একের পর এক আক্রান্তের সংখ্যাযুক্ত হওয়ায় রবিবার আড়াই লক্ষের গন্ডি পেরোল করোনাক্রান্ত ভারত। স্পেনকে পিছনে ফেলে কোভিড-১৯ ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যায় এখন বিশ্বে পঞ্চম স্থানে ভারত। এদিকে দেশের এহেন পরিস্থিতিতে আরও 'সুক্ষভাবে বিচার' করতে হবে করোনা লড়াইয়ের স্ট্র্যাটেজি, এমনটাই জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
এদিকে, বিশ্বজুড়ে করোনার থাবা। সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা চার লাখের পেরোল। হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত ৪ লক্ষ ১৩ জন। ৬.৯ মিলিয়ান মানুষ কোভিড পজিটিভ। এর মধ্যে ৩০ লাখ মানুষ সুস্থ হয়েছেন। মোট সংক্রমণের নিরিখে ভারতের স্থান পঞ্চম।
ভারতে একদিনে সংক্রমণ বৃদ্ধির সংখ্যা ফের ৯ হাজারের গণ্ডি টপকালো। এই নিয়ে চারবার। স্বাস্থ্যমন্ত্রক প্রকাশিক পরিসংখ্যান অনুসারে গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৯,৯৭১ জন। যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক। পরিসংখ্যানের তুল্যমূল্য বিচারে দেখা যাচ্ছে এ দেশে করোনায় মৃত্যু হার এখনও অনেকটাই কম। ভারতে কোভিড-১৯ মৃত্যুর হার ২.৮ শতাংশ। বিশ্বব্যাপী এই হার ৫.৮ শতাংশ। করোনায় রোজ মৃত্যুর নিরিখে ভারত- আমেরিকা, মেক্সিকো, ব্রিটেন ও ব্রাজিলের ঠির পরেই অবস্থান করছে।
Read in English
ন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Live Blog
Coronavirus Lockdown Situation In India-West Bengal Kolkata Updates. করোনা-লকডাউন পরিস্থিতির সব খবর জানতে চোখ রাখুন এখানে...
আনলক ১.০ -এর শুরু থেকেই দিল্লিতে ধর্মীয় স্থান, মল ও রেস্তোরাঁ খুলবে। ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে, হোটেল ও ব্যাঙ্কুয়েট এখনই খুলছে না। বর্তমানে রাজধানীর বেশ কয়েকটি হোটেল কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই পরে হোটেল খোলার বিষয় বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। কেন্দ্রীয় গাইডলাইন মেনে মানুষকে ধর্মীয় স্থান, শপিং মল, রেস্টারাঁয় যেতে পরামর্শ দিয়েছেন।
সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী। গত কয়েকদিনে গড়ে ৯ হাজারের বেশি মানুষ ভারতে প্রত্যেকদিন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। দেশে কোভিড-১৯ মৃত্যুর সংখ্যা সাড়ে ৬ হাজারের বেশি। কোভিডে মোট মৃত্যুর প্রায় অর্ধেক ঘটেছে গত দু’সপ্তাহে। কিন্তু, পরিসংখ্যানের তুল্যমূল্য বিচারে দেখা যাচ্ছে এ দেশে করোনায় মৃত্যু হার এখনও অনেকটাই কম। পড়ুন বিস্তারিত
করোনা সংক্রমণের মধ্যেই ২১ জুলাই শুরু হতে পারে এ বছরের অমরনাথ যাত্রা। তবে, যাত্রা পথ ছোট করা হয়েছে। বালতাল রুট দিয়ে এবার অমরনাথ যাবেন পূণ্যার্থীরা। তবে যাত্রা পথের বিষয়টি এখনই চূড়ান্ত করে জানায়নি শ্রী অমরনাথজি শ্রাইন বোর্ড। এপ্রিলে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল এবার এই যাত্রা হবে না। পরে অবশ্য সেই ঘোষণা প্রত্যাহার করা হয়। পহেলগাঁও ও বালতাল রুট- ওই দুই পথে অমরনাথ যাওয়া যায়।
করোনা সংক্রমণের নমুনা পরীক্ষা সম্পর্কিত সরকারি বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের মেডিক্য়াল সুপরারের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে কেজরিওয়াল সরকার। দিল্লির স্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্ত সচিব এই এফআইআর দায়ের করেন। এই ঘটনার সমালোচনায় সরব দিল্লি মেডিক্যাল অস্যোসিয়েশন। চিকিৎসকদের প্রতি দিল্লি সরকারের ভূমিকা 'অত্যন্ত নিন্দনীয়' ও 'হতাশাব্যঞ্জক' বলে দাবি করেছে চিকিৎসকদের সংগঠন।
