কেরালায় দ্বিতীয়বারের জন্য খোঁজ মিলল করোনাভাইরাস আক্রান্তের। এর আগে গত বৃহস্পতিবার চিন-ফেরত এক তরুণী কেরালায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত বলে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। দ্বিতীয় করোনাভাইরাস আক্রান্তেরও চিন যোগ রয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি চিনের উহান থেকে দেশে ফিরেছে ওই শিক্ষার্থী। আপাতত হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও ডাক্তারদের কড়া নজরে রয়েছেন তিনি।
Second positive case of Novel Coronavirus has been found, in Kerala. The patient has a travel history from China. The patient has been kept in isolation in the hospital; is stable and is being closely monitored. pic.twitter.com/kThna0HiCP
— ANI (@ANI) February 2, 2020
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে কেরালায় ১,৭৯৩ জনকে তাদের বাড়িতেই নজরদারিতে রাখা হয়েছে। আইসোলেশন ওয়ার্ডে রয়েছেন ৭০ জন। গোটা রাজ্যে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে কেরালা সরকার।
করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কে দিন গুনছিল সরকার থেকে জনগণ, সেই আশঙ্কাকেই সত্যি করে কেরালাতে গত বৃহস্পতিবার প্রথম করোনার ভাইরাসের দেখা পাওয়া যায়। চিনের উহান প্রদেশ থেকে আসা এক পড়ুয়ার শরীরে খোঁজ মেলে এই ভাইরাসের। উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই পড়ুয়াকে বর্তমানে আলাদা করে রাখা হয়েছে।
চিনে কার্যত মহামারীর আকার নিয়েছে করোনা ভাইরাস। ইতিমধ্যেই করোনার গ্রাসে মৃত্যু হয়েছে আড়াশোরও বেশি মানুষ। এই ভাইরাসে আক্রান্ত প্রায় ১২ হাজার মানুষ। এই পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে বিশেষ বিমানে ভারতীয় নাগরিকদের এদেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। শনিবারই ৩২৪ জন ভারতীয়কে নিয়ে চিনের উহান শহর থেকে দিল্লি পৌঁছায় এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ জাম্বো বিমান B747। ওই দিন রাতে দ্বিতীয় বিমানে ফের ৩২৪ জন ভারতীয়কে উহান থেকে এদেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে ৭জন ছিলেন মালদ্বীপের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: করোনা ভীতি: চিন থেকে দিল্লি পৌঁছাল ৩২৪ ভারতীয়, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
মানেসরে ভারতীয় সেনাবাহিনী আইসোলেটেড হল তৈরি করেছে। জানা গিয়েছে, ওই চিনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে যারা বিশেষ বিমানে দিল্লি এসেছেন তাদের প্রথমে আইসোলেটেড হলে পরীক্ষা করা হয়। প্রতিবেশী দেশ থেকে এদিন যাদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে তাদের মধ্যে ২১১ জন শিক্ষার্থী ও ১১০ জন সে দেশে কর্মরত ছিলেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা ভাইরাসকে ‘গ্লোবাল এমার্জেন্সি’ বলে ঘোষণা করেছে। মার্কিন নাগরিকদের চিনে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এছাড়াও জারি করা হয়েছে, জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা।
চিনে করোনাভাইরাসে মৃত্যু সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এবার চিন ছাড়িয়ে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ঘটনা ঘটল ফিলিপিন্সে। জানা গিয়েছে উহান থেকে হংকং হয়ে ফিলিপিন্সে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।
Read the full story in English