/indian-express-bangla/media/media_files/2024/12/29/Y5tgzcWqjLXZ9fGclQVp.jpg)
দিল্লিতে বসবাসরত অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে পুলিশি তৎপরতা Photograph: (ফাইল ছবি)
Delhi Police Crackdown On Illegal Immigrants: দিল্লিতে বসবাসরত অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে পুলিশি তৎপরতা। ইতিমধ্যে একাধিক সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করেছে দিল্লি পুলিশ।
গত চার সপ্তাহে দক্ষিণ-পশ্চিম জেলা পুলিশ ১০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া সন্দেহভাজন ৪০০ জনের বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে চিহ্নিত করা হয়েছে। আধার কার্ডে উল্লিখিত ঠিকানা ঠিকানা খতিয়ে দেখতে বাংলায় গিয়েছে দিল্লি পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল।
ডিসিপি সুরেন্দ্র চৌধুরী জানিয়েছেন, দিল্লিতে অবৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশিদের শনাক্ত করতে জেলার সব থানাকে তাদের এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা ১০ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছি। এছাড়া সন্দেহভাজন ৪০০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ৯ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন- জাহাঙ্গীর, পরীনা বেগম, জাহিদ, অহিদ, সিরাজুল, ফাতেমা, আশিমা ও ওয়াহিদ।
থেমে নেই বাংলাদেশ...! হিন্দু মহিলাকে গণধর্ষণ, মৃত্যু
এদিকে ভুয়ো আধার কার্ড, অবৈধ বাংলাদেশিদের সম্পর্কে তথ্যের জন্য UIDAI-কে চিঠি দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। অবৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশীদের আধার কার্ডসহ অন্যান্য নথি খতিয়ে দেখতে দিল্লি পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। দিল্লি পুলিশ এখনও পর্যন্ত ২৬ জন বাংলাদেশির কাছ থেকে জাল আধার কার্ড উদ্ধার করেছে।
এমন পরিস্থিতিতে দিল্লি পুলিশের দক্ষিণ জেলা পুলিশ ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়াকে (UIDAI) চিঠি দিয়েছে। বাংলাদেশিদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ২৬টি আধার কার্ডের বিশদ বিবরণ চেয়ে চিঠি দিয়েছে ।
দক্ষিণ জেলার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দিল্লির রোহিনীতে একটি ব্যাঙ্কের শাখায় বাংলাদেশিদের জাল আধার কার্ড তৈরি করা হয়েছে। ব্যাঙ্কে চুক্তিতে কর্মরত আফরোজ জাল আধার কার্ড তৈরির মূল চক্রী বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। জাল আধার কার্ড তৈরির জন্য আফরোজ মাথা পিছু ৪০০০ টাকা করে নিতেন। পুলিশের দাবি তিনি শতাধিক আধার কার্ড তৈরি করেছেন। তিনি প্রায় ১০ মাস ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন।
অপ্রতিরোধ্য বাঘিনি জিনাত.... ! চলছে 'বাঘ-বন্দী' খেলা
অন্যদিকে, বাংলাদেশিদের অবৈধভাবে ভারতে এনে তাদের জাল নথি তৈরির মূল মাথা আনিস শেখকে খুঁজছে দিল্লি পুলিশ। দক্ষিণ জেলা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অঙ্কিত চৌহান বলেছেন যে জনতা প্রিন্টস নামে একটি ওয়েবসাইট থেকে ২ থেকে ২০ টাকায় জাল নথি প্রিন্ট করার কাজ চলত। রজত মিশ্র নামে এক অভিযুক্ত ২০২২ সাল থেকে এই ওয়েবসাইটটি চালাচ্ছিলেন। তাকে জেরা করে আরও বিস্তারিত জানার চেষ্টা চালাচ্ছে দিল্লি।