করোনার প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে দেশে। এই পরিস্থিতিতে এবার র্যাপিড টেস্ট ২ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল আইসিএমআর। মঙ্গলবার আইসিএমআরের তরফে জানানো হয়েছ, আগামী ২ দিন রাজ্য়গুলোতে র্যাপিড টেস্ট বন্ধ রাখা হবে। দু'দিনের মধ্য়ে ফের এ নিয়ে অ্য়াডভাইসরি দেওয়া হবে। উল্লেখ্য়, ত্রুটিপূর্ণ কিট দেওয়ায় র্যাপিড টেস্ট বন্ধ রেখেছিল রাজস্থান।
গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনাভাইরাস পজেটিভ ৯৪৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। ভারতে সব মিলিয়ে করোনা আক্রান্ত ১৮,৬০১। এখনও পর্যন্ত ৩,২৫১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মৃত ৫৯০ জন। কেন্দ্রের অনুমান, লকডাউন শিথিল করার পর মে মাসের শেষ বা জুনের শুরুতে ফের এ দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়বে। সেই সময় ভারতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি দ্বিগুণ হতে প্রায় ১২ দিন সময় লাগতে পারে। লকডাউনের মেয়াদ ৩ মে পর্যন্ত। কিন্তু, তারপর কোন পথে শিথিল হবে লকডাউন? করোনা সংক্রমণের গতিপ্রকৃতি বিবেচনা করে লকডাউন শিথিলতার কথা বিবেচনা করা হবে বলে কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে, সম্পূর্ণ লকডাউন শিথিল হতে প্রায় সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
বাংলাতেও করোনার দাপট ক্রমশ বাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৪৫। সুস্থ হয়েছেন ৭৩ জন। এ রাজ্য়ে ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। এদিকে, কেন্দ্রীয় দল এ রাজ্যে আসতেই লকডাউন কার্যকর করতে অতিরিক্ত তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ-প্রশাসন। এদিকে, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা নিজেদের গতিবিধি গোপন রাখছেন। তাঁরা কোথায় আছেন, কোথায় কোথায় যাবেন, তা নিয়ে সতর্ক রাজ্যও।
এদিকে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর প্রকোপ। তেলের দাম ব্যারেল প্রতি শূন্য ডলারেরও কম। করোনার জেরেই এই প্রথম সর্বকালীন ইতিহাসে এত ভয়াবহ পরিস্থিতি বলে মনে করা হচ্ছে। গোটা পৃথিবীতে কোভিড-১৯ পজিটিভ ২,৪৭৫,৮৭১ জন, মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৭১ হাজারের কিছু বেশি। আমেরিকাতেই করোনা আক্রান্ত প্রায় ৮ লাখ।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Live Blog
Coronavirus Lockdown Situation In India West Bengal Kolkata Updates. করোনা লকডাউন পরিস্থিতির সব খবর জানতে চোখ রাখুন এখানে...
বার থেকে লকডাউনে ফুল ও মিষ্টির দোকান খোলা রাখার সময় কাটছাঁট করা হল। এবার থেকে লকডাউনে বাংলায় ফুল ও মিষ্টির দোকান দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে, সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। অর্থাৎ সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে ফুল-মিষ্টির দোকান।
করোনার প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে দেশে। এই পরিস্থিতিতে এবার র্যাপিড টেস্ট ২ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল আইসিএমআর। মঙ্গলবার আইসিএমআরের তরফে জানানো হয়েছ, আগামী ২ দিন রাজ্য়গুলোতে র্যাপিড টেস্ট বন্ধ রাখা হবে। দু'দিনের মধ্য়ে ফের এ নিয়ে অ্য়াডভাইসরি দেওয়া হবে। উল্লেখ্য়, ত্রুটিপূর্ণ কিট দেওয়ায় র্যাপিড টেস্ট বন্ধ রেখেছিল রাজস্থান।
সিভিল সার্ভিস ডে-তে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমলাদের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার মোদী টুইট করে জানিয়েছেন, “আজ, সিভিল সার্ভিস দিবসে আমি সমস্ত সিভিল সার্ভেন্ট এবং তাদের পরিবারকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ভারতে কোভিড -১৯ কে সাফল্যের সঙ্গে পরাজিত করার জন্য যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তার জন্য তাঁদের প্রশংসা করি। তারা সবসময় কাজ করছেন, অভাবীদের সহায়তা করছেন এবং সবাই সুস্থ আছেন কিনা তা নিশ্চিত করছেন”।
পুলিশের তৎরতা রাতারাতি বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুন। যুক্তিযুক্ত কারণ না দর্শাতে পারলে গাড়ি ফের ঘুরিয়ে দিচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। অলিগলিতেও ঘুরছে রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী। সোমবার থেকে যেন নয়া উদ্যমে টহল দিচ্ছে পুলিশের গাড়ি। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, কেন্দ্রীয় দল এ রাজ্যে আসতেই লকডাউন কার্যকর করতে অতিরিক্ত তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ-প্রশাসন। এদিকে, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা নিজেদের গতিবিধি গোপন রাখছেন। তাঁরা কোথায় আছেন, কোথায় কোথায় যাবেন তা নিয়ে সতর্ক রাজ্যও। পড়ুন বিস্তারিত
