গত কয়েকদিন ধরে ভারতে করোনা সংক্রমণের রেকর্ড বৃদ্ধি ঘটেছে। সোমবারও সেই ধারা অব্যাহত।। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে ৬,৯৭৭ জন কোভিড আক্রান্ত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে এ দেশে মোট করোনা পজিটিভের সংখ্যা ১,৩৮,৮৪৫। এখনও পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৭,৭২১ জন। কোভিড অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৭৭, ১০৩। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৪,০২১ জন। জন হপকিনম্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুসারে সংক্রমণের নিরিখে ইরানকে টপকে গিয়েছে ভারত। ফলে বিশ্বের প্রথম ১০ করোনা আক্রান্ত দেশের তালিকায় ঢুকে পড়ল ভারত। বর্তমানে ১০ নম্বরে রয়েছে ভারত। এদিকে, এর মধ্যেই প্রায় দু'মাস পরে আজ থেকে চালু হল অন্তর্দেশীয় উড়ান পরিষেবা। আগামী দশদিন তালিকা বহির্ভূত বিমান চালাতে এয়ার ইন্ডিয়াকে অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট।
দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও অব্যাহত করোনাভাইরাসের দাপট। আমফান বিধ্বস্ত বাংলায় গত চব্বিশ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২০৮ জন। যা এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে সর্বাধিক বৃদ্ধি। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৬৬৭ জন। রবিবার রাজ্যে করোনা অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৫৬। সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ১ হাজার ৩৩৯ জন।
গোটা বিশ্বে করোনা পজিটিভ ৫.৪ মিলিয়নের উপর। মৃত্যু হয়েছে মোট ৩.৪ লক্ষ মানুষের।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Live Blog
Coronavirus Lockdown Situation In India-West Bengal Kolkata Updates. করোনা লকডাউন পরিস্থিতির সব খবর জানতে চোখ রাখুন এখানে...
সংক্রমণের নিরিখে এখনও শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। যা চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্যে। কলকাতায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩৫। গত চব্বিশ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৬ জন। এরপরই রয়েছে হাওড়া (৫৩৯)। কলকাতার পাশপাশি এই জেলাতেও আক্রান্তের হার অনেকটাই বেশি। গত ২৪ ঘন্টায় এই জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ জন। এছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনা (২৬২), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৭০), হুগলি (৮৯), মালদা (৭০)।
সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন(সিবিএসই) জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত বোর্ড পরীক্ষা পরিচালনা করতে অতিরিক্ত ১২,০০০ কেন্দ্রকে তালিকাবদ্ধ করেছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী (এইচআরডি) রমেশ পোখরিয়াল ‘নিশঙ্ক’ তার টুইটারের মাধ্যমে জানিয়েছেন ৩০০০ হাজার থেকে পরীক্ষা কেন্দ্র সংখ্যা বাড়িয়ে এখন ১৫,০০০ করা হয়েছে।
মূলত পরীক্ষার সময় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের একে অপরের থেকে দূরে বসানো হবে, কাজোই, অতিরিক্ত পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রয়োজন হবে। মাস্ক পরে থাকতে হবে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে। পাশাপাশি রাখতে হবে নিজস্ব হ্যান্ড স্যানিটাইজার। নির্দেশিকা অনুসারে পরীক্ষার হলে প্রবেশের আগে পরীক্ষার্থীদের চেক করে নেওয়া হবে। পড়ুন বিস্তারিত
লকডাউনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আটকে বহু মানুষ। রেলের তরফে চালানো স্পেশাল ট্রেনও যথেষ্ট নয়। এদিকে পূর্ব নির্ধারিত বিমানের টিকিটও সব শেষ। নিজ নিজ রাজ্যে ফিরতে বাড়ছে যাত্রীদের চাপ। এই পরিস্থিতিতে আগামী দশদিন তালিকা বহির্ভূত বিমান চালাতে এয়ার ইন্ডিয়াকে অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে এর আগে বিমানের মাঝের আসনটি ফাঁকা রাখা হলেও, এই ১০ দিন সম্পূর্ণ যাত্রীবোঝাই করেই উড়বে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান।
অসামরিক বিমান পরিবহন প্রদত্ত একটি বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বোম্বে হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে কেন্দ্র এবং এয়ার ইন্ডিয়া যে আবেদন জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে সেই শুনানিতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। আজ ঈদের ছুটির মধ্যেই ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই জরুরীকালীন শুনানি করেন প্রধানবিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। পড়ুন বিস্তারিত
দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে অবশেষে আজ থেকে দেশব্যাপী চালু হল অন্তর্দেশীয় উড়ান পরিষেবা। তবে দেশে যেহেতু এখনও করোনা হানা উর্ধ্বগামী তাই ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে মোট ১১ জেলায় জারি হয়েছে কোয়ারেন্টাইন বিধি। অর্থাৎ যেসব যাত্রীরা এই সকল রাজ্যে ফিরবে তাঁদের প্রত্যেককেই থাকতে হবে হোম কোয়ারেন্টাইনে। রবিবার স্বরাষ্ট্রদফতর সূত্রে একগুচ্ছ নির্দেশ জারি করলেও রাজ্যগুলি নিজেরাও বেশ কিছু নিয়ম লাগু করছে উড়ান পরিষেবার ক্ষেত্রে। পড়ুন বিস্তারিত
কোয়ারেন্টিনে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি অসংবেদনশীল মন্তব্যের অভিযোগ উঠল বিহারের জেডিইউ বিধায়ক রন্ধীর কুমার সোনির বিরুদ্ধে। বিধায়কের মন্তব্য ভাইরাল হতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। শাসক দলের বিধায়ককের কড়া সমালোচনা করেছেন বিরোধী দলনেতা তথা আরজেডি সুপ্রিমো তেজস্বী যাদব।
নিজেদের রাজ্যে ফিরছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। কিন্তু, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদে থাকতে হচ্ছে কোয়ারেন্টিনে। বিহারের চান্দি গ্রামে এইরকমই এক কোয়ারেন্টিন সেন্টারে গত ২২ মে হাজির হন শেখপুরার জেডিইউ বিধায়ক রন্ধীর কুমার সোনি। সেন্টার ঘুরে দেখার ফাঁকেই বিধায়ককে এক পরিযায়ী জিজ্ঞাসা করেন, 'বিহার ও কেন্দ্রে এনডিএ সরকার রয়েছে। কিন্তু কেন কর্মসংস্থান হচ্ছে না?' পড়ুন বিস্তারিত
রাজ্যে অবস্থিত ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত সহ আন্তঃরাজ্য সব সীমানা বন্ধ করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। অমফানের বিপর্যস্ত বাংলা। চলছে পুনর্গঠনের কাজ। তাই এই পদক্ষেপ বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
রাজ্য সরকারের এক শীর্ষ আমলা জানিয়েছেন, ‘দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলা আমফানের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত। সেইসব জেলায় পুনর্গঠনের কাজই সরকারের আগ্রাধিকার। এই কাজে ব্যস্ত জেলা প্রশাসন। এই সময় বিদেশ থেকে বা পরিযায়ীরা রাজ্যে ফিরলে তা অসুবিধার কারণ হবে। পরিকাঠামো ও কর্মীর অভাবে বাংলায় আগতদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধির উপর নজর রাখা যাবে না। তাই রাজ্য প্রশাসন সাময়িক সময়ের জন্য বাংলার সীমান্ত ও সীমানা বন্ধের মতো পদক্ষেপ করেছে।’ পড়ুন বিস্তারিত
কর্নাটকের কেম্পেগৌদা বিমানবন্দরে ছবি।
সারা দেশে অন্তর্দেশীয় উড়ান পরিষেবা চালু হলেও দু’একটি রাজ্য ব্যতিক্রম। তালিকায় রয়েছে বাংলা। এ রাজ্যে কলকাতা ও বাগডোগরা বিমানবন্দরে ওই পরিষেবা চালু হবে ২৮ মে। মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে আগামী কয়েকদিন দেশীয় উড়ান পরিষেবা কলকাতায় বন্ধ রাখার আনুরোধ জানিয়েছিলেন। তাতেই সাড়া দিয়েছে মোদী সরকার।
লকডাউনের জেরে প্রায় দু'মাস বন্ধ থাকার পর শুরু হল দেশীয় উড়ান পরিষেবা। ভারতে করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধি উর্ধ্বমুখী। তাই করোনা সতর্কতা মেনেই যাত্রীদের উড়ানে উঠতে দেখা গিয়েছে। সামাজিক দূরত্ব মেনে, মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস পড়েই যাত্রীরা বিমান ধরেছন। বিমানবন্দরেই চলছে থার্মাল স্ক্রিনিং। বিমানবন্দরে নামার পর যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কোনও সন্দেহ দেখা দিলে কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক করেছে বেশ কয়েকটি রাজ্যে। এদিন প্রথম উড়ানটি ভোর পৌনে পাঁচটা নাগাদ দিল্লি থেকে পুনে উড়ে যায়।
ভারতের বড় বড় শহরগুলোতেই করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নের নিদান দিচ্ছে কেন্দ্র। কিন্তু, স্মার্ট সিটি মিশনের নিরিখে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গঠন যে কেন্দ্রীয় সরকারের আগ্রাধিকার নয়- তা স্পষ্ট। তথ্য খতিয়ে দেখলেই জানা যাচ্ছে যে, স্মার্ট সিটি মিশনের আওতায় ৫,৮৬১ প্রকল্পের মধ্যে মাত্র ৬৯টি স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য- যা ২০১৫ সালে মোট প্রকল্পের মাত্র এক শতাংশ। পড়ুন বিস্তারিত
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে এ দেশে মোট করোনা পজিটিভের সংখ্যা ১,৩৮,৮৪৫। এখনও পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৭,৭২১ জন। কোভিড অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৭৭, ১০৩। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৪,০২১ জন।