সম্প্রতি করোনার উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে গিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল।করোনা পরীক্ষা করা হলে মঙ্গলবার সেই পরীক্ষায় নেতিবাচক ফল আসে। এই রিপোর্টে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে দিল্লিবাসী।তবে এদিন দেহে করোনার উপসর্গ, নয়া দিল্লির বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হলেন বিজেপি নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং তাঁর মা মাধবী রাজে সিন্ধিয়া। সাকেতের ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মা ও ছেলে। তাঁদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এখনও কিছু জানায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
দেশে যে এখনও করোনার দাপট এবং বিপর্যয় দুইই অব্যাহত। এরই মাঝে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এনডিআরএফ)-এর ৪৯ জনের দেহে পাওয়া গেল করোনাভাইরাস। ঘূর্ণিঝড় আমফান পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন তাঁরা।
এদিকে, লকডাউনের পঞ্চম দফায় পরিযায়ী শ্রমিকদের তাঁদের নিজরাজ্যে ১৫ দিনের মধ্যে পাঠিয়ে দিতে মঙ্গলবার কেন্দ্রকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়াও রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকেও শ্রমিকদের কর্মসংস্থান করা এবং সে বিষয়ে পরিকল্পনা প্রণয়নেরও নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। পরিযায়ীদের পাশে থেকেই এদিন সুপ্রিম কোর্ট আদেশ দেয় যে লকডাউনের নিয়ম ভেঙে পরিযায়ীদের বাড়ি ফেরার বিষয়ে যে অভিযোগ জমা পড়েছে তা যেন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৯,৯৮৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৩১ জনের। স্বাস্থ্যমন্ত্রক প্রকাশিত তথ্য অনুসারে দেশে মোট কোভিড পজেটিভ ২ লক্ষ ৬৬ হাজার ৫৯৮ জন। অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৯১৭ ও সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ১ লক্ষ ২৯ হাজার ২১৫ জন। করোনায় মোট মৃত ৭, ৪৬৬।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Live Blog
Coronavirus Lockdown Situation In India-West Bengal Kolkata Updates. করোনা-লকডাউন পরিস্থিতির সব খবর জানতে চোখ রাখুন এখানে...
স্পেনকে পিছনে ফেলে কোভিড-১৯ ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যায় এখন বিশ্বে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত। দেশে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। মুম্বইয়ের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের ৯৯ আইটিইউ ভর্তি। ভেন্টলেটরে রয়েছেন ৯৪ শতাংমশ কোভিড পজিটিভ। তীব্র উপসর্গ থাকলেই তবেই হাসপাতালগুলিকে রোগী ভর্তি করতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য় সরকার। কিন্তু, নির্দেশ সর্বত্র মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
বাংলায় সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। কলকাতায় মোট কোভিড ১৯ অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ১৪৭১। এরপরই রয়েছে হাওড়া (৮৮৫), উত্তর ২৪ পরগনা (৭০০), হুগলি (৪০৬),দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১৭৩)।
মঙ্গলবার কেজরিওয়ালের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে আম আদমি পার্টি. দলের তরফে জানান হয়েছে যে, "তিনি এখও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেননি। রবিবার থেকে এখনও হোম কোয়ারেন্টাইনেই আছেন। জ্বর এবং গলায় ব্যথা এখনও আছে।"