শনিবারই কেজরিওয়াল বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে নিশানা করেছিলেন। বলেছিলেন 'সংক্রমণ উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের কম শয্যার অছিলায় ফেরানো যাবে না। যদিও বেসরকারি হাসপাতালে সংক্রমণ উপসর্গ নিয়ে যারা চিকিৎসাধীন হতে চাইছেন তাঁদের সেভাবে যত্ন করা হচ্ছে না। কালো বাজারি চেষ্টা হলে অভিযুক্তদের রেয়াত করা হবে না।'
স্বাস্থ্যমন্ত্রক প্রকাশিক পরিসংখ্যান অনুসারে এ দেশে মোট কোভিড পজিটিভ ২ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬২৮ জন। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৯,৯৭১ জন। দেশে করোনা অ্য়াকটিভ কেসের সংখ্যা ১.২ লক্ষ ও সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন ১.১৯ লাখ। করোনায় প্রাণ গিয়েছে মোট ৬,৯৭২ জনের।
স্বাস্থ্য় দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত বাংলায় মোট ২ লক্ষ ৬১ হাজার ২৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। রাজ্যে করোনায় সুস্থতার হার ৪০.৩০ শতাংশ।
একের পর এক আক্রান্তের সংখ্যাযুক্ত হওয়ায় রবিবার আড়াই লক্ষের গন্ডি পেরোল করোনাক্রান্ত ভারত। স্পেনকে পিছনে ফেলে কোভিড-১৯ ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যায় এখন বিশ্বে পঞ্চম স্থানে ভারত। এদিকে দেশের এহেন পরিস্থিতিতে আরও 'সুক্ষভাবে বিচার' করতে হবে করোনা লড়াইয়ের স্ট্র্যাটেজি, এমনটাই জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। যদিও বিরোধীদের দাবি প্রথম থেকেই বিশেষজ্ঞদের মতামত নেয়নি সরকার। এর ফলেই এখন এই সুর কেন্দ্রের।
দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগছিলেন। এর মধ্যে করোনা ধরা পড়তেই আত্মহত্যার পথ বেঁছে নিলেন প্যারামিলিটারি ফোর্সের ৩৭ বছরের এক সিআরপিএফ জওয়ান। রবিবার সংবাদসংস্থা পিটিআইকে এমনটাই জানিয়েছে সেনা আধিকারিকেরা। সিআরপিএফ-এ এই নিয়ে তিন জন জওয়ানের মৃত্যু হল করোনায়।
‘করোনাভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে’, এই নিদান দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু যেভাবে প্রতিদিনই বাংলায় নিজের দাপট বাড়াচ্ছে কোভিড-১৯ ভাইরাস সেখানে চিন্তা বাড়ছে বঙ্গবাসীর। লকডাউনের নিয়ম আলগা হতেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাইছেন অনেকেই, কিন্তু একদিনে করোনা আক্রান্তের নিরিখে ফের রেকর্ড গড়ল বাংলা। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ৪৪৯ জনের শরীরে মিলেছে কোভিড-১৯। কেমন আছে বাংলা? কী অবস্থা জেলার? পড়ুন এই প্রতিবেদনে, করোনাজ্বরে মারাত্মক কাবু বাংলা, একদিনে আক্রান্ত ৪৪৯ জন
এখনও করোনাজ্বরে কাবু বিশ্ব। তাই করোনার দাপট কমাতে রীতিমতো দিনরাত কাজ করে চলেছেন বিশ্বের সমস্ত প্রান্তের গবেষকরা। অবশেষে সেই প্রতীক্ষাই যেন সমাপ্ত হল। সম্প্রতি ব্রিটিশ ফার্মা জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে যে তাঁরা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে একটি ভ্যাকসিন প্রস্তুত করেছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই দু’শো কোটি ডোজের ভ্যাকসিন তাঁরা বিশ্বকে দিতে পারবে। অন্যদিকে করোনা থাবায় বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও প্রায় প্রস্তুত তাঁদের ভ্যাকসিন নিয়ে। বিস্তারিত পড়ুন, আমেরিকা এবং ব্রিটেনে প্রস্তুত কয়েকশো কোটি করোনা ভ্যাকসিন
উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের কোভিড সংক্রমণ হলে, তাঁদের মৃত্যুর আশঙ্কা দ্বিগুণ। শুক্রবার ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।চিন ও আয়ারল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা ৫ ফেব্রুয়ারী থেকে ১৫ মার্চের মধ্যে উহানের হুয়ো শেন শান কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২৮০০ কোভিড-১৯ রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন। এঁদের মধ্যে ২৯.৫ শতাংশ (৮৫০ জন)-এর হাইপারটেনশনের মেডিক্যাল ইতিহাস ছিল। গবেষকরা দেখিয়েছেন, এই ৮৫০ জনের মধ্যে ৪ শতাংশ (৩৪জন) মারা গিয়েছেন, অন্যদিকে বাকি ২০২৭ জন রোগী, যাঁদের হাইপারটেনশন ছিল না, তাঁদের মধ্যে ২২ জন (১.১ শতাংশ) মারা গিয়েছেন। বয়স, লিঙ্গ, ও অন্যান্য শারীরিক বিষয় পরীক্ষা করে গবেষকরা দেখিয়েছেন, এই আশঙ্কা ২.১২ শতাংশ বেশি।সবিস্তারে পড়ুন, হাইপারটেনশনের কোভিড রোগীদের মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি
বিশ্বজুড়ে করোনার থাবা। সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা চার লাখের পেরোল। হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত ৪ লক্ষ ১৩ জন। ৬.৯ মিলিয়ান মানুষ কোভিড পজিটিভ। এর মধ্যে ৩০ লাখ মানুষ সুস্থ হয়েছেন। মোট সংক্রমণের নিরিখে ভারতের স্থান পঞ্চম।
উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের কোভিড সংক্রমণ হলে, তাঁদের মৃত্যুর আশঙ্কা দ্বিগুণ। শুক্রবার ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
চিন ও আয়ারল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা ৫ ফেব্রুয়ারী থেকে ১৫ মার্চের মধ্যে উহানের হুয়ো শেন শান কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২৮০০ কোভিড-১৯ রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন। এঁদের মধ্যে ২৯.৫ শতাংশ (৮৫০ জন)-এর হাইপারটেনশনের মেডিক্যাল ইতিহাস ছিল। গবেষকরা দেখিয়েছেন, এই ৮৫০ জনের মধ্যে ৪ শতাংশ (৩৪জন) মারা গিয়েছেন, অন্যদিকে বাকি ২০২৭ জন রোগী, যাঁদের হাইপারটেনশন ছিল না, তাঁদের মধ্যে ২২ জন (১.১ শতাংশ) মারা গিয়েছেন। বয়স, লিঙ্গ, ও অন্যান্য শারীরিক বিষয় পরীক্ষা করে গবেষকরা দেখিয়েছেন, এই আশঙ্কা ২.১২ শতাংশ বেশি। পড়ুন বিস্তারিত
জুনে মহারাষ্ট্রের কোনও স্কুলে পঠন-পাঠন চালু হবে না। একেবারে জুলাই থেকেই স্কুল খোলার চিন্তা-ভাবনা করেছে রাজ্য সরকার। স্খুল শিক্ষা দফতরের তরফে বলা হয়েছে, জুনের ১৫ বা ২৬ তারিখ থেকে রাজ্যের কোনও স্কুল খুলবে না। গ্রিন জোনেও ছাড় দেওয়া হবে না।
এতদিন কোভিড-১৯-য়ে মৃত্যু হলে রোগীর দেহ সৎকারের আগে পরিবারের লোকেরা দেখতে পেতেন না। যাকে কেন্দ্র করে বিস্তর অভিযোগ ছিল। এবার অবশ্য তার সমাধান হল বলেই মনে করা হচ্ছে। এবার থেকে মৃতদের পরিবারের সদস্যরা যাতে দেহ দেখতে পান তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ-
* করোনায় মৃত ব্যক্তির দেহ নির্দিষ্ট স্থানে আধঘন্টা রাখবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
* মৃত্যুর এক ঘন্টার মধ্যে পরিবারের লোকেদের খবর দেবে হাসপাতাল।
* সেখানেই শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন মৃতের আত্মীয়রা।
* মৃত্যু এক ঘন্টার মধ্যে হাসপাতালের তরফে রোগীর পরিবারের কাছে খবর পৌঁছতে হবে।
* আগে যে আবরণ দিয়ে মৃতদেহ ঢাকা হতে এখন আর তা চলবে না।
* এবার মৃতদেহের মুখ স্বচ্ছ আবরণ দিয়ে ঢাকা থাকবে।
* মৃতের আত্মীয়দের মাস্ক ও গ্লাভস দেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
* স্থানীয় প্রশাসন অন্তেষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন করবে।
সংক্রমণ রুখতে দিল্লির সীমানা বন্ধ করেছিল সরকার। আগামিকাল থেকে ফের তা খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। তবে, বয়স্কদের বাড়ি থেকে বাইরে না যাওয়ার আবেদন করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, বয়স্ক-বয়স্কাদের জন্য় লকডাউন এখনও শেষ হয়ে যায়নি।
দিল্লি-গাজিয়াবাদ সীমানা।