করোনা পরিস্থিতিতে ফের মুখ্য়মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ১৭ এপ্রিল সম্ভবত সব রাজ্য়ের মুখ্য়মন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করবেন মোদী। এদিকে, দেশে করোনার প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে হয়েছে ২০ হাজার ৪৭১। এ দেশে করোনা মৃতের সংখ্য়া ছুঁয়েছে ৬৫২।
লকডাউনের নয়া কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় উল্লেখ, স্কুলের বই-খাতার দোকান, বৈদ্যুতিন পাখা, শয্যাসায়ী ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় পরিষেবা ও জন উপযোগী বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে। করোনার প্রকোপ বাড়লেও র্যাপিড টেস্ট ২ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে আইসিএমআর। দু'দিনের মধ্যে ফের এ নিয়ে অ্যাডভাইসরি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। চিন থেকে আসা কিট ত্রুটিপূর্ণ বলেই এই নির্দেশ বলে জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিল নবান্ন। স্বারাষ্ট্রমন্ত্রকরে কড়া চিঠির জবাবে পাল্টা চিঠি দিয়ে এ কথাই জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। তবে, প্রতিনিধি দলকে অসহযোগিতার যে অভিযোগ কেন্দ্র তুলেছে, রাজ্যের তরফে তা খারিজ করা হয়েছে ওই চিঠিতে।পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ২৭৪। রাজ্যে ভাইরাসের বলি বেড়ে হয়েছে ১৫।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Live Blog
Coronavirus Lockdown Situation In India West Bengal Kolkata Updates. করোনা লকডাউন পরিস্থিতির সব খবর জানতে চোখ রাখুন এখানে...
ছিল রেড জোন, আশা ছিল অরেঞ্জ জোন হবে, কিন্তু তা আর আপাতত হল না। করোনা মোকাবিলায় পূর্ব মেদিনীপুরের উদাহরণ টেনে হাওড়া জেলাকে ১৪ দিনের মধ্যে রেড থেকে অরেঞ্জ জোনে নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু করোনার থাবায় রেড জোন থেকে বেরোতে পারল না পূর্ব মেদিনীপুর। মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্য়সচিব রাজীব সিনহা জানালেন, ”পূর্ব মেদিনীপুর রেড জোনেই রয়েছে। গত ১৯ তারিখ একজন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে, তাই রেড জোনেই থাকছে ওই জেলা। ভেবেছিলাম আমরা যে পূর্ব মেদিনীপুর অরেঞ্জ জোনে চলে আসবে”।
করোনা পরিস্থিতিতে ফের মুখ্য়মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ১৭ এপ্রিল সম্ভবত সব রাজ্য়ের মুখ্য়মন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করবেন মোদী। এদিকে, দেশে করোনার প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে হয়েছে ২০ হাজার ৪৭১। এ দেশে করোনা মৃতের সংখ্য়া ছুঁয়েছে ৬৫২।
ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ, যা পুলিশ তুলতে গেলে রণক্ষেত্র চেহারা নেয় উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জোড়া অশ্বত্থতলা এলাকা। অভিযোগ, বুধবার সকালে বিক্ষোভ তুলতে গেলে বেধড়ক মারধর করা হয় পুলিশকর্মীদের। উর্দিধারীদের লক্ষ করে চলে ইঁট বৃষ্টি। বিক্ষোভকারীদের আক্রমণে মাথা ফাটে বাদুড়িয়া থানার ওসি বাপ্পা মিত্রের। এরপরই বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্রের নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। নামানো হয় ব়্যাফ। দীর্ঘক্ষণ পর পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। ঘটনার পর থেকেই থমথমে অশ্বত্থতলা এলাকা। পড়ুন বিস্তারিত
করোনা পরিস্থিথিতে বারুইপুর সংশোধনাগারে শুরু হয়েছিল বন্দিদের বিক্ষোভ। তারপর দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারেও তুলকালাম ঘটনা ঘটে বন্দি ও নিরাপত্তা কর্মীদের মধ্যে। দুদিন আগে ক্ষোভ দাঁনা বাধল উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি সংশোধনাগারেও। করোনা পরিস্থিতিতে এই বন্দি বিক্ষোভ কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে জেল কর্তৃপক্ষের। করোনা পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যে ছাড়া পেয়েছে প্রায় ২৩০০ বন্দি। সূত্রের খবর, তা সত্বেও মনে করা হচ্ছে অনেক সংশোধনাগারেই ধারন ক্ষমতার থেকে বেশি বন্দি রয়েছে। তাই কারান্তরালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম কীভাবে মানা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। পড়ুন বিস্তারিত
‘সবাইকে বাড়িতে থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের প্রয়োজন হলে আমাদের বলুন। আমরা তা আপনাদের বাড়ির দরজায় পৌঁছে দেব। লকডাউনের নিয়ম ভঙ্গ করবেন না। না হলে, আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।’
দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যে, রাজাবাজার মোড়ে গত সোমবার থেকে মাঝে-মধ্যেই মাইকিং করছে পুলিশ। এর আগে এই তৎপরতা নজরে না এলেও গত সোমবার থেকে পরিস্থিতি বদলেছে। শুরু হয়েছে পুলিশি কড়াকড়ি। রাজাবাজারের বিভিন্ন অলিগলিতে টহল দিচ্ছে পুলিশ বাহিনী। আটকে দেওয়া হয়েছে গলির মুখ। কাউকে অপ্রয়োজনে ঢুকতে-বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। রাজাবার একদম ঘরবন্দি। হঠাৎ কেন কড়াকড়ি বাড়ল? বাড়িতে বসে এই প্রশ্নই দানা বেঁধেছে সেখানকার বাসিন্দাদের মনে। পড়ুন বিস্তারিত
এদিন চিকিৎসকদের সংগঠন আইএমএ-র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ভিডিও বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের খবর, সেই বৈঠকে চিকিৎসকদের সুরক্ষার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।লকডাউনে চিকিৎসকদের উপর হেনস্তার প্রতিবাদে প্রতীকী প্রতিবাদের ডাক দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। সেই প্রতিবাদ কর্মসূচি প্রত্যাহারের জন্যও চিকিৎসকদের আহ্বান জানানো হয়। পরে সেই আর্জিতে সাড়া দিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে আইএমএ।
কোন ধরনের আর্থিক প্যাকেজ ক্ষুদ্র-কুটির ও মাঝারি শিল্পকে বাঁচাতে পারে তা জানতে দেশবাসীর থেকেই পরামর্শ চাইল কংগ্রেস। টুইটে কংগ্রেস সাংসদ রাহল গান্ধী লেখেন, 'কোভিড-১৯ আমাদের ক্ষুদ্র-কুটির ও মাঝারি শিল্পগুলিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।'
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিল নবান্ন। স্বারাষ্ট্রমন্ত্রকরে কড়া চিঠির জবাবে পাল্টা চিঠি দিয়ে এ কথাই জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। তবে, প্রতিনিধি দলকে অসহযোগিতার যে অভিযোগ কেন্দ্র তুলেছে, রাজ্যের তরফে তা খারিজ করা হয়েছে ওই চিঠিতে।
মুখ্যসচিব কেন্দ্রকে চিঠিতে জানিয়েছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে সহযোগিতা করছে না এটা ঠিক নয়। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আমাদের সঙ্গে আগাম আলোচনা ছাড়াই কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে এসেছে। ফলে, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের পরিবহণের ব্যবস্থা করা যায়নি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরাও কোনও সাহায্য রাজ্যের কাছে চাননি।’ চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন এবং করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের করা পদক্ষেপগুলি তাঁদের জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে দেওয়া চিঠিতে রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, ‘বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের অধীনে জারি কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ ও সুপ্রিম কোর্টের আদেশ বাস্তবায়ণে রাজ্য সরকার সব ধরনের আশ্বাস দিচ্ছে।’ পড়ুন বিস্তারিত
'যত্ন এবং করুণার প্রাচুর্যের জন্য আমারা সকলেই এই গ্রহের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। আসুন, আমরা একটি পরিছন্ন, স্বাস্থ্যকর এবং সমৃদ্ধ গ্রহের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করি। কোভিড-১৯ কে পরাস্ত করতে সামনে থেকে যাঁরা কাজ করছেন তাদের হয়ে কথা বলি।' দ্য ইন্টারন্যাশনাল মাদার আর্থ ডে-তে টুইট করে এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
বাংলায় কেন্দ্রীয় দল পাঠানো নিয়ে রাজ্য বনাম কেন্দ্র সংঘাত তুঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গে পাঠানো কেন্দ্রীয় দলকে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে, এমন বার্তা জানিয়ে রাজ্য়কে কড়া চিঠি দিয়েছে কেন্দ্র। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে কেন্দ্রের নির্দেশ মানতে রাজ্য যে বাধ্য, সেকথা কার্যত স্মরণ করিয়ে দিয়ে মমতা সরকারকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, কলকাতা ও জলপাইগুড়িতে যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হয়েছে, তাতে এটা দেখা গিয়েছে যে রাজ্য ও স্থানীয় প্রশাসন দলের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না। এমনকি, তাঁদেরকে পরিদর্শন করতে দেওয়া হচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। এরপর চিঠিতে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্রীয় নির্দেশ মানার কথা বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্যেরর তরফে সহযোগিতা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে কেন্দ্রীয় দল।
বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯,৯৮৪। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ৩,৮৬৯ জন। মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। সে রাজ্যে করোন পজেটিভ ৫,২১৮ জন। এরপরই রয়েছে গুজরাট (২,১৭৮) ও দিল্লি (২,১৫৬)। এখনও পর্যন্ত করোনায় একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা মঙ্গলবার ছিল সর্বাধিক। গত ২৪ ঘন্টায় ৫০ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। ফলে দেশে করোনাভাইরাসে প্রাণ গেল মোট ৬৪০ জনের।