Delhi Air Pollution: প্রবল ঠাণ্ডা, ঘন কুয়াশা, বিষাক্ত বাতাস... দিল্লিতে কেলেঙ্কারি।
দিল্লিতে ক্রমাগত বাড়তে থাকা বায়ু দূষণের জেরে সরকার আবারও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শহরজুড়ে লাগু করেছে সর্বোচ্চ স্তরের নিয়ন্ত্রণবিধি অর্থাৎ গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান (GRAP IV) ৷ পরিস্থিতির নিরিখে স্কুলগুলিতে ‘হাইব্রিড মডেল’ চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । অর্থাৎ, স্কুলগুলিতে অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা চালু থাকবে ৷
দিল্লি সহ উত্তর ভারত জুড়ে শৈত্যপ্রবাহের দাপট অব্যাহত। শীত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘন কুয়াশার চাদরে মুড়ে গিয়েছে দিল্লি ও সংলগ্ন অঞ্চল। অবস্থা এতটাই খারাপ যে 'শ্বাস' নিতে কষ্ট হচ্ছে মানুষের। বৃদ্ধ থেকে শিশু দূষণের জেরে হাঁসফাঁস অবস্থা সকলেরই। আজ সকাল ৬ টায় দিল্লির গড় AQI রেকর্ড করা হয়েছে ৪৪১। শহরের অনেক এলাকায় বাতাস এতটাই 'বিষাক্ত' হয়ে উঠেছে যে AQI ৪৫০ ছাড়িয়েছে।
মঙ্গলবার দিল্লিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা স্বাভাবিকের থেকে ২.২ ডিগ্রি কম, যেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি। গতকালের পাশাপাশি আজ ঘন কুয়াশার পূর্বাভাসও জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। আগামী ১৯ এবং ২০ ডিসেম্বর ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে দিল্লির বিভিন্ন অংশে শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। আগামী কয়েকদিন আরও পারদ পতনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলেই আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। দিল্লির পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান, পাঞ্জাব ও হরিয়ানার একাধিক এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
দিল্লিতে ক্রমবর্ধমান দূষণের কারণে, গ্রেপ -4 এর অধীনে অনেক কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। শহরে নির্মাণকার্য এবং পন্যবাহী ট্রাক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দিল্লির গত ২৪ -ঘন্টা গড় AQI 'গুরুতর' বিভাগে পৌঁছেছে। এর আগে ২৩ নভেম্বর দিল্লির AQI পৌঁছেছিল ৪১২-তে। আবহাওয়া বিভাগ তার সর্বশেষ আপডেটে বলেছে যে আগামী কয়েকদিন মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহের দাপট দেখা যাবে। একই সময়ে, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় এবং দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থানের বিভিন্ন এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।