New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/02/delhi-759.jpg)
নিরাপত্তার মাঝেই ইভিএম তোলা হচ্ছে গাড়িতে। এক্সপ্রেস ফোটো- প্রবীণ খান্না
নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়েই বি-টেক গ্র্যাজুয়েট জীতেশ ভরদ্বাজ (২৭) জানালেন, কমিশনের এই 'সাইলেন্ট পিরিয়ড' তাঁর ব্যবসায় কোনও ক্ষতি করতে পারে না।
নিরাপত্তার মাঝেই ইভিএম তোলা হচ্ছে গাড়িতে। এক্সপ্রেস ফোটো- প্রবীণ খান্না
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন শেষ হতে এখনও সময় বাকি অনেকটাই। নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুসারে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত টেলিকম অপারেটরস দ্বারা পাঠানো যাবে না কোনও 'রাজনৈতিক রঙ' লাগানো বার্তা। কিন্তু সেই নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়েই বি-টেক গ্র্যাজুয়েট জীতেশ ভরদ্বাজ (২৭) জানালেন, কমিশনের এই 'সাইলেন্ট পিরিয়ড' তাঁর ব্যবসায় কোনও ক্ষতি করতে পারে না। বুথ ভিত্তিক ভোটার তালিকা এবং ফোন নম্বরে ভর্তি ফোন মজুত রয়েছে জীতেশের কাছে। কথায় কথায় জানা গেল, টেলিকম অপারেটর এবং প্রার্থীদের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেন তিনি। তিনি প্রতি প্রার্থীর জন্য প্রতি মেসেজ বাবদ ৯ থেকে ১১ পয়সা মূল্যে গড়ে ১ লক্ষ এসএমএস পাঠান তিনি।
আরও পড়ুন: 'আমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বলছে দিল্লিতে সরকার গড়বে বিজেপিই'
বৃহস্পতিবার আঁটোসাঁটো নিরাপত্তায় নির্বাচন চলছে দিল্লিতে। তাঁরই মাঝে জীতেশের দোকানে বেজে উঠল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রচার করা একটি জিঙ্গেল। জীতেশের অবশ্য ঝটিতি জবাব, "এটা আজকের পর আর বাজবে না। কিন্তু এটাই হবে।" প্রসঙ্গত, ভোটপ্রচার পর্ব শেষ হতেই রাজধানীর থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে হোর্ডিং। আগামী ১১ তারিখ ফল ঘোষণা। কিন্তু এখনও চারজন প্রার্থীর সঙ্গে চুক্তি বাকি রয়েছে জীতেশের। এমনকি একগুচ্ছ মেসেজ পাঠানোর জন্য অনেকেই তাঁর খোঁজ, সে খবরও জানালেন নিজেই। জীতেশ জানালেন, প্রার্থীর নাম ঘোষণার পরের দিনটি তাঁর সবচেয়ে ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কেটেছে।
আরও পড়ুন: ‘দেশে অসহিষ্ণুতা, গোঁড়ামি, বিদ্বেষের আবহ তৈরি হয়েছে’, বিধানসভায় সরব ধনকড়
দিল্লির এই বিধানসভা নির্বাচনে তিনটি দলেরই ২০ জন প্রার্থীর সঙ্গে কাজ করছেন জীতেশ। এমনকী একটি আসনে তো আপ এবং বিজেপি উভয় প্রার্থীর সঙ্গেই কাজ করেছেন তিনি। এমনকি অন্য এক প্রার্থী তাঁর ভরদ্বাজ সংস্থার মাধ্যমেই প্রায় ৩০ লক্ষ মেসেজ পাঠিয়েছেন, যদিও সেই নাম তিনি প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। জীতেশের মতো বেশিরভাগ মধ্যস্থতাকারীরা এক দশক আগে এই রাজনৈতিক কাজে "টেলি-বিপণন" এই ব্যবসা শুরু করেছিলেন। তবে এখন টেলি বিপণন ছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল বুস্টিং, গ্রাফিক ডিজাইন এবং হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজিংয়ের মতো পরিষেবা সরবরাহ করেন তাঁরা।
জীতেশ জানান, “দিল্লির প্রায় চারজন প্রার্থী আমাদেরকে এক একজনকে তাঁদের অফিসে বসতে বলেছিলেন যাতে লোকেরা দেখতে পারেন যে তাদের একটি ‘আইটি দল’ রয়েছে। খুব বেশি কিছু হয় না। আমরা একজনকে একটি ল্যাপটপ দিয়ে থাকি এবং তাঁকেই ডেটা ম্যানেজার বলা হয়।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন