর থেকে উড়ান পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল বলেই খবর।