দেহে করোনার উপসর্গ, নয়া দিল্লির বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হলেন বিজেপি নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং তাঁর মা মাধবী রাজে সিন্ধিয়া। সাকেতের ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মা ও ছেলে। তাঁদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এখনও কিছু জানায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কথাতেই আছে যেমন বুনো ওল, তেমন বাঘা তেঁতুল। বাংলার সেই প্রবাদেই যেন আস্থা রাখছেন বিদেশের গবেষকরা। আরএনএ ভাইরাস করোনাকে বধ করতে এবার 'সেলফ অ্যামপ্লিফাইন' আরএনএ দিয়েই ভ্যাকসিন প্রস্তুত করেছে লন্ডনের এই বিশ্ববিদ্যালয়। কম খরচে যাতে বিশ্বের হাতে আসে এই ওষুধ, সেই জন্য বিশেষ একটি সংস্থার মাধ্যমে এই ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।ইম্পেরিয়াল কলেজের তরফে বলা হয়েছে এই আরএনএ ভ্যাকসিন দিয়ে মানব শরীরের কোষগুলিকে নির্দেশ পাঠানো হবে যাতে তারা করোনাভাইরাসের গায়ে আরও স্পাইক তৈরি করতে পারে। এর ফলে সেই প্রোটিনগুলি দেহে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করবে এবং করোনার বিরুদ্ধেও লড়াই জারি রাখতে পারবে।
করোনার রোষ থেকে যেন মুক্তি নেই কারুরই। সুপার সাইক্লোন আমফান বিধ্বস্ত বাংলায় উদ্ধারকার্যে এসে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলে (এনডিআরএফ)-এর ৪৯ জন সদস্য। গত মাসে ওড়িশা থেকে বাংলায় উদ্ধারকার্যে এসেছিলেন ১৯০ জনের একটি দল। সোমবার রাতে এনডিআরএফ-এর ডিজি এস এন প্রধান একটি টুইট করে জানান, “অনুসন্ধান করে দেখা গিয়েছে যে সাইক্লোন আমফান উদ্ধারকাজে যাওয়া ৫০ জনের দেহে করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। ওড়িশায় ফিরে আসার পর তাঁদের করোনা পরীক্ষা করা হলে এই রিপোর্ট পাওয়া যায়। ১৯০ জনেরই করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। বাকিরা সুস্থ আছে।” সবিস্তারে পড়ুন, বাংলায় আমফান উদ্ধারকার্যে এসে কোভিড আক্রান্ত জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী
লকডাউনের পঞ্চম দফায় পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকেই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলা হয়। একটি স্বতপ্রণোদিত মামলার প্রেক্ষিতেই এই আদেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি ২৪ ঘন্টার মধ্যে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন যেন সকলে উপলব্ধ পায় সেই ব্যবস্থাও করে দিতে বলা হয়েছে সুপ্রিম নির্দেশে।এদিন রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকেও শ্রমিকদের কর্মসংস্থান দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের দক্ষতা অনুযায়ী কীভাবে কাজ বন্টন করা যায় তার একটি কাজের ম্যাপ প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। বিস্তারিত পড়ুন, পরিযায়ীদের বাড়ি ফেরা এবং কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
সোমবার দেশে করোনাসংক্রমণের নতুন সংখ্যা ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে, কেন তার কারণ স্পষ্ট নয়। জম্মুকাশ্মীরে রবিবার ৬০০-র বেশি সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, সোমবার সেখানে ১৯৮টি সংক্রমণ ধরা পড়ার খবর এসেছে যা স্বাভাবিকের চেয়ে কম। দিল্লি ও মহারাষ্ট্র থেকেও কম সংক্রমণের খবর এসেছে।কিন্তু মূল তফাৎ ধরা পড়েছে কোনও তালিকাভুক্ত নন এমন রোগীর সংখ্যাহ্রাসে। কোনও রাজ্যই এঁদের দায়িত্ব নিচ্ছিল না, এবং সে সংখ্যাটা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রমশ বাড়ছিল। রবিবার এই সংখ্যা পৌঁছয় ৮৬০৫-এ। সোমবার সংখ্যাটা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৮৩৭-এ, অর্থাৎ অন্তত ৭৬৮ জনকে কোনও না কোনও রাজ্য স্বীকার করেছে। বিস্তারিত পড়ুন, সারা দেশে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা হ্রাস, কারণ অস্পষ্ট
দেশে যে এখনও করোনার দাপট এবং বিপর্যয় দুইই অব্যাহত। এরই মাঝে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এনডিআরএফ)-এর ৪৯ জনের দেহে পাওয়া গেল করোনাভাইরাস। ঘূর্ণিঝড় আমফান পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন তাঁরা। সেই লড়াইয়ের কঠিন সময়ের পর তাঁদের করোনা পরীক্ষা করা হলে কোভিড-১৯ ভাইরাসের উপস্থিতি দেখা যায় তাঁদের শরীরে।