এবার রাষ্ট্রপতিভবনে করোনার থাবা। রাষ্ট্রপতিভবনের এক মহিলা কর্মী করোনা আক্রান্ত। এর ফলে ১২৫ জন সরকারী কর্মীকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন এমনটাই জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতিভবনের কোভিড-১৯ পজেটিভ কর্মী আপাতত ভর্তি রয়েছেন বিড়লা মন্দির করোনা সেন্টারে। আক্রান্তের মেয়ের নমুনা পরীক্ষা করা হলেও তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ। পড়ুন বিস্তারিত
রাজ্যের বেশকিছু জায়গায় লকডাউন মানা হচ্ছে না। যা জনস্বাস্থ বিরোধী বলে দাবি করে কেন্দ্র। সপ্তাহান্তে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, কলকাতা, হাওড়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে ২২৪ জন করোনা আক্রান্ত। কিন্তু, কেন্দ্রীয় দল বাংলা বাদে অন্যান্য রাজ্যের যে চার জেলায় গিয়েছেন, সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যায় ৩,৭৩২ জন।
এ রাজ্যে কলকাতায় করোনা পজেটিভের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত কলকাতায় ১০৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণের নিরিখে কলকাতার সঙ্গে মুম্বইয়ের তুলনা করলে বিস্তর ফারাক। মুম্বইয়ে সংক্রমণের হার ২,০৭০। যা কলকাতায় তুলনায় ২০ গুণ বেশি। এ শহরের চেয়ে ইন্দোর (৭০৭), পুনেতে (৪৮৫) করোনা পজেটিভের হার যথাক্রমে সাত ও চার গুণ বেশি। উল্লেখ্য, মুম্বই, জয়পুর, পুনে, ইন্দোর কার্যত করোনা বিধ্বস্ত।
তাহলে কেন এইসব শহরে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হল না? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল প্রেরণকে ‘প্রচোলিত রীতির বিরুদ্ধ’ কাজ বলে মোদীকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
'করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সকলকে সরকারের পাশে থাকতে বলব। সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ. কেন্দ্রীয় দলকে সহযোগিতা করুন। করোনা মোকাবিলায় রাজ্য এবং কেন্দ্রের মিলেমিশে কাজ করা একান্ত প্রয়োজন।' মঙ্গলবার সকালে টুইটে এই বার্তা দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। করোনাভাইরাস ঘিরে কেন্দ্র-রাজ্য তরজা চরমে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় দল। আর এতেই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। রাজ্যকে আগাম না জানিয়ে কেন্দ্রের এহেন পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী বলে মনে করেন তিনি। রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাতের এই আবহেই টুইট রাজ্যপাল জগদীপ ধবাংলার মু্খ্যমন্ত্রীকে কেন্দ্রের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
নজিরবিহীন ঘটনা, শূন্যের নীচে নেমে গেল তেলের দাম। আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে এমন ঘটনা আগে ঘটেনি। শুন্যের নীচে নেমে গেল মার্কিন অপরিশোধিত তেলের দাম। তবে সোমবার বাজার বন্ধের সময় যে জায়গায় দাম নেমেছিল, মঙ্গলবার সেই দাম অবশ্য সামান্য কিছুটা উঠেছে। সোমবার বাজার যখন বন্ধ হয়েছে, তখন মে মাসের তেলের জন্য ব্যারেল প্রতি দাম দাঁড়িয়ে -৩৭.৬৩ ডলারে। মঙ্গলবার সেই দাম কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়ে হয়েছে ১.১০ ডলার। পড়ুন বিস্তারিত
কেন্দ্রের অনুমান, মে মাসের শেষ বা জুনের শুরুতে ফের করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়বে। সেই সময় ভারতে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে প্রায় ১২ দিন সময় লাগতে পারে। লকডাইনের মেয়াদ ৩ মে পর্যন্ত। কিন্তু, তারপর কী হবে? কোন পথে শিথিল হবে লকডাউন? করোনা সংক্রমণের গতিপ্রকৃতি ও মৃত্যুর সংখ্যা বিবেচনা করে লকডাউন শিথিলতার কথা বিবেচনা করা হবে বলে কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, পরিসংখ্যানের বিচারে বর্তামানে প্রায় ৭.৫ দিনে করোনা সংক্রমণের হার দ্বিগুণ হচ্ছে। লকডাউনের আগে এই হার ছিল ৩.৪ দিন। চলতি সপ্তাহের শেষে করোনা সংক্রমণের হার দ্বিগুণ বৃদ্ধিতে সময় লাগতে পারে প্রায় ১০ দিন। আর মে মাসের শেষ করোনা দ্বিগুণ ছাড়তে প্রায় ১২ দিন সময় লাগতে পারে। পড়ুন বিস্তারিত
মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুয়ায়ী, ভারতে সবমিলিয়ে করোনা আক্রান্ত ১৮,৬০১। এখনও পর্যন্ত ৩,২৫১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মৃত ৫৯০ জন। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনাভাইরাস পজেটিভ ৯৪৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের।