গত ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হলেন ১৯৭৫ জন, মৃত্যু হল ৪৭ জনের৷ দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁতে চলেছে ২৭ হাজার। দেশে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ৮২৬।
'করোনার বিরুদ্ধে লড়াই জনগণ দ্বারা চালিত। ভবিষ্যতে করোনা নিয়ে লেখা হলে ভারতের নাম অবশ্যই সেখানে স্থান পাবে। দেশবাসী সামর্থ্য অনুযায়ী করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছেন।' এদিন 'মন কি বাতে' এই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে তিনি, মাস্কের ব্যবহার নিয়েও দেশবাসীকে সচেতন করেছেন। পরে মাসে ঈদ উদযাপনের সময় যাতে বিশ্ব করোনাভাইরাস মুক্ত হয় তার জন্য এদিন প্রার্থনার আহ্বান করেন প্রধানমন্ত্রী।
বর্ধিত লকডাউনের শেষ সপ্তাহে প্রবেশের সূচনাতেই দেশে করোনা পজেটিভের সংখ্যা ছাড়ল ২৬ হাজার। একদিনে করোনা আক্রান্ত ১,৯৯০ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকে দেওয়া পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে রবিবার সকাল পর্যন্ত ভারতে করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা ২৬,৪৯৬ জন। তবে স্বস্তির বিষয় যে, এর মধ্যে ৫,৮০৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। অ্যাকটিভ রোগী ১৯,৮৬৮। গত ২৪ ঘন্টায় করোনার বলি ৪৯ জন। সবমিলিয়ে দেশে করোনার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন ৮২৪ জন। মহারাষ্ট্র করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে খারপ, তারপরই রয়েছে গুজরাট।
করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল রাজ্য স্বাস্থ্য প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিকের। শনিবার রাত একটা নাগাদ বাইপাস সংলগ্ন সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। গত ১৭ এপ্রিল কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ে রাজ্য স্বাস্থ্য প্রশাসনের ওই শীর্ষ আধিকারিকের। ভর্তি করা হয় বেলেঘাটা আইডি-তে।
বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারী ভয়ঙ্কর হচ্ছে। করোনায় মৃত্যু সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। শুধু আমেরিকাতেই মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ৫১ হাজারের বেশি মানুষের। পৃথিবীতে কোভিড পজেটিভের সংখ্যা ৮ লক্ষ ৯ হাজারের বেশি।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Live Blog
Coronavirus Lockdown Situation In India-West Bengal Kolkata Updates. করোনা লকডাউন পরিস্থিতির সব খবর জানতে চোখ রাখুন এখানে...
পশ্চিমবঙ্গে করোনভাইরাস পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার পর উত্তরবঙ্গে লকডাউন আরও কঠোরভাবে কার্যকর করার পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল। তবে, কেন্দ্রীয় দল রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের।
ভারতে লকডাউন পরবর্তী অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। টিভি, খবরের কাগজ, সোশ্যাল মিডিয়ায় সে নিয়ে আলোচনাও কম হচ্ছে না। বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি ক্ষুদ্র শিল্পের ধসে পড়া নিয়ে চূড়ান্ত তর্ক বিতর্ক চলছে। অনেকেই বলছেন আগামী কয়েক মাস, বছর শপিং মলের পরিবর্তে ছোট ছোট দোকান থেকে যত বেশি পণ্য সামগ্রী কেনা হবে, তত চাঙ্গা হবে অর্থনীতি। এই বিষয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা কে কী বললেন অর্থনীতিবিদ এবং রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ডঃ অসীম দাশগুপ্ত। পড়ুন বিস্তারিত
দেশে করোনার ভরকেন্দ্র মুম্বই ও পুনে। এই পরিস্থিতিতে ওই দুই শহরে লকডাউনের মেয়াদ ১৫ মে পর্যন্ত বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিল মহারাষ্ট্র সরকার। জনসাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী রাজেশ তোপে সানডে এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, মুম্বই, পুনেতে করোনা সংক্রমণের হার কমছে না। উল্টে প্রতিদিনই তা বাড়ছে। এই অবস্থায় তাই লকডাউন তোলার প্রশ্নই ওঠে না। তা বাড়ানো হয়েছে ১৫ মে পর্যন্ত।'
শনিবার, মহারাষ্ট্রে ৮১১ জন কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্যে ৭,৬৮২ জন পজেটিভ। এর মধ্যে মুম্বইতেই আক্রান্ত ৫,০৪৯ জন।
গত এক সপ্তাহের মধ্যে চতুর্থবার ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যায় নতুন রেকর্ড হল শনিবার। সারা দেশ থেকে মোট ১৮০৮ জনের সংক্রমণর খবর এসেছে, যা মাত্র দুদিন আগের ১৬৯৭ জনের রেকর্ডের চেয়ে ১০০-রও বেশি।
শনিবার সন্ধের হিসেবে ভারতে করোনার নিশ্চিত সংক্রমণ ২৬,১৮০-তে পৌঁছিয়েছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্র ও গুজরাটেই সংক্রমণ সংখ্যায় বেশি। এই দু রাজ্যেই সংক্রমণ সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বাড়ছে। পড়ুন বিস্তারিত
