আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আবারও উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানে ধেয়ে আসছে ধুলোঝড়, পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। দুই রাজ্যে ব্যাপক ধুলোঝড় ও বৃষ্টির জেরে গত ২ দিনে একশো জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০৫ জন। ঘূর্ণাবর্তের জেরেই ধুলোঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
এর আগে রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশে ধুলোঝড়ের কোনও পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতর দেয়নি। ধুলোঝড়ের আগের দিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করলেও রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশের জন্য কোনও পূর্বাভাস জারি করেনি আবহাওয়া দফতর। গত ২ ও ৩ মে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশাসহ পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু জায়গায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছিল আবহাওয়া দফতর।
আরও পড়ুন, ব্যাপক ধুলোঝড় ও বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশ, মৃত কমপক্ষে ৭২
ধুলোঝড় ও প্রবল বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তরপ্রদেশে আগ্রা ও রাজস্থানের ভরতপুর জেলা। আগ্রাতে ধুলোঝড় ও বৃষ্টিতে কমপক্ষে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে। ওই এলাকায় আহত হয়েছেন আরও ৫১ জন। রাজস্থানের ভরতপুর জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। উত্তরপ্রদেশে প্রায় ১৫৬টি পশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
দেশের দুই রাজ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত ও আহতদের পাশে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা সিং রাজেও।
আরও পড়ুন, জম্মু-কাশ্মীরে স্কুলবাসে পাথর হামলা! নিন্দায় মেহবুবা থেকে বিরোধীরা
বৃহস্পতিবার যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের অধিকাংশই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী ২০১৪ সালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ২ হাজার ৫৮২ জনের। ২০১৫ সালে এ সংখ্যাটা ছিল ২ হাজার ৬৪১।