লকডাউন শিথিল হতেই দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের প্রকোপ আরও বাড়তে চলেছে। পরিসংখ্যানের বিচারে দেশের ২৪ রাজ্য় ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার জাতীয় গড়ের চেয়েও বেশি। বিগত কয়েকদিন ধরেই জম্মু-কাশ্মীর ও হরিয়ানায় আক্রান্তের সংখ্য়া অনেকটাই বেড়েছে। গত তিনদিনে একই হার উত্তরপ্রদেশের। আসাম-ত্রিপুরাতেও ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে সংক্রমণ। দেশের প্রথম দশ করোনা আক্রান্ত রাজ্যের তালিকায় ঢুকে পড়েছে কর্নাটক। বাংলা, উত্তরাখণ্ড, ছত্তিশগড় ও কেরালেও কোভিড বৃদ্ধির হার বেশি।পরিসংখ্য়ানেই স্পষ্ট করোনা আক্রান্তের নিরিখে প্রথম তিন রাজ্য মহারাষ্ট্র, গুজরাট ও রাজস্থানে বৃদ্ধির প্রকোপ সামান্য হারে কমছে।কিন্তু, দিল্লি ও তামিলনাড়ুতে যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে এই পরিসংখ্যান বেশিদিন ধরে রাখা সম্ভব নয়। যদিও পরিসংখ্যান অনুসারে দেশের প্রথম করোনা আক্রান্ত পাঁচ রাজ্যের কেসলোডের পতন দেখা গিয়েছে। আগে ভারতের মোট আক্রান্তের ৭৪ শতাংশই ছিল এই রাজ্যগুলির। বর্তমানে তা কমে হয়েছে ৬৮ শতাংশ। কিন্তু, সংক্রমণের জাতীয় বৃদ্ধির হার যখন কমছে তখনই লকডাউনের শিথিলের ফলে তা ফের বেড়ে যাবে বলেই আশঙ্কা।
লকডাউনের পঞ্চম দফায় পরিযায়ী শ্রমিকদের তাঁদের নিজরাজ্যে ১৫ দিনের মধ্যে পাঠিয়ে দিতে মঙ্গলবার কেন্দ্রকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়াও রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকেও শ্রমিকদের কর্মসংস্থান করা এবং সে বিষয়ে পরিকল্পনা প্রণয়নেরও নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। পরিযায়ীদের পাশে থেকেই এদিন সুপ্রিম কোর্ট আদেশ দেয় যে লকডাউনের নিয়ম ভেঙে পরিযায়ীদের বাড়ি ফেরার বিষয়ে যে অভিযোগ জমা পড়েছে তা যেন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে এগোচ্ছে। ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে সংক্রমণ। রবিবার গোটা বিশ্বে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তারপরই গভীর উদ্বেগের কথা সুনিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বা হু-য়ের ডিরেক্টার জেনারেল টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসিস। তিনি বলেছেন, 'দিন দিন পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। গত দশদিনের মধ্যে ৯ দিনই ১ লক্ষের বেশি মানুষ করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। এবং এর বেশিরভাগটাই আসছে ল্যাটিন আমেরিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি থেকে। যা আরও বিপজ্জনক। কারণ, তথাকথিত এই অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবস্থা তথৈবচ।' ইউরোপের পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
করোনায় কাবু বাংলা। যত দিন গড়াচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে ভাইরাসের থাবা ততই বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ৪২৬ জনের শরীরে মিলেছে কোভিড ১৯। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলায় আরও ৯ জনের মৃত্য়ু হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্য়ে করোনায় মৃত বেড়ে হয়েছে ৪০৫। বাংলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে হয়েছে ৮,৬১৩। সোমবার পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় অ্য়াকটিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪,৭৪৩ জন। করোনা মুক্ত হয়েছেন ৩,৪৬৫ জন।
দেশে একদিনে ফের আক্রান্ত সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দশ হাজারের। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড পজিটিভ ৯,৯৮৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৩১ জন। বর্তমানে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর মোট সংখ্যা ২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৮ জন। কোভিড অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৯১৭ ও সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ১ লক্ষ ২৯ হাজার ২১৫ জন।