দেশে এখনও বেড়েই চলেছে করোনা প্রাদুর্ভাব। শনিবার রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্তও হয়েছেন। এরই মধ্যে করোনা চিকিৎসার খরচ এবং কোয়ারেন্টাইনে থাকা নিয়ে দিল্লি সরকারের সঙ্গে দিল্লির লেফটেনেন্ট গভর্নর অনিল বৈজলের বৈঠক হয় শনিবার। যদিও এই বৈঠকে কোনও ফলপ্রসু সুরাহা মেলেনি। দিল্লির করোনা বিপর্যয় রুখতে এই আলোচনা করা হয়।
পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে প্রত্যাবর্তনের আগে গ্রামে গ্রামে দাপট দেখাতে সুযোগ পায়নি করোনা। কিন্তু লকডাউনের নিয়ম শিথিলে শহর ছাড়িয়ে গ্রামাঞ্চলেও হানা দিয়েছে এই ভাইরাস। তবে শনিবার পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের জন্য গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান প্রকল্পের উদবোধনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, শহরের শিক্ষা নেওয়া উচিত কীভাবে গ্রাম এই করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে চলেছে। এদিন বিহারের তেলিহার গ্রামে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মোদী।
দেশের চার রাজ্য মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লি এবং গুজরাট এখনও আক্রান্তের নিরিখে এগিয়ে রয়েছে। দেশের মোট আক্রান্তের ৬৮ শতাংশ এই চার রাজ্যের। দিল্লিতে ফের করোনা পরীক্ষার খরচ কমানো হল। শুক্রবার স্বরাষ্ট্রদফতরের তরফে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
Read the story In English
এদিকে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১৪ হাজার ৫১৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৭৫ জনের। শনিবার দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁল ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪৮। এদের মধ্যে ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ২৬৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। অন্যদিকে, বাংলায় একদিনে আরও ৩৫৫ জনের শরীরে মিলল করোনাভাইরাস। এ নিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৯০।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Live Blog
Coronavirus Lockdown Situation In India-West Bengal Kolkata Updates. করোনা-লকডাউন পরিস্থিতির সব খবর জানতে চোখ রাখুন এখানে...
করোনা চিকিৎসায় ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য ফাভিপিরভির ও ইউমিফেনোভির ওষুধকে অনুমোদন দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)।
দেশে এখনও বেড়েই চলেছে করোনা প্রাদুর্ভাব। শনিবার রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্তও হয়েছেন। এরই মধ্যে করোনা চিকিৎসার খরচ নিয়ে দিল্লি সরকারের সঙ্গে দিল্লির লেফটেনেন্ট গভর্নর অনিল বৈজলের বৈঠক হয় শনিবার। যদিও এই বৈঠকে কোনও ফলপ্রসু সুরাহা মেলেনি। দিল্লির করোনা বিপর্যয় রুখতে এই আলোচনা করা হয়। অনিল বৈজল জানিয়েছিলেন যে কোভিড পজিটিভ রোগীদের পাঁচদিন করে সরকারি জায়গায় বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তারপরই তাঁরা সেলফ আইসোলেশনে থাকতে পারবেন। অনিল বৈজলের এই মতের সঙ্গে একমত হয়নি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির সরকার। এদিনের বৈঠকে দিল্লি সরকারের তরফে উপস্থিত ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া।
গরিব কল্যাণ রোজগার প্রকল্প উদবোধনে করোনা ভাইরাস প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "যেভাবে গ্রাম এই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে তা থেকে বড় শিক্ষা নেওয়া উচিত শহরের। আপনাদের কাজ কেউ প্রশংসা করুক বা নাই করুক। করোনার লড়াইয়ে আপনাদের সহায়তাকে আমি কুর্নিশ জানাই।"
লকডাউনের কারণে দেশে কর্মহীন হয়েছেন কয়েক লক্ষ শ্রমিক। করোনার জেরে কর্মক্ষেত্র ছেড়ে নিজভূমে পাড়ি দিতে বাধ্য হয়েছিলেন তাঁরা। এবার সেই সকল পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের ব্যবস্থা করে দিতে ৫০ হাজার কোটির গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান প্রকল্প চালু করল কেন্দ্র।এই প্রকল্প নিয়ে ২০ জুন বিহারে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রচারে বলা হচ্ছে, “নিজ নিজ রাজ্যে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিক এবং গ্রামের নাগরিকদের ক্ষমতায়ণ এবং জীবিকার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য এই প্রকল্প।”সরকারি এক আধিকারিক বিবৃতি জানিয়েছেন, “মিশন মোডে কাজ করবে এই প্রচারপর্ব। ১২৫ দিন ধরে এই প্রচার চালানো হবে। একদিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থান জন্য ২৫টি বিভিন্ন ধরণের কাজে মনোনিবেশ করা হবে। অন্যদিকে গ্রামীণ অঞ্চলের পরিকাঠামো উন্নত করতে ৫০ হাজার কোটি টাকাকেও ব্যবহার করা হবে।” বিস্তারিত পড়ুন এই প্রতিবেদনে, পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবিকা নির্বাহে ৫০ হাজার কোটির প্রকল্প চালু
পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের ব্যবস্থা করে দিতে ৫০ হাজার কোটির গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান প্রকল্প চালু করলেন মোদী। ভার্চুয়াল এই উদবোধনে কী জানালেন তিনি?
বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রতিদিন নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর আসছে। তবে দেশে মোট সংক্রমণের সিংহভাগ গত এক মাস ধরে হচ্ছে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লি ও গুজরাটে।
গত দু মাসের বেশি সময় ধরে এই চার রাজ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণহচ্ছে। জাতীয় পর্যায়ে সংক্রমণের ৬৪ থেকে ৬৮ শতাংশ এই রাজ্যগুলিতে ঘটছে, যদিও দৈনিক পরীক্ষার সংখ্যায় যথেষ্ট হেরফের থাকছে।
গত এক মাসে মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি যথেষ্ট কমেছে, যার ফলে জাতীয় সংক্রমণে তাদের অবদানও হ্রাস পেয়েছে। কিছুদিন আগেও মোট সংক্রমণের ৩৭ শতাংশ ঘটছিল মহারাষ্ট্রে, তা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৩১ শতাংশে। গুজরাটের অবদান ১২ শতাংশ থেকে কমে ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সবিস্তারে পড়ুন এই প্রতিবেদনে, দেশের করোনাসংক্রমণে শীর্ষ চার রাজ্য
বাংলায় একদিনে আরও ৩৫৫ জনের শরীরে মিলল করোনাভাইরাস। এ নিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৯০। বাংলায় করোনায় অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৫ হাজার ২৫৮। গত ২৪ ঘণ্টায় রাহ্যে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৫২৯।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা-মুক্ত হয়েছেন ৩০২ জন। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ হাজার ৩০৩ জন। বাংলায় করোনায় সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৫৫.৭৯ শতাংশ, রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন সূত্রে এ তথ্য জানা গিয়েছে।
সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। কলকাতায় মোট কোভিড ১৯ অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২ হাজার ২১২। এরপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা (৭৫৮),হাওড়া (৫১৫), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৩১৮), হুগলি (২৬১)।
কম দামি বহু ব্যবহৃত স্টেরয়েড ডেক্সামেথাসোন আলোচনায় উঠে এসেছে। গবেষকরা বলেছেন কোভিড-১৯ রোগীদের মধ্যে মৃত্যু কমাতে এই ওষুধ কার্যকর।
কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ডেক্সামেথাসোনমানুষের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা যখন ঠিকভাবে কাজ করে না এবং তার ফলে প্রদাহ হয় ও টিস্যুর ক্ষতি হয় তখন এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়। ডেক্সামেথাসোন শরীরে প্রদাহ সৃষ্টিকারী রাসায়নিকের উৎপাদন কমিয়ে দেয় এবং একই সঙ্গে শ্বেত রক্ত কণিকার উপর প্রভাব ফেলে প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও নিয়ন্ত্রণ করে।
ডেক্সামেথাসোন কোর্টিকোস্টেরয়েড গ্রুপের মধ্যে পড়ে, যার সঙ্গে যোগ রয়েছে কর্টিজোল হরমোনের। এই হরমোন মানুষের অ্যাড্রিনালিন গ্ল্যান্ডে স্বাভাবিক ভাবে উৎপন্ন হয়। পেশির প্রদাহ, রক্ত নালীর প্রদাহ, ক্রনিক আর্থ্রাইটিস ও লুপাসের চিকিৎসায় এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়। ফুসফুসের অসুখ, কিডনি ও চোখের প্রদাহে, এবং মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের টিউমার ঘটিত ফোলা কমাতে এই ওষুধ কাজে লাগানো হয়। ক্যানসার রোগীদের কেমোথেরাপির জন্য যে বমিভাব ও বমি হয়, তার চিকিৎসাতেও এ ওষুধ ব্যবহার করা হয়।