করোনার দুর্দিনে রাজ্যে গণবন্টন ব্যবস্থায় বড় দুর্নীতি হয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারের ঘোষণা করা ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা’ বাংলায় কেন বাস্তবায়িত হচ্ছে না সে ব্যাপারেও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই রাজ্যের খাদ্য সচিব পারভেজ সিদ্দিকিকে চিঠি দিয়েছেন খাদ্য ও গণবন্ঠন মন্ত্রকের ক্রেতা সুরক্ষাবিভাগের যুগ্ম সচিব এস জগন্নাথন। চিঠিতে বলা হয় যে, এই প্রকল্পের আওতায় বাংলা ৭৩ হাজার মেট্রিকটন চাল পেলেও তা মানুষকে দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পের সুবিধার কথা ঘোষণা করলেও রাজ্যকে ১৬ এপ্রিল কেন্দ্রের তরফে।এ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানানো হয়। এরপর খাদ্যশস্য দিতে দিতে শুরু করে ওরা। তার অনেক আগেই রাজ্য সরকার রেশনের মাধ্যমে মানুষের কাছে চাল, আটা পৌঁছনর কাজ চালু করে দিয়েছে। আশা করছি, ১লা মে-র মধ্যেই এই কাজ শেষ হয়ে যাবে।’ পড়ুন বিস্তারিত
করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল রাজ্য স্বাস্থ্য প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিকের। শনিবার রাত একটা নাগাদ বাইপাস সংলগ্ন সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।
জানা গিয়েছে, গত ১৭ এপ্রিল কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ে রাজ্য স্বাস্থ্য প্রশাসনের ওই শীর্ষ আধিকারিকের। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। বেশ কিছুদিন চিকিৎসা চলার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। ফলে তাঁকে বাইপাস সংলগ্ন সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে ভেন্টিলেশন সহায়তায় ছিলেন তিনি। শনিবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় বাংলার স্বাস্থ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকের। পড়ুন বিস্তারিত
'কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় রাজ্য সরকারগুলির তৎপর ভূমিকার জন্য আমি তাদের প্রশংসা করি। একই সঙ্গে প্রকাশ্যে থুতু ফেলা যে কতটা ক্ষতিকারক তাও মানুষকে বুঝতে হবে। এ ধরনের অভ্যাস এবার বন্ধ হোক।' জানালেন প্রধানমন্ত্রী।
'মাস্ক এখন আমাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। মাস্ক যাঁরা পড়ছেন তাঁরা সবাই অসুস্থ এমনটা নয়। সভ্য সমাজের প্রতীক হয়ে উঠেছে মাস্ক। ভাইরাস-রোগ থেকে নিজেকে ও অন্যান্যদের রক্ষা করতে চাইলে মাস্কের ব্যবহার খুবই জরুরি।' করোনায় মাস্ক ব্যবহারের যৌক্তিকতা বোঝাতে গিয়ে মন কি বাত-এ এদিন এ কথাই বলেন নেরন্দ্র মোদী।
স্বাস্থ্যকর্মীদের যারা আক্রমণ করছেন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য কঠোর আইন করা হয়েছে। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরাইকরোনা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাই তাঁদের সুরক্ষায় এই ধরনের আইন খুব জরুরি। 'মন কি বাত'-এ জানালেন প্রধানমন্ত্রী।
কঠিন সময়ে পরস্পরের পাশে দাঁড়ানোয় দেশবাসীকে ‘মন বি বাত’-এ ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, 'covidworriors.gov.in-এর মাধ্যমে সামাজিককর্মী, আশাকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী-সহ নানা পেশার কর্মীরা যুক্ত হয়েছেন। আপনিও দেশসেবায় এগিয়ে আসতে পারেন। হয়ে উঠতে পারেন করোনা-যোদ্ধা।'
'করোনার বিরুদ্ধে লড়াই জনগণ দ্বারা চালিত। ভবিষ্যতে করোনা নিয়ে লেখা হলে ভারতের নাম অবশ্যই সেখানে স্থান পাবে। দেশবাসী সামর্থ্য অনুযায়ী করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছেন।' এদিন 'মন কি বাতে' এই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
চারটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত একটিরও জবাব মিলল না। ঠিক কী ভাষাতেই শনিবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে ফের চিঠি দিলেন এ রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসা আন্তঃমন্ত্রক কেন্দ্রীয় দলের প্রধান অপূর্ব চন্দ্র। ১৯ এপ্রিল রাজ্য সরকারকে পাঠানোর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চিঠি উদ্ধৃত করে চরম অসহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে এদিনের চিঠিতে। এ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা পিপিই এবং প্রয়োজনীয় পুলিশি নিরাপত্তা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্যকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে এই সব ধরনের (লজিস্টিক) সাহায্য করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পড়ুন বিস্তারিত
কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা মত শনিবার সকাল থেকেই দোকান খুলতে শুরু করে। প্রশ্ন ওঠে যে, সেলুন বা সালোঁর মত দোকান খোলা থাকলে বিপদ কী বাড়বে না? কোন দোকান খোলা হবে তারও নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা নেই। তারপরই সেলুন বা সালোঁকে ছাড়ের আওতা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানায়, পরিষেবামূলক কার্যকলাপ বন্ধ থাকবে। কেবল জিনিস বিক্রি হয় এমন সব দোকানই শর্তসাপেক্ষে খোলা থাকবে। পড়ুন বিস্তারিত
স্বাস্থ্যমন্ত্রকে দেওয়া পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে রবিবার সকাল পর্যন্ত ভারতে করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা ২৬,৪৯৬ জন। তবে স্বস্তির বিষয় যে, এর মধ্যে ৫,৮০৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। অ্যাকটিভ রোগী ১৯,৮৬৮। গত ২৪ ঘন্টায় করোনার বলি ৪৯ জন। সবমিলিয়ে দেশে করোনার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন ৮২৪ জন। মহারাষ্ট্র করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে খারপ, তারপরই রয়েছে গুজরাট।