ফেসবুকে লাইভ করে আত্মহত্যা করলেন দিল্লি মেট্রোর কর্মী শুভঙ্কর চক্রবর্তী (২৭)। পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তর চব্বিশ পরগণার শুভঙ্কর দিল্লিতে নিজের ভাড়া বাড়িতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পূর্ব দিল্লির শাহদরার বাড়ি থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায় নি। পুলিশ জানায়, দিল্লির ভাড়া বাড়ি থেকে মুখে প্লাস্টিক বাঁধা অবস্থায় শুভঙ্করের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, দু'দিন আগেই কলকাতায় নিজের বাবার সঙ্গে বাগবিতন্ডায় জড়ান শুভঙ্কর। মনে করা হচ্ছে এরপরই এই চরম পদক্ষেপ বেছে নেন তিনি। পুলিশের তরফে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত শুভঙ্করের মৃত্যুকে ঘিরে কেউ কোনও রকম সন্দেহ প্রকাশ করেন নি। ফেসবুকে যে লাইভটি তিনি করেন সেখানে দিল্লি মেট্রোর ইউনিফর্ম পরে তাঁকে একটি কুলারের উপর উঠতে দেখা যায়। সেখান থেকে কয়েকবার ক্যামেরায় তাকিয়ে তাঁর নিজের সংস্থার পরিচয় পত্রকে চুম্বন করে তারপরেই জীবন শেষ করে দেন তিনি।
আরও পড়ুন, মুম্বইয়ে ‘খুন’ বাঙালি চিত্রশিল্পী, আটক ১
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, সুইসাইড করার সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে কিছু বাড়তি গুঞ্জনের শব্দ চালিয়ে রাখেন শুভঙ্কর। একটি সূত্র মারফৎ জানা যায়, শুভঙ্কর জুনে দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশনে যোগ দিয়েছিলেন এবং সেখানকার ইলেকট্রিক্যাল এবং রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের কর্মরত ছিলেন। এদিকে এই ঘটনাটি প্রথম পুলিশের কাছে জানান শুভঙ্করের বন্ধু সূর্যকান্ত দাস। সকাল ৯টা নাগাদ শাহদরার পুলিশ স্টেশনে গিয়ে পুলিশকে সূর্যকান্ত জানান সমগ্র ঘটনাটি। সূর্যকান্ত বলেন যে তাঁদের অপর এক বন্ধু আকাশ সকাল ৮টা নাগাদ ফেসবুকে দেখেন যে শুভঙ্কর একটি লাইভ ভিডিও করছেন। সেখানেই আকাশ দেখেন যে শুভঙ্কর সিলিং ফ্যানের থেকে ঝুলে রয়েছেন।
আরও পড়ুন, ১২ লক্ষ টাকার বিল না মিটিয়েই পাঁচতারা থেকে নিখোঁজ ব্যাবসায়ী
সূর্যকান্ত জানান, একথা শোনার পর তিনি তাঁর বন্ধু রাজেন্দ্র ওঝাকে খবর দেন এবং তাঁরা দুজনে মিলে শুভঙ্করের বাড়িতে পৌঁছন। বাইরে থেকে দরজা বন্ধ থাকায় তাঁরা জানলা দিয়ে শুভঙ্করকে সিলিং থেকে ঝুলতে দেখেন। পুলিশ শুভঙ্করের নিথর দেহ উদ্ধার করার পর তাঁর আত্মীয় পরিজনদের খবর দেয়। পুলিশ জানায় যে শুভঙ্করের পরিবার বলতে তাঁর বিবাহিত বোন, বাবা এবং স্ত্রী আছেন। ১৬ বছর আগেই নিজের মাকে হারান শুভঙ্কর।
Read the full story in English